মশা নিধনে অবহেলা পেলে নেওয়া হবে কঠোর ব্যবস্থা: আতিক
৪ ডিসেম্বর ২০২২ ২১:৪২
ঢাকা: পরিচ্ছন্নতা ও মশা নিধন কার্যক্রমে অবহেলা পেলে কর্মীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম।
রোববার (৪ ডিসেম্বর) দুপুরে রাজধানীর গুলশান-২ এ নগর ভবনের হল রুমে শুষ্ক মৌসুমে মশার প্রকোপ নিয়ন্ত্রণে করণীয় বিষয়ে অনুষ্ঠিত সমন্বয় সভায় ডিএনসিসি মেয়র আতিক এই হুঁশিয়ারি দেন।
সমন্বয় সভায় ডিএনসিসি এলাকায় মশার বর্তমান পরিস্থিতি এবং মশা নিধনে করণীয় সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা হয়। এসময় ডিএনসিসি মেয়র আগামী বুধবার (৭ ডিসেম্বর) হতে ১৫ দিনের জন্য পাঁচটি ওয়ার্ডে (ওয়ার্ড নং ০১, ১৭, ৪৯, ৫০ ও ৫২) মশার প্রকোপ নিয়ন্ত্রণে সব বিভাগের সমন্বিত ক্র্যাশ প্রোগ্রাম পরিচালনার নির্দেশ দেন।
আতিকুল ইসলাম বলেন, ‘পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রম ও মশক নিধন কার্যক্রমের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সবাইকে আরও তৎপর হতে হবে। বিশেষ করে পরিচ্ছন্নতা পরিদর্শকদের প্রতিটি এলাকা পরিদর্শন করে কোন কোন ড্রেনে ময়লা বেশি সেটার তালিকা তৈরি করতে হবে। কোন কোন ড্রেনে ও নালায় কচুরিপানা ও অন্যান্য ময়লা বেশি সেগুলো চিহ্নিত করে নিয়মিত পরিষ্কার করতে হবে। মাঠে কাজের ক্ষেত্রে পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রম ও মশক নিধন কার্যক্রমে কর্মীদের অবহেলা পেলে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘দশটি অঞ্চলে আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তার নেতৃত্বে কাউন্সিলরদের অন্তর্ভুক্ত করে সংশ্লিষ্ট সকল বিভাগের কর্মকর্তাদের সমন্বয়ে একটি সমন্বিত মশক নিধন কার্যক্রম পরিচালনা কমিটি গঠন করে কার্যক্রম পরিচালনা করতে হবে। ৫টি ওয়ার্ডে প্রাথমিকভাবে ক্র্যাশ প্রোগ্রাম শুরু হবে। পর্যায়ক্রমে পুরো এলাকায় এই সমন্বিত কার্যক্রম পরিচালনা করা হবে।’
ডিএনসিসি মেয়র আতিক নির্দেশনা প্রদান করে বলেন, ‘বর্জ্য বিভাগ প্রতিটি এলাকার ড্রেন, খাল, নালা ও জলাশয় নিয়মিত পরিষ্কার করবে এবং তাদের সঙ্গে সমন্বয় করে স্বাস্থ্য বিভাগ থেকে মশক নিধন কার্যক্রম পরিচালনা করবে। কোনো খাল, নালা ও জলাশয়ে কচুরিপানা জমতে দেওয়া যাবে না। প্রতিদিন পরিষ্কার করে ছবি তুলে সেগুলোর প্রতিবেদন জমা দিতে হবে।’
এছাড়াও ডিএনসিসি’র আওতাধীন এলকায় অবস্থিত বিভিন্ন সরকারি, স্বায়ত্তশাসিত ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের মালিকানাধীন ডোবা ও জলাশয়ের মালিকদের পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রম পরিচালনা করতে পত্র প্রদান করার নির্দেশ দেন তিনি।
সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন ডিএনসিসি’র প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. সেলিম রেজা, প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ব্রিগে. জেনা. মো. জোবায়দুর রহমান, প্রধান প্রকৌশলী ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মুহ. আমিরুল ইসলাম, প্রধান বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তা কমডোর এস এম শরিফ-উল ইসলাম, সচিব মোহাম্মদ মাসুদ আলম ছিদ্দিক। এছাড়াও আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তারা, তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলীরা, অতিরিক্ত প্রধান বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তা, নির্বাহী প্রকৌশলীরা, ঊর্ধ্বতন কটি নিয়ন্ত্রণ কর্মকর্তা, সহকারী স্বাস্থ্য কর্মকর্তা, সহকারী প্রধান বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তা, পরিছন্ন কর্মকর্তা, পরিছন্ন পরিদর্শক ও মশক সুপারভাইজারা উপস্থিত ছিলেন।
সারাবাংলা/আরএফ/এনএস
ডিএনসিসি ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন মশা নিধনে মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম