বৃহস্পতিবার ৬২ জন রোহিঙ্গা শরণার্থী নেবে যুক্তরাষ্ট্র
৭ ডিসেম্বর ২০২২ ০৯:০৮
ঢাকা: বাংলাদেশ থেকে বছরে ৩০০ থেকে ৮০০ জন রোহিঙ্গা শরণার্থীদের নেবে যুক্তরাষ্ট্র। এর মধ্যে আগামীকাল বৃহস্পতিবার (৮ ডিসেম্বর) প্রথম ধাপে ৬২ জন রোহিঙ্গা নেবে দেশটি। তবে রোহিঙ্গা শরণার্থীদের পুনর্বাসনের বিষয়ে বাংলাদেশের প্রস্তাব হচ্ছে— ২০১৬ সালের আগে আসা রোহিঙ্গাদের যেন নেওয়া হয়।
মঙ্গলবার (৬ ডিসেম্বর) রাজধানীর বেইলি রোডে ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন। এদিন মার্কিন পররাষ্ট্র দফতরের জনসংখ্যা, শরণার্থী ও অভিবাসনবিষয়ক সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী জুলিয়েটা ভ্যালস নয়েসের সঙ্গে বৈঠক করেন তিনি।
বৈঠক শেষে যুক্তরাষ্ট্রের রোহিঙ্গাদের নেওয়ার প্রক্রিয়া শুরু করার বিষয়ে আব্দুল মোমেন বলেন, ‘দেশটি দায়বদ্ধতার জায়গা থেকে রোহিঙ্গা নিচ্ছে। তারা নিজ দেশের মানুষকে দেখিয়ে বলবে, আমরা বাংলাদেশ থেকে রোহিঙ্গাদের নিজ দেশে আশ্রয় দিয়েছি। কিন্তু কতসংখ্যক রোহিঙ্গা নিচ্ছে, সেটি তারা বলবে না। তারা নিজ দেশের জনগণকে বলবে, আমরা রোহিঙ্গাদের মানবিক সাহায্য করেছি।’
তিনি বলেন, ‘মার্কিন সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রীর কাছে জানতে চাইলাম, তোমরা কতসংখ্যক রোহিঙ্গা নেবে? জবাবে তিনি বললেন, ৬২ জনের তালিকা করা হয়েছে। প্রতিবছর ৩০০ থেকে ৮০০ রোহিঙ্গা নেওয়া হবে। তখন আমি বললাম, এই সংখ্যা কিছুই না। তখন তিনি বললেন, এটা শুরু।’
পররাষ্ট্রমন্ত্রী আরও বলেন, যুক্তরাষ্ট্রে প্রতি বর্গমাইলে ৪০ জন মানুষ বসবাস করে। অন্যদিকে বাংলাদেশে প্রতি বর্গমাইলে বসবাস করে ৩ হাজার ২০০ জন। আমি তাকে বললাম, তোমাদের দেশে যে জায়গা আছে, তাতে এক লাখ রোহিঙ্গা নেওয়া যায়। জবাবে তিনি বললেন, সারাবিশ্ব থেকে তারা এক লাখ ২৫ হাজার রোহিঙ্গা নেবে। এর মধ্যে বাংলাদেশ থেকে নেবে বছরে ৩০০ থেকে ৮০০ জন।
রোহিঙ্গা সমস্যা সমাধান শুধু প্রত্যাবাসনের মাধ্যমেই সম্ভব বলে মনে করেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘আমি মনে করছি, যাক নিলেই ভালো, রোহিঙ্গারা যদি সুন্দর জীবন পায়। তবে রোহিঙ্গা সমস্যা সমাধান শুধু প্রত্যাবাসনে। যুক্তরাষ্ট্র এখন যাদের নিয়ে যাচ্ছে, তাতে উত্তেজিত হওয়ার কিছু নেই। ১২ লাখ রোহিঙ্গার মধ্যে মাত্র ৩০০ জন নেবে, এই সংখ্যা কিছুই নয়, বরং দুশ্চিন্তা আছে। কারণ, মিয়ানমার থেকে আরও ছয় লাখ রোহিঙ্গা আশার আশঙ্কা রয়েছে।’
অন্য কোনো দেশ রোহিঙ্গা নেবে কি না— জানতে চাইলে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘জাপান বলেছে তারা এটি নিয়ে কাজ করছে।’
রোহিঙ্গাদের শিক্ষার বিষয়ে তিনি বলেন, ‘ছয় হাজার স্কুল ইউনিসেফের তত্ত্বাবধানে চলছে। আমরা ঘরে বসে মক্তব বা যেখানে বেশি অর্থ চায়, অসঙ্গতিপূর্ণ কিছু শেখায়, সেগুলো বন্ধ করে দিয়েছি।’
সারাবাংলা/এসবি/এনএস