ছাত্রীকে ধর্ষণ মামলায় প্রধান শিক্ষকের যাবজ্জীবন
২৯ নভেম্বর ২০২২ ১৬:২৩
রাঙামাটি: রাঙামাটির লংগদু উপজেলায় ১৬ বছরের এক স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণের মামলায় প্রধান শিক্ষকের যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল। একইসঙ্গে ১০ লাখ টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও তিন বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়।
মঙ্গলবার (২৯ নভেম্বর) দুপুরে রাঙামাটির নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক এ ই এম ইসমাইল হোসেন এ রায় দিয়েছেন।
সাজাপ্রাপ্ত মো. আব্দুর রহিম (৪৬) জেলার লংগদু উপজেলার করল্যাছড়ি আর এস উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক। সে লংগদু উপজেলার মাইনিমুখ মুসলিম ব্লকের আবু ছায়েদের ছেলে।
মামলার নথি সূত্রে জানা গেছে, ২০২০ সালের ২৫ সেপ্টেম্বর এক স্কুলছাত্রী ছাগল খুঁজতে বের হলে স্কুলের প্রধান শিক্ষক মো. আব্দুর রহিম তাকে লেবু দেবার কথা বলে ডেকে নিয়ে গিয়ে স্কুলের ছাত্রাবাসে ধর্ষণ করে। সে সময়ে স্কুলের ছাত্রাবাসে কেউ ছিল না। বিষয়টি কাউকে না জানাতে হুমকি দিতে থাকে। পরবর্তীতে ঘটনার ৯ দিন পর ৫ অক্টোবর পরিবার থেকে লংগদু থানায় ধর্ষণ মামলা করা হয়। এ মামলায় আসামিকে যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ড ও ১০ লাখ টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও তিন বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।
রায়ে আদালত বলেছেন, আসামি যে স্কুলের প্রধান শিক্ষক একইস্কুলের ছাত্রী ছিল ভিকটিম। আসামি বিবাহিত হয়ে একদিকে যেমন পরিবারের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করেছেন অন্যদিকে তার নিজের ছাত্রীকে ধর্ষণের মাধ্যমে শিক্ষকতার মহান পেশাকে কলঙ্কিত করেছেন। এ ছাড়া ধর্ষণের ঘটনাকে ভিন্নখাতে প্রবাহিত করার জন্য চেষ্টা করেছে। আসামি প্রকৃতপক্ষে একজর প্রতারক এবং বিকৃত যৌনচারের ধারক ও বাহক। একইসঙ্গে জরিমানার ১০ লাখ টাকা শিশু ভিকটিম ক্ষতিপূরণ হিসেবে প্রাপ্ত হবেন।
এদিকে, আসামিপক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট মোখতার আহমেদ বলেন, ‘এই রায়ে আমরা সংক্ষুদ্ধ। আমরা উচ্চ আদালতে আপিল করব।’
রাঙামাটি নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিশেষ পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) অ্যাডভোকেট সাইফুল ইসলাম অভি বলেন, ‘আসামির বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ আমরা প্রমাণ করতে পারায় আদালত আসামিকে যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ড প্রদান করেছে। এমন রায়ে আমরা সন্তুষ্ট।’
সারাবাংলা/ইআ