সাংবিধানিক স্বীকৃতি ও ভুয়া মুক্তিযোদ্ধা বিতাড়নের দাবি
৩০ এপ্রিল ২০১৮ ১৭:২০
।। স্টাফ করেসপন্ডেন্ট ।।
ঢাকা: মুক্তিযোদ্ধাদের সাংবিধানিক স্বীকৃতি ও মুক্তিযোদ্ধাদের তালিকা থেকে ভুয়া মুক্তিযোদ্ধা বিতাড়নের দাবিতে আলটিমেটাম ঘোষণা করেছে ‘একাত্তরের মুক্তিযোদ্ধা’ নামের একটি সংগঠন।
সোমবার (৩০ এপ্রিল) রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবের কনফারেন্স লাউঞ্জে সংগঠনটির পক্ষ থেকে এক সংবাদ সম্মেলন করে সরকারকে আলটিমেটাম দেওয়া হয়।
তাদের আলটিমেটামে বলা হয়েছে, দাবি আদায় না হলে জুলাই থেকে কঠিন আন্দোলন শুরু করবে তারা।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত মুক্তিযোদ্ধারা বলেন, ১৯৭১ সালে আমরা মুক্তিযোদ্ধারা এক মরণপণ সশস্ত্র যুদ্ধের মাধ্যমে বাংলাদেশকে প্রতিষ্ঠিত করেছি। কিন্তু দুঃখজনক হলেও সত্য যে, জাতীয় সংবিধানের প্রস্তাবনায় মুক্তিযোদ্ধা ও মুক্তিযোদ্ধাদের নাম গন্ধ নেই।’
এটাকে তাদের জন্য অপমানের ও মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসের অমর্যাদা বলে উল্লেখ করে তারা বলেন, ‘জাতীয় সংবিধানে মুক্তিযোদ্ধা ও মুক্তিযুদ্ধের স্বীকৃতি না থাকার ফলে এ দুটি প্রসঙ্গে নানা সময়ে মুক্তিযোদ্ধাদের নানা অপপ্রচার ও কটূক্তি করা হয়।
সম্প্রতি কোটা সংস্কার আন্দোলনের প্রসঙ্গ তুলে একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধের আহ্বায়ক আবির আহাদ বলেন, ওই আন্দোলনে মুক্তিযুদ্ধবিরোধী, নিরপেক্ষ ও মেধাবী নামধারী কিছু সুশীল কোটা বিরোধীতার সুযোগ নিয়ে মুক্তিযুদ্ধ ও মুক্তিযোদ্ধাদের ওপর বিষোদগার করেছে। সংবিধানে মুক্তিযুদ্ধ ও মুক্তিযোদ্ধাদের স্বীকৃতি নেই বলে এটা সম্ভব হয়েছে।
আবির আহাদ আরও বলেন, বঙ্গবন্ধুর সরকারের সংজ্ঞায় মুক্তিযোদ্ধাদের সংখ্যা হবে বড়জোর দেড় লাখ।অথচ নানান গোজামিল দিয়ে এদের সংখ্যা বাড়িয়ে করা হয়েছে দুই লাখ ত্রিশ হাজারের ওপরে। ভুয়া মুক্তিযোদ্ধারা কলঙ্ক। তাদের কারণে মুক্তিযোদ্ধাদের সম্মানহানি ঘটছে।
বর্তমান মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী ও জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিল ভুয়া মুক্তিযোদ্ধাদের মনে হয় নিরাপত্তা দিয়ে চলেছেন। এ জন্য মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রীসহ জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিলের সদস্যদের পদচ্যুত করতে সরকারের প্রতি আহবান জানান তিনি।
সংবাদ সম্মেলনে আরেও বক্তব্য রাখেন সংগঠনের সদস্য সচিব আবুল বাসার, যুগ্ন আহ্বায়ক রুস্তম আলী, মোল্লা শেখ মোহাম্মদ কাসেম, সারোয়ার হোসেন, হাবিবুর রহমান, আজিজ উদ্দিন আহমেদ, মতিউর রহমান সেনা, তৌফিকুল বারী, খান আমির আলীসহ একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধের বিভিন্ন জেলা ও উপজেলা থেকে আগত বিপুল সংখ্যক মুক্তিযোদ্ধা ও মুক্তিযুদ্ধ প্রজন্ম ব্রিগেডের সদস্য।
সারাবাংলা/এমএমএইচ/এমআই