১০ ডিসেম্বরের দিকে সারা পৃথিবী তাকিয়ে: ফখরুল
৫ ডিসেম্বর ২০২২ ২০:৫৬
ঢাকা: ১০ ডিসেম্বর ঢাকার বিভাগীয় গণসমাবেশের দিকে সারা পৃথিবী তাকিয়ে আছে বলে দাবি করেছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
সোমবার (৫ ডিসেম্বর) বিকেলে গুলশানে বিএনপির চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে আয়োজিত পেশাজীবীদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্যে তিনি এ দাবি করেন।
মির্জা ফখরুল বলেন, ‘১০ তারিখে ঢাকায় সমাবেশ। এই সমাবেশের দিকে সারা দেশের সমস্ত মানুষ তাকিয়ে আছে, তেমনি সারা পৃথিবীর মানুষ তাকিয়ে আছে। এই সমাবেশকে আমাদের যেকোনো মূল্যে সফল করতে হবে, যে কোনো মূল্যে। ঢাকার সমাবেশ সফল করার জন্য আমাদের নেতৃবৃন্দরা অক্লান্ত পরিশ্রম করছেন, তারা মানুষের কাছে যাচ্ছেন প্রচণ্ড বাধা-বিপত্তি পেরিয়ে। ধরপাকড় শুরু হয়েছে। এগুলো উপেক্ষা করে তারা কাজগুলো করছে।’
‘আমাদের যারা পেশাজীবী আছেন, বুদ্ধিজীবী আছেন তাদের কথা-বার্তা বা কাজের ওপরে মধ্যবিত্ত, উচ্চ মধ্যবিত্ত শ্রেণি অনেকটা নির্ভর করে। তাদের অংশগ্রহণ শুধু নয়, সবাইকে নিয়ে এই আন্দোলন আরও বেগবান করবে’— বলেন মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
বুদ্ধিজীবী ও পেশাজীবীরা মানুষের সাথে আছেন উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘আমি বিশ্বাস করি এই কাজটা আমাদের পেশাজীবীরা, বুদ্ধিজীবীরা বরাবর করেছেন। দেশের প্রতিটি সংকটময় মুহুর্তে তারা সামনে এগিয়ে এসেছেন। আবারও তারা সামনে এগিয়ে আসবেন।’
মির্জা ফখরুল বলেন, ‘আমি বলতে চাই, এটা আজ আমাদের জাতির অস্তিত্বের প্রশ্ন; শুধু বিএনপির নয়, দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার নয়, আমরা যারা বিএনপি করি তাদের নয়। জাতিকে যদি রক্ষা করতে চাই, রাষ্ট্রের স্বাধীনতা-সার্বভ্মৌত্ব রক্ষা করতে চাই, গণতন্ত্র ফিরে পেতে চাই তাহলে ১০ ডিসেম্বর আমাদের সফল শান্তিপূর্ণ গণসমাবেশ করতে হবে।’
ঢাকার আগে নয়টি বিভাগীয় সমাবেশ সফল হওয়ার কথা তুলে ধরে বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘গোটা বাংলাদেশ জেগে উঠেছে। আমাদের কর্মসূচির মধ্যে ছিল ১০টা বিভাগীয় গণসমাবেশ। নয়টি আমরা সফল করেছি, এদেশের মানুষ সফল করেছে শত বাধা-বিপত্তি উপেক্ষা করে। নদী সাঁতরিয়ে পার হয়ে, ভেলাতে চড়ে, ১০০ মাইল সাইকেলে চড়ে এসে চিড়া-মুড়ি-গুড় দিয়ে তিনরাত কাটিয়েছে তারা সমাবেশস্থলে।’
তিনি বলেন, ‘তাদের কারও চোখে ক্লান্তি ছিল না, কোনো কম্পপ্লেইন ছিল না। শত কষ্ট করে খোলা আকাশের নিচে থেকে তাদের যে আকুতি গণতন্ত্রের জন্য, দেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব রক্ষার জন্য, গণতন্ত্র ফেরানোর জন্য সেই আকুতি নিয়ে সেখানে উপস্থিত হয়েছে।’
সম্মিলিত পেশাজীবী পরিষদের সভাপতি অধ্যাপক এ জেড এম জাহিদ হোসেনের সভাপতিত্বে ও সদস্য সচিব কাদের গনি চৌধুরীর সঞ্চালনায় সভায় অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন- পেশাজীবী নেতা অধ্যাপক সদরুল আমিন, আ ন হ আখতার হোসেন, ফরহাদ হালিম ডোনার, এ কে এম আজিজুল হক, তাজমেরী এস ইসলাম, বিজন কান্তি সরকার, আবদুল কুদ্দুস, এবি এম ওবায়দুল ইসলাম, মামুন আহমেদ, আবদুস সালাম, সেলিম ভুঁইয়া, মাসুদ আহমেদ তালুকদার, রিয়াজুল ইসলাম রিজু, শামসুল আলম, রাশিদুল হাসান হারুন ও আশরাফউদ্দিন আহমেদ উজ্জ্বল।
ঢাকা বিভাগীয় গণসমাবেশ ব্যবস্থাপনা কমিটির প্রধান উপদেষ্টা মির্জা আব্বাস, প্রধান সমন্বয়কারী আব্দুল্লাহ আল নোমান, উপ-সমন্বয়কারী আমান, আবদুস সালাম ও আবদুস সালাম আজাদ ১০ ডিসেম্বরে সমাবেশের সর্বশেষ অবস্থা তুলে ধরেন।
এছাড়া পেশাজীবীদের মধ্যে সিরাজ উদ্দিন আহমেদ, আবদুল লতিফ মাসুম, সিদ্দিকুর রহমান, গোলাম হাফিজ কেনেডি, কামরুল আহসান, এমতাজ হোসেন, একেএম রুহুল আমিন, সারোয়ার হোসেন, রফিকুল ইসলাম, মোর্শেদ হাসান খান, শাহনাজ সরকার রানু, ডা. রফিকুল ইসলাম, হাছিন আহমদে, সরকার মাহবুব আহমেদ শামীম, পারভেজ রেজা কাকন, জয়নাল আবেদীন মেজবাহ, মোস্তাফিজুর রহমান, শামীমুর রহমান শামীম, আশরাফ উদ্দিন বকুল, কেয়া চৌধুরী, রফিকুল ইসলাম, জাকির হোসেন, ফখরুল আলম, জাহানারা বেগম, রুমিন ফারহানা, শায়রুল কবির খান প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
সারাবাংলা/এজেড/পিটিএম