এমআইএসটি’র একাডেমিক ও প্রশাসনিক ভবন উদ্বোধন সেনাপ্রধানের
২৯ নভেম্বর ২০২২ ২৩:০৭
ঢাকা: মিলিটারি ইন্সটিটিউট অব সাইন্স অ্যান্ড টেকনোলজির (এমআইএসটি) অবকাঠামোগত উন্নয়নের ধারাবাহিকতায় আধুনিক সুযোগ-সুবিধাসহ ফ্যাকাল্টি টাওয়ার ৩, ৪, অ্যাডমিন টাওয়ার এবং হল অব ফেমের নির্মাণ কাজ শেষ হয়েছে।
মঙ্গলবার (২৯ নভেম্বর) ভবনগুলো উদ্বোধন করেন সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল এস এম শফিউদ্দিন আহমেদ। অনুষ্ঠানে এমআইএসটির প্রাক্তন কমান্ড্যান্ট, সেনাবাহিনী সদর দফতরের প্রিন্সিপাল স্টাফ অফিসাররাসহ ঊর্ধ্বতন সামরিক ও অসামরিক কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
স্থাপনাগুলো উদ্বোধনের মাধ্যমে এমআইএসটির প্রতিটি অনুষদের বিপরীতে একটি করে স্বতন্ত্র টাওয়ার বিল্ডিংয়ে একাডেমিক কার্যক্রম সুষ্ঠুভাবে পরিচালনা করা সম্ভব হবে। ফ্যাকাল্টি টাওয়ারগুলোয় সর্বাধুনিক (স্টেট অব আর্টস) গবেষণাগার বিদ্যমান, যা এমআইএসটি তথা বাংলাদেশের গবেষণা ও উন্নয়ন খাতে বিশেষ অবদান রাখবে বলে আশা করা যায়।
হল অব ফেমের দেয়ালে সংরক্ষিত হয়েছে এমআইএসটির প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে এখন পর্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলক, সকল স্বর্ণপদকপ্রাপ্ত কৃতি শিক্ষার্থীর নাম, আন্তর্জাতিক ও জাতীয় পর্যায়ে অনুষ্ঠিত প্রতিযোগিতাগুলোর উল্লেখযোগ্য সাফল্যগুলোর নিদর্শন।
সেনাপ্রধানের উদ্বোধনের মাধ্যমে যাত্রা শুরু করল এমআইএসটির পেট্রোলিয়াম ও লুব্রিকেটিং স্টেটিং ল্যাব, যা বাংলাদেশে ব্যবহৃত পেট্রোলিয়ামজাত জ্বালানির সঠিক মান নিয়ন্ত্রণে বিশেষ ভূমিকা রাখবে। একইসঙ্গে তিনি সাইবার সিকিউরিটিতে উন্নত প্রশিক্ষণের জন্য নির্মিত সাইবার রেঞ্জও পরিদর্শন করেন।
উদ্বোধনকৃত প্রশাসনিক ভবনে ৪৫ হাজার বর্গফুটের এমআইএসটি সেন্ট্রাল লাইব্রেরি রয়েছে। লাইব্রেরির একটি অংশে একাডেমিক বইয়ের পাশাপাশি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের ওপর প্রায় চার হাজার বই সম্বলিত ‘বঙ্গবন্ধু ও বাংলাদেশ’ কর্নার স্থাপন করা হয়েছে। একইসঙ্গে প্রায় আড়াই হাজার বই নিয়ে গড়ে তোলা হয়েছে ‘শেখ রাসেল আঙ্গিনা’।
উল্লেখ্য, এমআইএসটি ১৯৯৯ সালে নতুন কোনো অবকাঠামো নির্মাণ ছাড়াই সেনাবাহিনীর নিজস্ব স্থাপনায় সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগে ৪০ জন শিক্ষার্থী নিয়ে মিরপুর সেনানিবাসে যাত্রা শুরু করে। বর্তমানে চারটি অনুষদের অধীনে ১৩টি বিভাগে মোট ২ হাজার ৯১৭ জন শিক্ষার্থী অধ্যয়ন করছে। বিএসসি ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের পাশাপাশি এমআইএসটিতে আটটি বিভাগে এমএসসি, তিনটি বিভাগে এমফিল ও সাতটি বিভাগে পিএইচডি প্রোগ্রাম চালু আছে। খবর: আইএসপিআর।
সারাবাংলা/পিটিএম