বাড্ডায় ছুরিকাঘাত করে এইচএসসি পরীক্ষার্থীকে হত্যা
৪ ডিসেম্বর ২০২২ ২২:২৬
ঢাকা: রাজধানীর মেরুল বাড্ডা ডিআইটি প্রজেক্ট এলাকায় ছুরিকাঘাতে আশফাকুর রহমান চৌধুরী সাতিল (২০) নামে এক শিক্ষার্থী খুন হয়েছে। এই ঘটনায় আহত হয়েছে সোয়াইব হোসেন (১৮), রূপম দত্ত (১৮) নামে দুই শিক্ষার্থী। তাদের বন্ধু রকিসহ কয়েকজন মিলে ছুরিকাঘাত করেছে বলে প্রাথমিকভাবে পুলিশ তথ্য পেয়েছে।
রোববার (৪ ডিসেম্বর) সন্ধ্যা সারে ৭টার দিকে ডিআইটি প্রজেক্ট ১৩ নম্বর রোডে এই ঘটনা ঘটে। মুমূর্ষু অবস্থায় তাদেরকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে (ঢামেক) নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক সাড়ে ৯টার দিকে সাতিলকে মৃত ঘোষণা করেন।
সাতিলের বাবা গোলাম মনিরুজ্জামান চৌধুরি জানান, তাদের বাসা ডিআইটি প্রজেক্টের ১১ নম্বর রোডের। গ্রামের বাড়ি ঢাকার দোহারে। বাংলাদেশ নৌবাহিনী কলেজ থেকে এবার উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষা দিচ্ছিল সাতিল।
আহত সোয়াইবের বাবা শাহজাহান মিয়া জানান, তাদের বাসা ডিআইটি প্রজেক্টের ৫ নম্বর রোডে। তেজগাঁও পলিটেকনিকে সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং এ পড়ে।
সাতিলকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া পরিচিত সায়েম সিকদার জানান, সন্ধ্যা পর মানুষের ডাকচিৎকার শুনে তারা ১৩ নম্বর রোডে গিয়ে দেখেন সাতিল এবং সোয়াইব রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে আছে। তখন সেখান থেকে দ্রুত তাদেরকে স্থানীয় এশিয়ান হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখান থেকে তাদেরকে ঢাকা মেডিকেলে নিয়ে যাওয়া হয়।
হাসপাতালে আহত রুপম জানান, দুই দিন আগে ১৩ নম্বর রোডে রকি তাকে ডেকে জিজ্ঞাসা করে, সে কেন তাকে তুই বলে সম্বোধন করে। এ নিয়ে রকি তাকে শাসায়।
আজ সন্ধ্যার পর তারা ৩ জন যখন আড্ডা শেষে বাসায় ফিরছিল তখন আগে হাঁটছিলো রুপম আর তার অনেক পিছনে ছিল সোয়াইব ও সাতিল। ১৩ নম্বর রোডে দাঁড়িয়ে থাকা রকি তখন রুপমকে একা পেয়ে মারধর শুরু করে। এটি দেখে দৌড়ে এসে সোয়াইব ও সাতিল তাকে রকির হাত থেকে বাঁচানোর চেষ্টা করে। এতে তাদের মধ্যে মারামারি বেঁধে যায়। এক পর্যায়ে রকি তিনজনকে ছুরিকাঘাত করে পালিয়ে যায়।
ঢামেক হাসপাতালের পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ (ইন্সপেক্টর) মো. বাচ্চু মিয়া মৃত্যুর জানান, নিহতের বাম পায়ের রানে ছুরিকাঘাত করা হয়েছে। মরদেহটি মর্গে রাখা হয়েছে। সোয়াইবের বুকে সহ শরীরের কয়েক জায়গায় ছুরিকাঘাত রয়েছে। জরুরি বিভাগে তাকে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।
সারাবাংলা/এসএসআর/একে