ইসি’র করা প্রতারণা মামলায় ডা. সাবরিনার বিরুদ্ধে চার্জশিট

ডা. সাবরিনা শারমিন, ফাইল ছবি

ঢাকা: ডা. সাবরিনা শারমিনের বিরুদ্ধে নির্বাচন কমিশনের (ইসি) দায়ের করা প্রতারণার মামলায় চার্জশিট দাখিল করেছে মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। সম্প্রতি মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ডিবি পুলিশের গুলশান জোনাল টিমের পরিদর্শক রিপন উদ্দিন এই চার্জশিট দাখিল করেন।

রোববার (৪ ডিসেম্বর) বাড্ডা থানার আদালতের সাধারণ নিবন্ধন শাখার কর্মকর্তা সাব-ইন্সপেক্টর রণপ কুমার চার্জশিটের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। আগামী ২২ ডিসেম্বর মামলাটির তারিখ ধার্য রয়েছে।

চার্জশিটে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা উল্লেখ করেন, ১৯৭৬ সালের ২ ডিসেম্বর ডা. সাবরিনার সঠিক জন্ম তারিখ। তিনি ২০১৬ সালে দ্বিতীয় এনআইডিতে ১৯৮৩ সালের ২ ডিসেম্বর জন্ম তারিখ সংক্রান্ত সম্পূর্ণ মিথ্যা তথ্য দেন। তিনি ১৯৯১ সালে ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজ থেকে এসএসসি পাস করেন। ২০০০ সালে স্যার সলিমুল্লাহ মেডিক্যাল কলেজ থেকে এমবিবিএস পাস করেন। ১৯৮৩ সালে জন্ম তারিখ ধরলে তিনি মাত্র আট বছর বয়সে এসএসসি ও ১৭ বছরে এমবিবিএস পাস করেন, যা গ্রহণযোগ্য নয়।

তিনি বয়স কমিয়ে জালিয়াতির উদ্দেশে দ্বিতীয় টিআইএন নম্বর প্রাপ্ত হয়েছে এবং প্রতারণামূলকভাবে দ্বিতীয় এনআইডি খাটি দলিল হিসেবে তার অফিসে এইচআরআইএস এ ব্যবহার করে পিআরএলের সময় বৃদ্ধি করে অপরাধ করেছেন।

অভিযোগে থেকে জানা যায়, বর্তমান সাবরিনার দু’টি এনআইডি কার্ড সক্রিয়। দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) বিষয়টি টের পাওয়ার পর বিস্তারিত জানতে ইসির কাছে তথ্য চায়। সাবরিনা ২০১৬ সালের ভোটার তালিকা হালনাগাদের সময় দ্বিতীয়বার ভোটার হন। তিনি প্রথমে ভোটার হন সাবরীনা শারমিন হোসেন নামে। একটিতে জন্ম তারিখ দেওয়া ১৯৭৮ সালের ২ ডিসেম্বর।

অন্যটিতে ১৯৮৩ সালের ২ ডিসেম্বর। প্রথমটিতে স্বামীর নাম হিসেবে ব্যবহার করেছেন আর এইচ হক। আর দ্বিতীয়টিতে স্বামীর নাম লেখা হয়েছে আরিফুল চৌধুরী। ২০২০ সালের ৩০ আগস্ট ডা. সাবরিনার বিরুদ্ধে মামলাটি দায়ের করেন গুলশান থানা নির্বাচন অফিসার মোহাম্মদ মমিন মিয়া।

এ মামলায় ২০২০ সালের ২২ নভেম্বর জামিন পান সাবরিনা। বর্তমানে তিনি অন্য মামলায় কারাগারে রয়েছেন।

সারাবাংলা/এআই/এমও

ইসি’র প্রতারণা চার্জশিট ডা. সাবরিনা