নয়াপল্টনে পুলিশের সঙ্গে বিএনপির নেতা-কর্মীর সংঘর্ষ
৭ ডিসেম্বর ২০২২ ১৫:৩১
ঢাকা: রাজধানীর নয়াপল্টনে পুলিশের সঙ্গে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি) নেতা-কর্মীদের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। নয়াপল্টনে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন পর এই সংঘর্ষের ঘটনা ঘটল।
বুধবার (৭ ডিসেম্বর) বিকেলে দলটির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে এই সংঘর্ষ শুরু হয়। ফলে পল্টন ও বিজয়নগর এলাকায় দোকানপাট বন্ধ করেছেন ব্যবসায়ীরা। আর মানুষ আতঙ্কিত হয়ে বিভিন্ন দিকে ছোটাছুটি করছেন।
বিএনপির নেতা-কর্মীদের লক্ষ্য করে নয়াপল্টন ও ফকিরা পুলের দিকে শর্টগান আর টিয়ারশেল নিক্ষেপ করছে পুলিশ।
ডিএমপি’র যুগ্ম কমিশনার (ক্রাইম) বিপ্লব কুমার সরকার ও ডিবি’র যুগ্ম কমিশনার মেহেদি হাসানের নেতৃত্বে মাঠে রয়েছে পুলিশ। এছাড়া মতিঝিল, পল্টন, রমনা ও শাহবাগ থানার পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে কাজ করছে।
এই সংঘর্ষে অনেকে আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। তাদের ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে।
এদিকে ডিএমপি’র মতিঝিল বিভাগের উপপরিদর্শক হায়াতুল ইসলাম খান বলেন, ‘বিএনপি নেতা-কর্মীদের ইটপাটকেলের আঘাতে ডিডিসহ বেশ কয়েকজন আহত হয়েছেন।’
এর আগে, ১০ ডিসেম্বর বিএনপির গণসমাবেশকে কেন্দ্র করে সর্বোচ্চ সতর্কতার অংশ হিসেবে রাজধানীর নয়াপল্টনে দলটির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়। একইসঙ্গে প্রিজন ভ্যান ও জল কামানও প্রস্তুত রাখা হয়। তবে সেখান থেকে কাউকে গ্রেফতার করা হয়নি।
ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের ( ডিএমপি) মতিঝিল বিভাগের উপ-কমিশনার (ডিসি) হায়াতুল ইসলাম খান বুধবার (৭ অক্টোবর) বিকেল ৩টার দিকে সারাবাংলাকে বলেন, ‘বিএনপিকে পল্টনে সমাবেশের বিষয়ে কোনো অনুমতি দেওয়া হয়নি, ডিএমপি তার আগের সিদ্ধান্তেই আছে। আমাদের কাছে তথ্য রয়েছে, নেতাকর্মীরা সড়ক দখল করতে পারে। কাজেই জনগণের জানমাল রক্ষা ও সড়ক সচল রাখতে পুলিশ অবস্থান নিয়েছে।’
তিনি বলেন, ‘আমরা অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করেছি। কারণ, এর আগে বিএনপি নেতাকর্মীরা পুলিশের ওপর হামলা করেছিল। আমরা বলছি, কোনো নেতাকর্মী আগামী কয়েকদিন যেন নয়াপল্টনে না আসেন।’
এদিকে, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেছেন, বিএনপিকে দেশের প্রচলিত নিয়ম মেনেই সভা সমাবেশ করতে হবে। ২০-২৫ লাখ মানুষের সমাগম ঢাকায় সম্ভব না। সব দলের বড় সমাবেশের জন্য সোহরাওয়ার্দী উদ্যান বরাদ্দ দেওয়া হয়। ১০ ডিসেম্বর বিএনপির সমাবেশকে ঘিরে সরকার আইন প্রতিষ্ঠিত করা ও মানুষের জানমাল রক্ষায় যা করার তাই করবে। এছাড়া বিএনপি পল্টনে কেন সমাবেশ করতে চায় এখন সেটিও খতিয়ে দেখবে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।
যে কোনো দেশের চেয়ে বাংলাদেশের মানবাধিকার পরিস্থিতি ভালো। দেশের মানবাধিকার ক্ষুণ্ন হোক এমনটা সরকারও চায় না বলেও জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী।
অন্যদিকে, যাত্রাবাড়ী থানার চেকপোস্টে চেকিং করার সময় ৪ নেতাকর্মীকে আটক করেছে যাত্রাবাড়ী থানা পুলিশ। যাত্রাবাড়ী থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মুহিতুল ইয়ামিন জানান,আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় সরকারী নির্দেশমত সকালে ঢাকাগামী বাস থেকে তাদের গ্রেফতার করা হয়।
গ্রেফতারকৃতরা হলেন- বেগম গঞ্জ যুবদলের সহ-সভাপতি হাবিবুর রহমান চাদপুর কচুয়ার যুবদলের যুগ্ম আহবায়ক সাইফুল ইসলাম, সোনাইমুড়ি ছাত্রদলের যুগ্মআহবায়ক ফরহাদ সহ অপর আরেকজন৷
এদিকে ১০ ডিসেম্বর উপলক্ষ্যে কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশনের প্রবেশ ও বের হওয়ার গেইটে পুলিশের চেকপোস্ট স্থাপন করেছে রেলওয়ে পুলিশ ও রেলওয়ে নিরাপত্তা বাহিনী।
সারাবাংলা/ইউজে/এনএস