৫ বছর আগে ঢাবি থেকে চাকরি হারান ঘাতক শিক্ষক জাফর শাহ
২ ডিসেম্বর ২০২২ ২২:৩১
ঢাকা: প্রাইভেটকার চাপায় নারীর মৃত্যুর ঘটনায় জড়িত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের শিক্ষক আজহার জাফর শাহকে সাড়ে পাঁচবছর আগে নৈতিক স্খলনের দায়ে চাকরিচ্যুত করেছিল কর্তৃপক্ষ।
বিভাগ সূত্র জানাচ্ছে, ‘ঔদ্ধত্যপূর্ণ’ স্বভাবের ওই শিক্ষকের বিরুদ্ধে ব্যক্তিগত ক্ষোভের জেরে একসঙ্গে ৮০ শিক্ষার্থীকে পরীক্ষার খাতায় শূন্য মার্কস দেওয়াসহ আরও বিভিন্ন ধরনের অভিযোগ ছিল তার বিরুদ্ধে।
শুক্রবার (২ ডিসেম্বর) দুপুর সাড়ে ৩টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদ-সংলগ্ন সড়কে একটি মোটর সাইকেলকে ধাক্কা দিলে রুবিনা আক্তার নামে এক নারীর মৃত্যু হয়।
বিভাগ সূত্র জানায়, ২০০৭ সালে শিক্ষার্থীদের পক্ষ থেকে তার বিরুদ্ধে অশিক্ষকসুলভ এবং অপেশাদারিত্বমূলক আচরণের অভিযোগ আসে। সে সময়ে শিক্ষার্থীদের পক্ষ থেকে তার বিরুদ্ধে বিভিন্ন পরীক্ষার নম্বর দেওয়ায় পক্ষপাতিত্ব করার অভিযোগও করা হয়। অভিযোগের পর একটি বিভাগীয় তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। তাকে কারণ দর্শানোর জন্য বলা হলেও তিনি কোনো ধরনের আত্মপক্ষ সমর্থন করেননি। নোটিশেরও জবাব দেননি।
২০০৭ সালেই আজহার জাফর শাহকে বিভাগীয় ক্লাস নেওয়া থেকে বিরত রাখা হয়। এরপর থেকে তিনি বিভাগের সঙ্গে যোগাযোগ রাখা বাদ দেন। ওই শিক্ষককে সহযোগী অধ্যাপক পদে পদোন্নতি দেওয়া হলেও শর্ত পূরণ করতে না পারায় সহকারী অধ্যাপক পদে পুনরায় পদাবনতি দেওয়া হয়।
দশ বছর পর ২০১৭ সালের ২৭ এপ্রিল বিশ্ববিদ্যালয়ের সর্বোচ্চ নীতিনির্ধারণী ফোরাম সিন্ডিকেটের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী আজহার জাফর শাহকে বহিষ্কার করে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বিভাগটির একজন জ্যেষ্ঠ শিক্ষক সারাবাংলাকে বলেন, ‘ভয়ংকর ও ঔদ্ধত্যপূর্ণ একজন লোক তিনি। একই ব্যাচের ৮০ জন শিক্ষার্থীকে পরীক্ষার খাতায় শূন্য দিয়েছিলেন তিনি। ব্যক্তিগত ক্ষোভের জেরে এমন ঘটনা তার পক্ষে নতুন ছিল না। আগেও এমন ঘটনা ঘটিয়েছেন তিনি।’
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের বর্তমান চেয়ারপারসন অধ্যাপক লাইলুফার ইয়াসমিন সারাবাংলাকে বলেন, ‘বিভাগের সঙ্গে ওনার কোনো যোগাযোগই নেই। বেশ কয়েকবছর আগে তিনি চাকরিচ্যুত হয়েছিলেন। এর আগে দীর্ঘ সময় ধরে সাসপেনশনে ছিলেন তিনি।’
সারাবাংলা/আরআইআর/একে