Sunday 29 September 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

প্রধানমন্ত্রীর জনসভা: যুবলীগকে ‘১ লাখ’ জমায়েতের টার্গেট

সারাবাংলা ডেস্ক
২৯ নভেম্বর ২০২২ ১৮:১৬

চট্টগ্রাম ব্যুরো: চট্টগ্রাম মহানগর যুবলীগের পদ প্রত্যাশীদের আওয়ামী লীগ সভানেত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জনসভায় এক লাখ জমায়েতের টার্গেট বেঁধে দিয়েছেন সংগঠনটির কেন্দ্রীয় চেয়ারম্যান শেখ ফজলে শামস পরশ। তিনি বলেছেন, ‘আমি এক লাখ লোকের মিছিল নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর জনসভায় যেতে চাই। মহানগর যুবলীগের কাছে এক লাখ জমায়েত চাই। এরপর উত্তর ও দক্ষিণ জেলা যুবলীগ যত জমায়েত দিতে পারে, সেটা দেবে।’

বিজ্ঞাপন

মঙ্গলবার (২৯ নভেম্বর) সকালে নগরীর কাজীর দেউড়ির ইন্টারন্যাশনাল কনভেনশন হলে জনসভা উপলক্ষে যুবলীগের প্রস্তুতি সভায় তিনি এসব কথা বলেন। এসময় নগর, উত্তর ও দক্ষিণ জেলা যুবলীগের নেতাকর্মীরা ছিলেন।

সভার একপর্যায়ে যুবলীগ চেয়ারম্যান নগর কমিটিতে পদপ্রত্যাশী এবং তৃণমূল কমিটির নেতাদের মঞ্চের সামনে ডেকে এনে কে কত জমায়েত করতে পারবেন- সে বিষয়ে জানতে চান। নেতাদের কেউ ১০ হাজার, কেউ ৮ হাজার, কেউ ৫ হাজার- এভাবে জমায়েতের প্রতিশ্রুতি দেন।

৪ ডিসেম্বর নগরীর পলোগ্রাউন্ড মাঠে চট্টগ্রাম মহানগর, উত্তর ও দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের উদ্যোগে এই জনসভা হবে, যাতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। চট্টগ্রাম নগরীতে ২০১২ সালের পর এই প্রথম কোনো রাজনৈতিক সভায় বক্তব্য রাখবেন শেখ হাসিনা।

জনসভাকে জনসমুদ্রে পরিণত করার নির্দেশন দিয়ে যুবলীগ চেয়ারম্যান বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রীর চট্টগ্রামের জনসভার আলাদা গুরুত্ব আছে। এ সমাবেশের মাধ্যমে প্রমাণ হবে- গত ১৩ বছরে যুগান্তকারী ও অসাধারণ সাফল্য নিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা অতুলনীয় জনপ্রিয়তা অর্জন করেছেন। আজ দেশে এমন কোনো ক্ষেত্র নেই বা এমন গোত্রের মানুষ নেই, প্রধানমন্ত্রীর সেবার সুফল থেকে বঞ্চিত হয়েছে।’

‘পদ্মাসেতুর পর আজ চট্টগ্রামের কর্ণফুলী নদীর তলদেশে বঙ্গবন্ধু টানেল দৃশ্যমান ও চালু হওয়ার জন্য অপেক্ষমাণ। এ টানেল চালু হলে চট্টগ্রামের মানুষের জীবনযাত্রার মান উন্নয়ন হবে। চট্টগ্রামের জনসমাবেশ প্রমাণ করবে জনগণ আওয়ামী লীগের, উন্নয়নের ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পাশে আছে। প্রমাণ হবে আমাদের সাথে এদেশের মানুষ আছে।’

বিজ্ঞাপন

জনসভা সফল করতে যুবলীগের চট্টগ্রামের সকল নেতাকর্মীকে কাজে ঝাঁপিয়ে পড়ার আহ্বান জানান শেখ পরশ।

সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক মাহবুবুল আলম হানিফ বলেন, ‘গত ১১ নভেম্বর যুবলীগের প্রতিষ্ঠা বার্ষিকীতে লাখ লাখ যুবকের সরব উপস্থিতি প্রমাণ করেছে, বাংলাদেশের যুবকদের সবচেয়ে বড় সংগঠন আওয়ামী যুবলীগ। সোহরাওয়ার্দী ময়দানে সেই ঐতিহাসিক সমাবেশ দেখে এদেশের উন্নয়ন বিরোধী বিএনপি-জামায়াত ভয় পেয়েছে। তাই বিএনপির আগের সুর এখন আর নেই। তারা এখন মিউ মিউ শব্দে কথা বলে। যুবলীগ বঙ্গবন্ধুর কন্যা শেখ হাসিনার ভ্যানগার্ড হিসেবে পরিচিত। ৪ ডিসেম্বর প্রধানমন্ত্রী চট্টগ্রামে আসবেন। চট্টগ্রামবাসীর উদ্দেশ্যে বক্তব্য রাখবেন। এই দিনটা হবে চট্টগ্রামবাসীর জন্য একটি আনন্দের দিন, উৎসবের দিন।’

বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরকে মিথ্যাবাদী আখ্যা দিয়ে তিনি বলেন, ‘মির্জা ফখরুল সাহেব শিক্ষকতা পেশায় ছিলেন। শিক্ষকরা সুন্দর করে বুঝিয়ে ছাত্রদের পড়াতে পারেন। কিন্তু মির্জা ফখরুল যেভাবে সুন্দর করে মিথ্যা বলতে পারেন, আমি মনে করি না সেটা আর কেউ পারবে। করোনা মহামারি ও রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে সারাবিশ্ব যখন অর্থনৈতিক মন্দায় জর্জরিত, তখন আমাদের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দূরদর্শী চিন্তা দিয়ে দেশকে মন্দা থেকে বাঁচিয়েছেন। কিন্তু বিএনপির এটা সহ্য হয়নি।’

‘বিএনপি নেতারা একের পর এক মিথ্যাচার করে দেশের মানুষকে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করছে। বিএনপি জামায়াত ক্ষমতায় থাকাকালীন আমরা দেখেছি মানুষ বিদ্যুতের জন্য হাহাকার করছে, খাদ্যের জন্য হাহাকার করেছে। আজ এদেশের মানুষ স্বয়ংসম্পূর্ণ। সেটা তাদের সহ্য হচ্ছে না। তাই একটার পর একটা মিথ্যা বলে যাচ্ছে।’

যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক মাঈনুল হাসান খান নিখিল বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা চট্টলাবাসীর জন্য অনেক কিছু করেছেন, অনেক কিছু দিয়েছেন। আরও অনেক কিছু দেওয়ার জন্য আসবেন। তাই এই বীর চট্টলার উচিত তাঁকে সেভাবেই সংবর্ধনা দেওয়া। অনেক বিপ্লবী, অনেক রাজনীতিবিদ ঘুমিয়ে আছেন এই বীর চট্টলার মাটিতে। মুক্তিযুদ্ধে যারা এদেশের মাটি ও মানুষের সাথে বেঈমানি করে পাকিস্তানি হানাদেরদের সাথে হাত মিলিয়েছিল সেইসব রাজাকাররা আবার মাথাছাড়া দিয়ে উঠছে।’

‘একাত্তরের সেই পরাজিত শক্তি আবার গর্জে উঠেছে। যুদ্ধাপরাধের দায়ে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত কুখ্যাত রাজাকার সালাহউদ্দিন কাদের চৌধুরীর ছেলে বিএনপির সমাবেশে হুমকি দিয়েছে। আমরাও বলে দিতে চাই- রাজাকারের সন্তানদের বিরুদ্ধে প্রয়োজন হলে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আমরা আবার মুক্তিযুদ্ধে নামবো।’

যুবলীগের উপ-প্রচার সম্পাদক আদিত্য নন্দীর সঞ্চালনায় সভায় আরও বক্তব্য রাখেন- কেন্দ্রীয় প্রেসিডিয়াম সদস্য মঞ্জুর আলম শাহীন, চট্টগ্রাম বিভাগের দায়িত্বপ্রাপ্ত যুগ্ম সম্পাদক শেখ ফজলে নাঈম ও বদিউল আলম, সাংগঠনিক সম্পাদক সাইফুর রহমান সোহাগ, মশিউর রহমান চপল।

সারাবাংলা/আরডি/এনইউ

বিজ্ঞাপন
সর্বশেষ

সিটিকে সরিয়ে শীর্ষে লিভারপুল
২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ১৩:২০

পদ্মায় কমেছে পানি, থামছে না ভাঙন
২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ১৩:১৯

সম্পর্কিত খবর