১০ ডিসেম্বর ভ্যাট দিবস পালন করবে এনবিআর
৮ ডিসেম্বর ২০২২ ১৬:৩৭
ঢাকা: সচেতনতা বৃদ্ধি ও কর দিতে উদ্বুদ্ধ করার লক্ষে আগামী ১০ ডিসেম্বর জাতীয় ভ্যাট দিবস ও ১০ থেকে ১৫ ডিসেম্বর জাতীয় ভ্যাট সপ্তাহ পালন করবে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)।
‘উন্নয়নের ভ্যাট নীতি, ভ্যাট দিয়ে গড়ব জাতি’ প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে ১২তম ভ্যাট দিবস উদযাপন করতে যাচ্ছে প্রতিষ্ঠানটি। ভ্যাট দিবসে জাতীয় পর্যায়ে সর্বোচ্চ ভ্যাট প্রদানকারী ৯ প্রতিষ্ঠানকে সম্মাননা দেবে এনবিআর।
বৃহস্পতিবার (৮ ডিসেম্বর) দুপুরে রাজধানীর সেগুনবাগিচায় এনবিআর সম্মেলন কক্ষে এসব তথ্য জানান প্রতিষ্ঠানটির চেয়ারম্যান আবু হেনা মো. রহমাতুল মুনিম। তিনি বলেন, ‘জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের আহরিত অর্থের ৩৭ শতাংশেরও অধিক আহরিত হয় ভ্যাট খাত থেকে। গতবারের চেয়ে এ বছর এখন পর্যন্ত রাজস্ব আদায়ে ১৫ শতাংশ প্রবৃদ্ধি রয়েছে। ভ্যাট আদায়ে প্রবৃদ্ধি ১৭ শতাংশের বেশি।’
এনবিআর জানায়, ভ্যাট দিবস ও সপ্তাহ উপলক্ষে ভ্যাট সম্পর্কিত গুরুত্বপূর্ণ প্রচার মোবাইল এসএসএসের মাধ্যমে চালানো হচ্ছে। প্রচার-প্রচারণা চালানো হচ্ছে প্রিন্ট ও ইলেক্ট্রনিক মিডিয়াতেও। দিবস ও সপ্তাহ উপলক্ষে স্টিকার, বেলুন, বর্ণিল ফেস্টুন ও ব্যানার ঢাকা শহরের বিভিন্ন স্থানে প্রদর্শন করা হচ্ছে।
এছাড়া নিবন্ধন, রিটার্ন, ই-পেমেন্ট, এ পেমেন্ট, ক্রয়-বিক্রিয়ের হিসাব সংরক্ষণ, চালানপত্র ইস্যু, ইএফডি/এসডিসি মেশিন ব্যবহারের ক্ষেত্রে সরাসরি সার্কেল, বিভাগ ও কমিশনারেট হতে বিশেষ সেবা দেওয়া হবে ভ্যাটপ্রদানকারীদের।
এদিকে, আগামী ১০ ডিসেম্বর পালিত ১২তম ভ্যাট দিবস। ২০১১ সাল থেকে ভ্যাট দিবস ও সপ্তাহ পালন করে আসছে এনবিআর। দিবসটি উপলক্ষে ১০ ডিসম্বের হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালে সেমিনার ও সেরা ভ্যাটদাতাদের সম্মাননা অনুষ্ঠিত হবে। ওই অনুষ্ঠানে ৯ প্রতিষ্ঠানকে ভ্যাট সম্মাননা দেওয়া হবে। ওই অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসাবে অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল উপস্থিত থাকার কথা রয়েছে।
সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে এনবিআর চেয়ারম্যান বলেন, ‘ভ্যাট অটোমেশন প্রকল্পের সফলতা যাচাইয়ে একটি বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে। তাতে এর সাসকেস ও আপগ্রেডেশন নিয়ে আলোচনা হবে। ভ্যাট অটোমেশনের ক্ষেত্রে ভ্যাট দাতা ও এনবিআরের কর্মকর্তাদের অভ্যস্ততা অন্তরায়। ব্যবহারের ক্ষেত্রে সাধারণ ভ্যাটদাতারা এখনও অভ্যস্ত হয়ে উঠেনি। আমাদের কর্মকর্তারাও হয়তো ততোটা আপডেট হয়নি।’
অপর এক প্রশ্নের উত্তরে চেয়ারম্যান বলেন, ‘বিশ্ব বা অভ্যন্তরীণ রাজনীতির সঙ্গে রাজস্ব আহরণের সম্পর্ক থাকেই। এমন পরিস্থিতে রাজস্ব আহরণে চ্যালেঞ্জ তৈরি হয়। আমরা এটিকে চ্যালেঞ্জ হিসাবে দেখি। রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কারণেও রাজস্ব আহরণে চ্যালেঞ্জ তৈরি হয়েছে। আমরা রাজস্ব আহরণের প্রবৃদ্ধি ধরে রাখার চেষ্টা করছি। সেটি ধরে রাখার চেষ্টা করবো, যাতে রাজস্ব বিভাগের ঘাড়ে দোষ না আসে।’
সারাবাংলা/ইএইচটি/এমও