বাকপ্রতিবন্ধী নারীকে ধর্ষণের পর পুড়িয়ে হত্যার অভিযোগ
২৯ নভেম্বর ২০২২ ২৩:৪৪
ঢাকা: কেরানীগঞ্জের কদমতলির সুভাঢ্যা এলাকায় লতা সরকার (৩২) নামে বাকপ্রতিবন্ধী এক নারীকে ধর্ষণের পর পুড়িয়ে হত্যার অভিযোগ পাওয়া গেছে।
মঙ্গলবার (২৯ নভেম্বর) রাত ৮টার দিকে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ইনস্টিটিউটের আইসিইউতে ওই নারীর মৃত্যু হয়।
দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) শাহজামাল মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, ‘ওই নারী চিকিৎসাধীন অবস্থায় বার্ন ইনস্টিটিউটে মারা যায়। তার শরীরের ৬৫ শতাংশ দগ্ধ হয়েছিল।’
ওসি আরও জানান, সোমবার (২৮ নভেম্বর) দিবাগত রাত ২টার দিকে ট্রিপল নাইনে ফোন পেয়ে কেরানীগঞ্জের কদমতলির সুভাঢ্যা এলাকায় একটি সাবান কারখানার পাশ থেকে ওই নারীকে দগ্ধ অবস্থায় উদ্ধার করা হয়। পরে টহল পুলিশ তাকে শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ইনস্টিটিউটে ভর্তি করে।
ওসি শাহজামাল বলেন, ‘প্রথমে ওই নারীর পরিচয় পাওয়া যাচ্ছিল না। পরে ফিঙ্গার প্রিন্টের মাধ্যমে তার পরিচয় শনাক্ত হয়। পরিবারের মাধ্যমে জানা যায়, ওই নারী বাকপ্রতিবন্ধী ছিল। তার বাসা কলাতিয়া এলাকায়। বিষয়টি তদন্ত চলছে। নিহতের ভাই থানায় একটি হত্যা মামলা করেছে। ময়নাতদন্তের পর জানা যাবে ওই নারী ধর্ষণের শিকার হয়েছে কিনা।’
নিহত লতার বোন পাখি বেগম জানান, তাদের বাড়ি কেরানীগঞ্জের কলাতিয়ার আহাদিপুর গ্রামে। বাবার নাম রতন সরকার। তিন বোন দুই ভাইয়ের মধ্যে লতা ছিল বড়। জন্ম থেকে সে বাক প্রতিবন্ধী। অবিবাহিত ছিল লতা। গতকাল সোমবার সন্ধ্যার দিকে সেজেগুজে গলায় ও কানে সোনার গহনা পরে বাসার সামনে দাঁড়িয়েছিল।
পাখি অভিযোগ করে বলেন, ‘বাসার সামনে থেকে কয়েকজন লোক সিএনজিতে লতাকে তুলে নিয়ে যায়। এর পর রাতে বিভিন্ন জায়গায় খোঁজ করেও তার সন্ধান পাওয়া যায় না। পরে রাত ৩টার দিকে পুলিশের মাধ্যমে খবর পাই লতা দগ্ধ অবস্থায় বার্ন ইনস্টিটিউটে আছেন। তখন হাসপাতালে এসে বোনকে আইসিউতে দেখতে পাই।’
পাখি আরও বলেন, ‘আমার বোন কথা বলতে পারতো না। এই সুযোগেই তারা আমরা বোনকে ধর্ষণ করে শরীরে আগুন দিয়ে পুড়িয়ে মেরেছে। তবে ঘটনার পর থেকে এলাকার কয়েক জনকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। তাদের ধরলে সবকিছু জানা যাবে।’ এ সময় সে তার বোন হত্যার বিচার চান।
সারাবাংলা/এসএসআর/পিটিএম