৮ শর্তে রাজশাহীতে বিএনপিকে সমাবেশের অনুমতি
৩০ নভেম্বর ২০২২ ২৩:২৬
রাজশাহী: আটটি শর্তে রাজশাহীতে বিএনপির বিভাগীয় গণসমাবেশ আয়োজন ও মাইক ব্যবহারের অনুমতি দিয়েছে পুলিশ। বুধবার (৩০ নভেম্বর) রাজশাহী নগর পুলিশের বিশেষ শাখার উপকমিশনার মো. আবদুর রকিব বিএনপি চেয়ারপারসনের অন্যতম উপদেষ্টা মিজানুর রহমান মিনুকে চিঠি দিয়ে অনুমতি দেওয়ার কথা জানান। এই অনুমতিপত্রে পুলিশের পক্ষ থেকে আটটি শর্ত তুলে ধরা হয়েছে।
শর্তগুলো হলো- মাদরাসা ময়দাদের মধ্যে সমাবেশের যাবতীয় কার্যক্রম সীমাবদ্ধ রাখতে হবে। সমাবেশস্থলের আশপাশসহ রাস্তার কোনো অবস্থাতেই সমবেত হওয়া এবং যান ও জন চলাচলে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করা যাবে না। নিরাপত্তার জন্য সমাবেশে আগতদের চেকিংয়ের ব্যবস্থা করতে হবে এবং নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় পর্যাপ্ত সংখ্যক স্বেচ্ছাসেবক (দৃশ্যমান আইডি কার্ডসহ) নিয়োগ করতে হবে।
দেশের স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্ব ও সামাজিক-ধর্মীয় মূল্যবোধ, রাষ্ট্রীয় ভাবমূর্তি ও জাতীয় নিরাপত্তা বিঘ্নিত হয় এমন কোনো কার্যকলাপ এবং উসকানিমূলক বক্তব্য দেওয়া ও প্রচারপত্র বিলি করা যাবে না। সমাবেশে আসা-যাওয়ার পথে শোভাযাত্রা ও মিছিল করাসহ আইনশঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে- এরূপ কর্মকাণ্ড করা যাবে না। ব্যানার-ফেস্টুন ও পতাকাতে কোনো লাঠি ও রড ব্যবহার করা যাবে না। আযান, নামাজ ও অন্যান্য ধর্মীয় সংবেদনশীল সময়ে মাইক/শব্দযন্ত্র ব্যবহার করা যাবে না। ধর্মীয় অনুভূতির ওপর আঘাত আসতে পারে এমন কোনো বিষয়ে ব্যঙ্গচিত্র প্রদর্শন, বক্তব্য প্রদান বা প্রচার করা যাবে না।
মঞ্চ তৈরির সঙ্গে যারা জড়িত (আইডি কার্ডসহ) তারা ব্যতীত অন্য কেউ আগামী ৩ ডিসেম্বরের আগে সমাবেশস্থলে প্রবেশ কিংবা অবস্থান করতে পারবে না। সমাবেশের যাবতীয় কার্যক্রম দুপুর ২টা থেকে বিকেল ৫টার মধ্যে শেষ করতে হবে। সমাগত নেতাকর্মীরা যাতে কোনো প্রকার বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করতে না পারে দায়িত্বশীল নেতারা বা আয়োজকদের সেই দায়িত্ব নিতে হবে। নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় সমাবেশস্থলের অভ্যন্তরে ও বাইরে উন্নত রেজ্যুলেশনযুক্ত সিসি ক্যামেরা স্থাপন করতে হবে। সমাবেশস্থলের বাইরে বা সড়কের পাশে প্রজেক্টর/মাইক/সাউন্ড বক্স ব্যবহার করা যাবে না। সমাবেশস্থলে ইন্টারনেট সংযোগ ব্রডব্যান্ড সংযোগ ও রাউটার ব্যবহার করা যাবে না।
যানবাহনগুলো শহরের ভেতরে প্রবেশ করানো যাবে না। রাস্তা বন্ধ করে সমাবেশের কর্মসূচি পালন থেকে বিরত থাকতে হবে। মূল সড়কে কোনো পার্কিং করা যাবে না। এই অনুমতিপত্র স্থান ব্যবহারের অনুমতি নয়। স্থান ব্যবহারের জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে অনুমোদন নিতে হবে। জনস্বার্থে কর্তৃপক্ষ কোনো কারণ দর্শানো ছাড়া অনুমতির আদেশ বাতিল করার ক্ষমতা সংরক্ষণ করেন।
সারাবাংলা/পিটিএম