‘পাহাড়ে সম্প্রীতি ফেরাতে সবাইকে কাজ করতে হবে’
২ ডিসেম্বর ২০২২ ২২:০৯
ঢাকা: পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তির পর পাহাড়ে জমি-সংক্রান্ত সবচেয়ে বড় বিরোধ অনেকটাই কেটে গেছে। পাহাড়বাসী মেনে নিয়েছেন। বাঙালিদের কিছু আপত্তি থাকলেও বাজে প্রতিক্রিয়া তারা দেখাননি। পাহাড়ে সম্প্রীতি ফেরাতে সবাইকে কাজ করতে হবে। একই সঙ্গে সারাদেশের সম্প্রীতি বজায় রাখার কথাও বলতে হবে।
শুক্রবার (২ ডিসেম্বর) রাজধানীর সিরডাপ মিলনায়তনে ‘পাহাড়ে সম্প্রীতি’ শীর্ষক সম্প্রীতি বাংলাদেশের আলোচনা সভায় বক্তারা এসব কথা বলেন।
আয়োজক সংগঠনের আহ্বায়ক পীযূষ বন্দ্যোপাধ্যায়ের সভাপতিত্বে এবং সদস্য সচিব অধ্যাপক ডা. মামুন আল মাহতাব স্বপ্নীলের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ। অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন সাবেক সচিব ও সম্প্রীতি বাংলাদেশের যুগ্ম আহ্বায়ক নাসির উদ্দিন আহমেদ, সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের নির্বাহী সদস্য শেখ এনায়েত হোসেন বাবলু, ইউজিসির সাবেক চেয়ারম্যান ও পার্বত্য শান্তিচুক্তির সঙ্গে সরাসরি যুক্ত অধ্যাপক আব্দুল মান্নান, রাজনৈতিক বিশ্নেষক সুভাস সিংহ রায়সহ অন্যরা।
সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘পাহাড়ে শান্তি নষ্টের জন্য দায়ী সামরিক শাসকরা। শান্তিচুক্তির পরে সেখানে পাহাড়ি ও বাঙালি সমস্যা আগের মতো নেই। তবে স্থানীয় জাতিগোষ্ঠীর মধ্যে সমস্যা রয়েছে।’
তিনি বলেন, ‘অতীতে সব সামরিক সরকার উলফাসহ সীমান্তের সন্ত্রাসীদের পাহাড়ে প্রশ্রয় দিয়েছে। এখন কিছু জঙ্গি সংগঠন আস্তানা গেড়েছে। এর পেছনে কারা আছে, সবাই জানে। জিয়াউর রহমান সব খুনিকে একসঙ্গে পাহাড়ে আশ্রয় দেন, যে কারণে এখনও অশান্তি দেখা যায়।’
অধ্যাপক আব্দুল মান্নান বলেন, ‘পাহাড়ে জমি-সংক্রান্ত সবচেয়ে বড় সমস্যা অনেকাংশে মিটে গেছে। আজ শুধু পাহাড়ে নয়, আমাদের সবার দেশের সম্প্রীতির কথা বলা উচিত।’
পীযূষ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘শান্তিচুক্তির কারণে পাহাড়ের রাজনীতি প্রকাশ্যে এসেছে। পাহাড়ের শান্তি ফেরাতে শুধু সরকার কিংবা সেনাবাহিনীর ওপর নির্ভর থাকলে হবে না। সবাইকে একসঙ্গে কাজ করতে হবে।’
সারাবাংলা/একে