বাংলাদেশে ২০০ বৃটিশ কোম্পানি বিনিয়োগ করেছে
১ ডিসেম্বর ২০২২ ১৬:২৩
ঢাকা: ঢাকা চেম্বারের সভাপতি রিজওয়ান রাহমান বলেন, বর্তমানে প্রায় ২০০টি বৃটিশ কোম্পানী বাংলাদেশে ব্যাংকিং, টেক্সটাইল, কেমিক্যাল, ঔষধ ও জ্বালানি প্রভৃতি খাতে বিনিয়োগ করেছে। গত অর্থবছরে দুই দেশের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্যের পরিমাণ ছিল প্রায় ৪ দশমিক ১১ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। এর মধ্যে বাংলাদেশ প্রায় ৩ দশমিক ৭৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের পণ্য যুক্তরাজ্যের বাজারে রফতানি করেছে।
বৃহস্পতিবার (১ ডিসেম্বর) বাংলাদেশ সফররত ৭ সদস্য বিশিষ্ট চেম্বারর্স ওয়েলসের প্রতিনিধিদলের সঙ্গে ঢাকা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির (ডিসিসিআই) ‘বাংলাদেশ-ইউকে বিজনেস নেটওয়ার্কিং মিটিং’ শীর্ষক বৈঠকে ডিসিসিআই সভাপতি রিজওয়ান রাহমান এসব কথা বলেন।
ডিসিসিআই অডিটোরিয়ামে অনুষ্ঠিত সভায় উপস্থিত ছিলেন চেম্বার্স ওয়েলসের নির্বাহী চেয়ারম্যান পলভিন। এ ছাড়া সভায় বক্তব্য রাখেন দুই দেশের চেম্বারের প্রতিনিধিরা।
যুক্তরাজ্যের বাজার বাংলাদেশের তৃত্বীয় বৃহত্তম রফতানিকারক দেশ উল্লেখ করে রিজওয়ান রাহমান বলেন, ‘আমাদের মোট রফতানির প্রায় ৮০ শতাংশ তৈরি পোশাক খাতের উপর নির্ভরশীল হলেও হিমায়িত খাদ্য, তথ্য-প্রযুক্তি, চামড়া ও চামড়াজাত পণ্য, বাইসাইকেল এবং পাট পণ্য বৃটেনে প্রচুর চাহিদা রয়েছে।’
তিনি বলেন, ‘ব্রেক্সিট এবং এলডিসি হতে বাংলাদেশের উত্তোরণ পরবর্তী সময়ে দুই দেশের ব্যবসা-বাণিজ্য ও বিনিয়োগের অধিকতর সম্প্রসারণের লক্ষ্যে মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি (এফটিএ) এবং কম্প্রিহেনসিভ ইকোনোমিক পার্টনারশীপ এগ্রিমেন্ট (সিইপিএ) অত্যন্ত কার্যকর ভূমিকা পালন করবে।’
এ ছাড়া বাংলাদেশের তরুণ জনগোষ্ঠীকে দক্ষ মানব সম্পদে পরিণত করতে এ খাতে বিনিয়োগের পাশাপাশি তথ্য-প্রযুক্তি ও উদ্ভাবন খাতেও বিনিয়োগের জন্য ওয়েলসের উদ্যোক্তাদের প্রতি আহবান জানান ঢাকা চেম্বারের সভাপতি।
চেম্বার্স ওয়েলসের নির্বাহী চেয়ারম্যান পলভিন বলেন, ‘সাম্প্রতিক সময়ে বাংলাদেশ অর্থনীতিতে অনুসরণীয় উন্নতি সাধন করেছে, বিশেষ করে অবকাঠামো খাতে বাংলাদেশের অগ্রগতি চোখে পড়ার মতো।’
তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশের অর্থনীতির এ পরিবর্তনে দেশটির বেসরকারিখাতের ভূমিকা অত্যন্ত বেশি এবং ওয়েলসের বেসরকারিখাত বাংলাদেশি উদ্যোক্তাদের সঙ্গে পার্টনারশীপ সম্প্রসারণে অত্যন্ত আগ্রহী।’
তিনি আরও বলেন, ‘তথ্য-প্রযুক্তি খাত ও মানব সম্পদের দক্ষতা উন্নয়নে বৃটেনের দীর্ঘকালের অভিজ্ঞতা রয়েছে, যা বাংলাদেশের তরুণ সমাজকে দক্ষ মানব সম্পদের পরিণত করার পাশাপাশি বর্তমান সময়ে তথ্য-প্রযুক্তির চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় কাজে লাগতে পারে।’
সারাবাংলা/জিএস/ইআ