টঙ্গীতে পোশাককর্মীকে কবরস্থানে নিয়ে দলবদ্ধ ধর্ষণ, গ্রেফতার ৫
৩০ নভেম্বর ২০২২ ২৩:৫৪
গাজীপুর: জেলার টঙ্গীতে কবরস্থানের ভেতর এক পোশাককর্মীকে (১৯) দলবদ্ধ ধর্ষণের ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় পাঁচজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। গ্রেফতারের সময় পুলিশের ওপর হামলা করে আসামিরা। মঙ্গলবার (৩০ নভেম্বর) দিবাগত রাত ২টার দিকে টঙ্গীর মরকুন মধ্যপাড়া কবরস্থানে ধর্ষণের এই ঘটনা ঘটে।
গ্রেফতারকৃতরা হলেন- চাঁদপুর জেলার ফরিদগঞ্জ থানার মদনেরগাঁও গ্রামের মৃত আব্দুর রহমানের ছেলে বাবুল হোসেন বাবু (২৭) ও টঙ্গীর মরকুন এলাকার লুৎফর রহমান কালু (৬০), লুৎফর রহমান কালুর স্ত্রী ফাতেমা বেগম (৪৫), সনি আক্তার রিয়া (৪০), লুৎফর রহমান কালুর ছেলে আসাদুজ্জামান শাওন (২৮)।
পুলিশ জানায়, ধর্ষণের ঘটনায় জড়িতদের গ্রেফতার করতে গেলে পুলিশ সদস্য আমজাদ শরিফ মারধরের শিকার হন। পরে আহত পুলিশ সদস্যকে শহীদ আহসান উল্লাহ মাস্টার জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসা শেষে গাজীপুর পুলিশ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
পুলিশ আরও জানায়, নির্যাতিতা ওই নারী টঙ্গীর বিসিক এলাকার একটি পোশাক কারখানায় অপারেটর পদে কর্মরত ছিলেন। বুধবার রাত দুইটার দিকে জরুরি সেবা ৯৯৯ থেকে ফোনে দলবদ্ধ ধর্ষণের অভিযোগ পায় পুলিশ। পরে ঘটনাস্থল থেকে একজনকে গ্রেফতার করা হয়। রাতেই পুলিশ অভিযান চালালে পলাতকদের পরিবারের সদস্যরা মরকুন এলাকায় পুলিশ সদস্য (কন্সটেবল) আমজাদ শরিফকে মারধর করেন। এতে তিনি গুরুতর আহত হন। পরে পুলিশ সদস্যকে মারধরের ঘটনায় বুধবার (৩০ নভেম্বর) উপ-পরিদর্শক(এসআই) নজরুল ইসলাম বাদী হয়ে একটি মামলা দায়ের করেন।
জানা যায়, সাত মাস আগে শাওন নামের এক ছেলের সঙ্গে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে পরিচয় হয় নির্যাতিতা ওই নারীর। এর পর তাদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। এক পর্যায়ে তা ঘনিষ্ঠ হয়। বুধবার রাতে শাওনের ফোন পেয়ে বের হলে তার বন্ধু বাবু ও রিপন ওই নারীর মুখে গামছা চেপে কবরস্থানের ভেতরে নিয়ে পালাক্রমে ধর্ষণ করে। পরে তার চিৎকারে স্থানীয়রা এগিয়ে এসে বাবুকে আটক করে। কিন্তু রিপন পালিয়ে যায়।
টঙ্গী পূর্ব থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আশরাফুল ইসলাম বলেন, ‘ধর্ষণ ও পুলিশ সদস্যকে মারধরের ঘটনায় পাঁচজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। দুই ঘটনায় পৃথক দুটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। পলাতকদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।’
সারাবাংলা/পিটিএম