Saturday 23 Nov 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

শেখ হাসিনার নির্দেশে নয়াপল্টনে ককটেল বিস্ফোরণ: রিজভী

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট
৩ ডিসেম্বর ২০২২ ২২:১৯

ঢাকা: আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ হাসিনার নির্দেশে নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে ককটেল বিস্ফোরণ ঘটানো হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন দলটির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।

শনিবার (৩ ডিসেম্বর) রাতে নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ অভিযোগ করেন।

রিজভী বলেন, ‘১০ ডিসেম্বর নয়াপল্টনে শান্তিপূর্ণ গণসমাবেশকে বানচাল করতেই সন্ধ্যায় শেখ হাসিনার নির্দেশে বিএনপি পার্টি অফিসের সামনে ককটেল বিস্ফোরণ ঘটানো হয়েছে। এটি আওয়ামী সরকারের নির্দেশিত গোয়েন্দা সংস্থাগুলোর যৌথ প্রযোজনা। তবে ১০ ডিসেম্বর নিয়ে যতই নীল নকশা করা হোক, বিএনপি জনগণকে সঙ্গে নিয়ে নয়াপল্টনের গণসমাবেশকে সফল করতে দৃঢ়প্রতিজ্ঞ।

এর আগে, শনিবার মাগরিবের পরপরই নয়াপল্টনে বিএনপি কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে ককটেল বিস্ফোরণ ঘটায় দুষ্কৃতকারীরা।

এ ঘটনাকে পুলিশের মাস্টারপ্ল্যান হিসেবে আখ্যা দিয়ে রিজভী বলেন, ‘কিছুক্ষণ আগে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী সাংবাদিকদেরজানিয়েছেন- নয়াপল্টনে যারা জমায়েত করবে তাদের গ্রেফতার করা হবে। সুতরাং এই গ্রেফতারের প্রেক্ষাপট তৈরি করার জন্যই এই ককটেল বিস্ফোরণ ঘটানো হয়েছে এবং কয়েকদিন ধরে নারায়ণগঞ্জ ও মুন্সিগঞ্জে ককটেল বিস্ফোরণ ও আগুন সন্ত্রাসের সূত্রপাত করা হয়েছে। আওয়ামী সরকার টিকে থাকার জন্য মরণকামড় দিতে চাচ্ছে। কিন্তু ক্ষমতাসীন গোষ্ঠী মানুষের মনের কথা উপলব্ধি করতে পারছে না। জনগণ এখন দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করে ‘শেখ হাসিনার সময় শেষ, রক্ষা পাবে বাংলাদেশ।’

‘বিএনপিকে যেখানে অনুমতি দেওয়া হয়েছে, সেখানেই সমাবেশ করতে হবে’— পুলিশ প্রধানের এমন বক্তব্যের প্রতিক্রিয়ায় রুহুল কবির রিজভী বলেন, ‘পুলিশ প্রধান আওয়ামী চেতনায় উদ্বুদ্ধ হয়েই কথাবার্তা বলছেন। তিনি কোনো ন্যায়নীতির পরোয়া করছেন না। নিষ্ঠুর কর্তৃত্ববাদী আওয়ামী দুঃশাসনের সেবক হিসেবে তিনি কাজ করছেন। সেজন্য নয়াপল্টনে বিএনপি কেন্দ্রীয় অফিসের সামনে পরিকল্পিত ককটেল বিস্ফোরণ ঘটিয়ে গণগ্রেফতারের অভিযান চালানো হচ্ছে।’

বিজ্ঞাপন

তিনি বলেন, ‘দুঃশাসনকে প্রলম্বিত করতে শেখ হাসিনার পুলিশ বাহিনী নিরপেক্ষতা হারিয়ে বিরোধীদল দমনের এক ভয়ঙ্কর নিপীড়ন যন্ত্রে পরিণত হয়েছে। সন্ত্রাস আর মৃত্যুর মিছিলকে দীর্ঘ করেছে শেখ হাসিনার আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। তাদের কারণেই দেশব্যাপী জনমানসে এক শূন্যতাবোধ তৈরি হয়েছে। এরা গুম-খুনের কর্মসূচিকে নিষ্ঠার সঙ্গে বাস্তবায়ন করে মানুষের স্বাধীন কণ্ঠকে স্তব্ধ করে যাচ্ছে। এদের দ্বারাই শেখ হাসিনা দেশের ওপর দখলদারী বজায় রেখেছে।’

রিজভী বলেন, ‘বিএনপিসহ বিরোধী দলের কর্মসূচিকে পণ্ড করতে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী যে দমননীতি প্রয়োগ করে যাচ্ছে, তাতে তারা দেশকে বিপজ্জনক পরিস্থিতির মধ্যে ঠেলে দিচ্ছে। পরিকল্পিতভাবে ককটেল বিস্ফোরণ, গাড়িতে অগ্নিসংযোগ, মানুষকে অগ্নিদগ্ধ করে তার দায় বিএনপির ওপর চাপানোর চেষ্টা করে যাচ্ছে। কিন্তু মিথ্যাকে সত্যে পরিণত করা যায় না। প্রতিনিয়ত আগুন সন্ত্রাসের জারিজুরি ফাঁস হয়ে যাচ্ছে। এ ধরনের ঘটনা যে সরকারি গোয়েন্দা ও আওয়ামী সন্ত্রাসীদের সম্মিলিত প্রচেষ্টার ফল, সেটি ক্রমান্বয়ে উন্মোচিত হচ্ছে।’

তিনি বলেন, ‘সকল গৌরবোজ্জ্বল অর্জনকে ম্লান করে শেখ হাসিনা দেশকে অন্তহীন শূন্যতার পথে চালিত করছেন। অকল্পনীয় নিষ্ঠুরতা আর ছলনার আশ্রয় নিয়ে গণতন্ত্রকে অদৃশ্য করে ক্ষমতায় চিরস্থায়ীভাবে থাকার স্বপ্ন নিয়ে তিনি আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী সাজিয়েছেন। আর এজন্যই ১০ ডিসেম্বর নয়াপল্টনে বিএনপির গণসমাবেশ নিয়ে নানামুখী চক্রান্তে মেতে উঠেছেন।’

সারাবাংলা/এজেড/এনএস

আওয়ামী লীগ বিএনপি রুহুল কবির রিজভী

বিজ্ঞাপন

নতুন বার্সেলোনায় মুগ্ধ মেসি
২৩ নভেম্বর ২০২৪ ১০:৫৫

মাদকের টাকার জন্য মা'কে খুন
২৩ নভেম্বর ২০২৪ ০৮:৫৭

আরো

সম্পর্কিত খবর