খাগড়াছড়ি জেলা পরিষদ ভবনের ছাদ ধস, ৫ জনের বিরূদ্ধে মামলা
৬ ডিসেম্বর ২০২২ ২০:২৪
খাগড়াছড়ি: খাগড়াছড়ি পাবর্ত্য জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মংসুইপ্রু চৌধুরীসহ পাঁচজনকে আসামি করে মামলা করা হয়েছে। গত ১০ আগস্ট জেলা পরিষদ ভবনের ছাদ ধসে দুই শ্রমিক নিহত এবং পাঁচজন গুরুতর আহত হওয়ার ঘটনায় এ মামলা করা হয়।
মঙ্গলবার (৬ ডিসেম্বর) মঙ্গলবার ২টায় চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট (আমলী) আদালতে এই মামলা হয়। জেলা সদরের শালবন এলাকার সুরাজ খানের ছেলে জালাল খান বাদী হয়ে এই মামলা করেন। প্রথমে আদালতে পিটিশন দায়ের করলে বিচারক মো. ফরিদুল আলম তা এজাহার হিসেবে গ্রহণ করার জন্য সদর থানার অফিসার ইনচার্জকে (ওসি) নির্দেশ দেন। কোর্ট ইন্সপেক্টর মো. জাহঙ্গীর আলম এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
মামলার অপর আসামিরা হলেন- খাগড়াছড়ি পাবর্ত্য জেলা পরিষদের নির্বাহী কর্মকর্তা টিটন খীসা, নির্বাহী প্রকৌশলী তৃপ্তি শংকর চাকমা, ঠিকাদার মো. সেলিম ও সাব-ঠিকাদার প্রাণতোষ প্রকাশ প্রানন্ত বাবু।
বাদীপক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট বেদারুল ইসলাম জানান, আসামিরা যোগসাজশে অবহেলা করে হত্যাকাণ্ড সংগঠনসহ নিহত ও আহত শ্রমিকদের অপূরণীয় ক্ষতিসাধন করে ফৌজদারী অপরাধ করেছে। তাদের শাস্তির দাবি করে জালাল খান অভিযোগ দায়ের করেছেন। আদালত ফৌজদারী কাযবিধির ১৫৬(৩) ধারা মতে অভিযোগটি এজাহার হিসেবে দায়ের করার নির্দেশ দেন।
উল্লেখ্য, গত ১০ আগস্ট বিকেলে খাগড়াছড়ি জেলা পরিষদের পুরাতন ভবনের সামনে নতুন করে ছাদের একটি অংশ ধসে পড়লে দুইজন শ্রমিক নিহত ও পাঁচজন গুরুতর আহত হন। মৃত একজন শ্রমিক খাগড়াছড়ি সদর উপজেলার সবুজবাগ এলাকার আমিনুল ইসলামের ছেলে মো. সাজ্জাদ হোসেন (২২), আর অন্যজন হচ্ছেন বাগেরহাট জেলার চিতলমারী থানার কালিগাতি এলাকার সোহরাব শিকদারের ছেলে সাইফুল ইসলাম (২২)।
আহত হয়েছিলেন- সদর উপজেলার শালবন এলাকার মৃত আবদুস সামাদের ছেলে মো. রোকন (৩৮), আবদুস সালামের ছেলে হানিফ মিয়া (২৫), মোসলেহ উদ্দিনের ছেলে মো. সোহেল (২০), থলিপাড়ার এলাকার লালু চান মিয়ার ছেলে মো. হাসান (২৪), মাটিরাঙার আবদুল খালেকের ছেলে হানিফ (২০)।
ওই ঘটনায় ওই দিনই জেলা পরিষদের সদস্য কল্যাণ মিত্র বড়ুয়াকে আহ্বায়ক করে তিন সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। কমিটিকে ৭ দিনের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদনে জমা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হলেও তা এখন পর্যন্ত দেওয়া হয়েনি।
সারাবাংলা/এনএস