নয়াপল্টন ঘিরে পুলিশের ব্যারিকেড, যানবাহন চলাচল বন্ধ
৮ ডিসেম্বর ২০২২ ১৩:১৩
ঢাকা: আগামী ১০ ডিসেম্বর বিএনপির মহাসমাবেশ। এর তিন দিন আগে গতকাল বুধবার নয়া পল্টনের বিএনপির কার্যালয়ের সামনে পুলিশের সঙ্গে দলটির নেতাকর্মীদের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এতে একজনের মৃত্যুও হয়। এর জেরে যেকোনো ধরণের অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে বৃহস্পতিবার (৮ ডিসেম্বর) সমাবেশের দু’দিন আগে থেকেই পুলিশি ব্যারিকেডে আটকা পড়েছে পুরো নয়াপল্টন এলাকা।
সরেজমিনে দেখা যায়, বৃহস্পতিবার সকাল থেকে রাজধানীর নাইটিংগেল মোড়-ফকিরাপুল পর্যন্ত সড়কের উভয় পাশে পুলিশ ব্যারিকেড বসিয়েছে। এতে বন্ধ হয়ে গেছে ওই সড়ক দিয়ে চলাচলকারী যানবাহন। জরুরি কাজ ছাড়া কাউকে হেঁটেও এলাকায় প্রবেশ করতে দিচ্ছে না পুলিশ। যারা প্রবেশ করছে, তাদের দেখাতে হচ্ছে আইডি কার্ড। পুলিশ আইডি কার্ড দেখে নিশ্চিত হয়ে এরপর প্রবেশ করতে দিচ্ছে।
রফিক নামের একজন নয়া পল্টনের একটি কার সেন্টারে কাজ করেন। তিনি জানান, তার শোরুমে যেতে চাইলে পুলিশ তাকে যেতে দিচ্ছিল না। পরে তার আইডি কার্ড দেখালে একজন পুলিশ সদস্য বলেছেন, ‘আগামী তিন দিন দোকান বন্ধ থাকবে। কাজেই সেখানে গিয়েও কোনো লাভ হবে না।’
একই অবস্থা ফকিরাপুল এলাকাতেও। পুলিশ ব্যারিকেডের ফলে কেউ প্রবেশ করতে পারছে না। পলওয়েলসহ আশেপাশের সকল মার্কেট বন্ধ রয়েছে। শুধুমাত্র ইসলামী ব্যাংক কমিউনিটি হাসপাতাল খোলা রয়েছে। এছাড়া ওই এলাকায় ব্যাংক-বিমা প্রতিষ্ঠানে সীমিত আকারে খোলা রয়েছে। তবে সাধারণ লোকের আনাগাোনা কম দেখা গেছে।
সিটি হার্ট মার্কেটে পোশাক বিক্রেতা জোবায়ের হাসান হরতালেও এমন পরিস্থিতি হয় না বলে মন্তব্য করে বলেন, ‘মার্কেট খোলা আছে ভেতরে। বাইরে সতর্কবস্থায় আছে মার্কেট কমিটির লোকজন। মার্কেট খুলে কি লাভ? এলাকা তো পুলিশের ব্যারিকেডে আটকানো। থমথমে অবস্থা! কে আসবে এই এলাকায়?’
ব্যারিকেডের বিষয়ে জানতে মতিঝিল বিভাগের উপ কমিশনার (ডিসি) হায়াতুল ইসলাম খান সারাবাংলাকে বলেন, ‘বুধবারের (গতকাল) ঘটনার পর আজ পুলিশ ব্যারিকেড বসিয়েছে। কারণ নয়াপল্টন এলাকায় সন্ত্রাসী কার্যক্রম বাড়তে পারে। অবৈধভাবে সড়কে কেউ যাতে সমাবেশ করতে না পারে সেজন্য এই ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।’
সারাবাংলা/ইউজে/ইআ