আমরা শুধু নয়াপল্টনই চেয়েছি: মির্জা আব্বাস
১ ডিসেম্বর ২০২২ ১৪:০৩
ঢাকা: ‘বিভাগীয় গণসমাবেশের’ জন্য আমরা শুধু নয়াপল্টনই চেয়েছি। ১৩ ও ২০ নভেম্বর দেওয়া লিখিত চিঠিতে এই একটি স্থানের নামই আমরা উল্লেখ করেছি। বিকল্প কোনো জায়গার কথা আমরা বলিনি। সুতরাং এ ব্যাপারে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী যা বলেছেন, তা বোধ হয় সঠিক বলেননি।
বৃহস্পতিবার (১ ডিসেম্বর) দুপুরে নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন বিএনপির ঢাকা ‘বিভাগীয় গণসমাবেশ’-এর সমন্বয় কমিটির উপদেষ্টা দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস।
সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘আমরা যে অ্যাপ্লিকেশন দিয়েছি, সেখানে একটা স্থানের কথাই বলা আছে। আমরা দ্বিতীয় কোনো স্থানের কথা বলি নাই। আমাদের আবেদনপত্র অনুযায়ী জায়গা দেওয়ার জন্য সরকারকে অনুরোধ জানাচ্ছি।
মির্জা আব্বাস বলেন, ‘আমরা তো জায়গার ব্যাপারে লিখিত দিয়েছি। মুখে তো কিছু বলি নি। রিসিভ কপি আছে। মিলিয়ে দেখতে বলেন।’
‘আমরা ঠিক বুঝতে পারছি না। এখানে আমরা শতাধিক সমাবেশ করেছি। কোনো সমস্যা হলো না। আমাদের বিভাগীয় গণসমাবেশ নিয়ে এতো সমস্যা হলো কেন? সরকার ইচ্ছে করে একটা ধুম্রজাল সৃষ্টি করেছে। এটা করে আমাদের নেতৃবৃন্দকে বিভ্রান্তির মধ্যে ফেলে দেওয়ার চেষ্টা করা হচ্ছে। তবে আমাদের নেতাকর্মীরা বিভ্রান্ত হবে না। আমাদের যোগাযোগ কমিটি রয়েছে, তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করে নেতাকর্মীরা সঠিক সময় সঠিক জায়গায় চলে আসবে।’
নয়াপল্টনে অনুমতি না দিলে শেষ পর্যন্ত আপনারা কি সোহরাওয়ার্দীতে সমাবেশ করবেন না?- এমন প্রশ্নের জবাবে মির্জা আব্বাস বলেন, ‘ না দিলে সেটা সময় বলে দেবে। অপেক্ষা করেন। সময়ই কথা বলবে।’
তিনি বলেন, ‘আমরা জানতে পেরেছি যে, সরকারের একটা গ্রুপ সভা করে এমন কথা বলে হয়েছে যে, বিএনপি নেতাকর্মীদের যেভাবেই হোক গ্রেফতার করতে হবে। নিজেরা বোমা ফাটিয়ে হলেও তাদেরকে গ্রেফতার করতে হবে। আর এখন আমরা দেখছি, ঢাকা শহরের বিভিন্ন জায়গায় বিএনপির নামে স্লোগান দিয়ে বোমাবাজি হচ্ছে।’
মির্জা আব্বাস বলেন, ‘একটা জিনিস পরিষ্কার যে, আমরা একটা শান্তিপূর্ণ সভা করব, শান্তিপূর্ণ একটা সমাবেশ করব। এই শান্তিপূর্ণ সমাবেশে আমরা কোনো অবস্থাতেই অশান্তি সৃষ্টি করতে চাই না। এটা পাগলেও বুঝতে যে, কেন আমরা অশান্তি সৃষ্টি করতে যাব?’
তিনি বলেন, ‘সরকারের মধ্যে একটা আতঙ্ক সৃষ্টি হয়েছে– কী কারণে জানি না। এটা আক্রমণাত্মক আন্দোলন নয়। বিভাগীয় সমাবেশ যেমননি আমরা আটটি বিভাগে করেছি, রাজশাহীতেও করব। যদিও সেখানে আমাদের কর্মীদের বিশ্রাম করার তাবু কেড়ে নিয়েছে, বাধা দিচ্ছে। প্রধানমন্ত্রী বলেছিলেন বিরোধী দলের সমাবেশে বাধা দেওয়ার প্রয়োজন নেই। কিন্তু আমরা এখন উল্টাটা দেখছি।’
মির্জা আব্বাস বলেন, ‘যাই হোকে– এই যে বিরোধীদল নিপীড়নের উৎসব চলছে। তো এই উৎসবকে আমরা খুব ভালোভাবে নিয়েছি। এটাকে আমরা গণসমাবেশের অংশ হিসেবে নিয়েছি। এ নিয়ে আমরা ভীত সন্ত্রস্ত নই। যেভাবেই হোক আমরা আমাদের সমাবেশ সফল করব।’
সংবাদ সম্মেলনে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন- বিএনপির ঢাকা বিভাগীয় গনসমাবেশের সমন্বয় কমিটির আহ্বায়ক আব্দুল্লাহ আল নোমান, যুগ্ম আহ্বায়ক আব্দুস সালাম, আমান উল্লাহ আমান, সদস্য সচিব অ্যাডভোকেট আব্দুস সালাম আজাদ, সদস্য খায়রুল কবির খোকন, মীর নেওয়াজ আলী নেওয়াজ, ব্যারিস্টার নাসির উদ্দীন অসীম, মীর সরফত আলী সপু, হাবীবুর রশীদ হাবিব, আব্দুস সাত্তার পাটোয়ারি প্রমুখ।
আরও পড়ুন: পুলিশ সদর দফতরে বিএনপির প্রতিনিধি দল
সারাবাংলা/এজেড/এমও