প্রাথমিকে ফের শুরু হচ্ছে বৃত্তি পরীক্ষা
৫ ডিসেম্বর ২০২২ ১৬:০৭
ঢাকা: শিক্ষার প্রাথমিক স্তরে আবারও বৃত্তি পরীক্ষা পদ্ধতি শুরু হতে যাচ্ছে। চলতি ডিসেম্বরের শেষ সপ্তাহে দেশের উপজেলাগুলোতে এই পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে। দেশের প্রতিটি স্কুলের পঞ্চম শ্রেণির মোট শিক্ষার্থীর ১০ শতাংশ এই পরীক্ষায় অংশ নিতে পারবে বলে জানিয়েছে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতর সূত্র।
প্রাথমিক স্তরে মেধা বৃত্তির জন্য যোগ্য শিক্ষার্থী বাছাইয়ের উদ্দেশ্যে এক সময় বৃত্তি পরীক্ষার প্রচলন ছিল। ২০০৯ সালে আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন মহাজোট সরকার দায়িত্ব নেওয়ার পর প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী পরীক্ষা (পিইসি) শুরু হওয়ার পর এই বৃত্তি পরীক্ষা বন্ধ হয়ে যায়। প্রাথমিক সমাপনী পরীক্ষার ফলাফলের ভিত্তিতেই শিক্ষার্থীদের বৃত্তি দেওয়া শুরু হয়। গত দু্ই বছর করোনাভাইরাস (কোভিড-১৯) মহামারির কারণে প্রাথমিক সমাপনী পরীক্ষা হয়নি। এরমধ্যেই ঘোষণা আসে নতুন শিক্ষা কারিক্যুলাম শুরুর। সেখানে বাদ দেওয়া হয় সমাপনী পরীক্ষা। ফলে প্রাথমিক স্তরে বৃত্তির জন্য যোগ্য শিক্ষার্থী বাছাই করতে আবারও আলাদা করে পরীক্ষা ব্যবস্থা ফিরিয়ে আনা হচ্ছে।
এ প্রসঙ্গে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতরের মহাপরিচালক শাহ রেজওয়ান হায়াত গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন, প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী পরীক্ষা অনুষ্ঠিক না হলেও আগামী ৮ ডিসেম্বর থেকে বার্ষিক মূল্যায়ন পরীক্ষা শুরু হচ্ছে। শ্রেণিকক্ষ ও বার্ষিক মূল্যায়ন পরীক্ষার ভিত্তিতে মেধা যাচাইয়ে এগিয়ে থাকা ১০ শতাংশ শিক্ষার্থী এই বৃত্তি পরীক্ষায় অংশ নিতে পারবে।
উল্লেখ্য, ২০২৩ সাল থেকে শিক্ষা ব্যবস্থায় নতুন কারিক্যুলাম শুরু করতে যাচ্ছে সরকার। প্রাথমিক পর্যায়ে প্রথম, ষষ্ঠ ও সপ্তম শ্রেণিতে নতুন কারিক্যুলামে পাঠদান শুরু হচ্ছে। নতুন শিক্ষাক্রমে পঞ্চম শ্রেণির প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী এবং অষ্টম শ্রেণিতে জুনিয়র স্কুল সার্টিফিকেট পরীক্ষা রাখা হয়নি। সবশেষ প্রাথমিক সমাপনী পরীক্ষা নেওয়া হয় ২০১৯ সালে। ওই ফলাফলের ভিত্তিতে ২০২০ সালের ফেব্রুয়ারিতে বৃত্তির জন্য নির্বাচিত ৮০ হাজারের বেশি শিক্ষার্থীদের তালিকা প্রকাশ করা হয়। দুই ক্যাটাগরিতে শিক্ষার্থীদের বৃত্তি দেওয়া হয়। ট্যালেন্টপুলে বৃত্তিপ্রাপ্তদের মাসে ৩০০ টাকা এবং সাধারণ বৃত্তিপ্রাপ্তদের ২২৫ টাকা করে দেওয়া হয়।
সারাবাংলা/জেআর/এনএস