যুবদল নেতাকে না পেয়ে তার বাবাকে ‘পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ’
৮ ডিসেম্বর ২০২২ ১৬:৪৬
ঢাকা: আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে বাড়িতে ঢুকে বাবাকে পিটিয়ে হত্যা করার অভিযোগ করেছেন যুবদলের সাবেক নেতা। অভিযোগকারী ফয়সল মেহেবুব জানান, আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা গভীর রাতে তাকে খুঁজতে বাসায় যায় না পেয়ে তার বাবাকে পিটিয়ে হত্যা করেছে।
তবে পুলিশ বলছে, ওই ব্যক্তি স্ট্রোক করে পড়ে মাথায় আঘাত পেয়েছেন। পরবর্তীতে তাকে হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। নিহত ওই ব্যক্তির নাম মিল্লাত হোসেন (৬৭)। নিহত ব্যক্তির ছেলে ফয়সল মেহেবুব ওয়ারী থানা যুবদলের সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক।
বৃহস্পতিবার (৮ ডিসেম্বর) দুপুরে ফয়সল মেহেবুব বলেন, বুধবার দিবাগত রাত সোয়া ১২টার দিকে স্থানীয় আওয়ামী লীগের ৭০ থেকে ৮০ জন তাদের ওয়ারীর বাসায় ঢুকে পড়েন। তারা ফয়সলের খোঁজ করেন। এ সময় তার বাসার মালপত্র তছনছ করা হয়। ফয়সলকে না পেয়ে তার চাচা শাহাদত হোসেনকে (স্বপন) ধরে মারতে মারতে নিচে নামান আওয়ামী লীগের লোকেরা। এ সময় ফয়সলের বাবা মিল্লাত হোসেন নিচে নেমে হামলাকারীদের কাছে শাহাদতকে মারধরের কারণ জানতে চান।
তিনি বলেন, শাহাদত যুবদল করেন না। যুবদলের রাজনীতি করেন ফয়সল। একপর্যায়ে হামলাকারীরা মিল্লাত হোসেনের মাথায় লাঠি দিয়ে আঘাত করলে তিনি পড়ে যান। এ সময় হামলাকারী ব্যক্তিরা শাহাদতকে ধরে পুলিশের ওয়ারী ফাঁড়িতে নিয়ে যান।
মৃত মিল্লাত হোসেনের ছেলে ফারহান মাহবুব জানান, ওয়ারী গোপীবসাক লেনে তাদের নিজেদের বাড়ি। বাবা পরিবহন ব্যবসা করতেন। গত রাতে প্রায় ৩০ থেকে ৪০ জন লোক আমার ভাইকে খুঁজতে আসে। এসময় আমার ভাই বাসায় ছিল না। ওই লোকজনের সঙ্গে বাবার কথা কাটাকাটি ও ধস্তাধস্তি হয়।
ফয়সাল আরও জানান, যারা বাসায় এসেছিল তারা মুখে মাস্ক পড়া ছিল। কাউকে চিনতে পারেনি। কেন আমার ভাইকে খুঁজতে এসেছিল তাও বলতে পারছি না। এ বিষয়ে আর কিছুই বলতে পারবো না। বাবার লাশ নিয়ে ব্যস্ত আছি।
এ বিষয়ে আজ সকালে ওয়ারী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) কবির হোসেন সারাবাংলাকে বলেন, মিল্লাত হোসেন হৃদ্রোগে আক্রান্ত ছিলেন, তাকে পেটানো হয়নি। তিনি স্ট্রোক করে নিচে পড়ে গেলে মাথায় আঘাত পান। পরে হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
ওসি কবির হোসেন দাবি করে বলেন, আমরা খোঁজ খবর নিয়েছি, হামলাকারীরা আওয়ামী লীগ বা যুবলীগের কেউ নন। তারা অজ্ঞাতনামা। অন্য একদল লোক শাহাদাতকে থানায় নিয়ে আসে। তারা পুলিশকে বলে, গতকাল নয়াপল্টনে সংঘর্ষের ঘটনায় শাহাদত তবে নয়াপল্টনে সংঘর্ষের ঘটনায় শাহাদতের জড়িত থাকার সত্যতা না পেয়ে তাঁকে ছেড়ে দেওয়া হয়। অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিরা আওয়ামী লীগের নেতা–কর্মী নন বলে জানান ওসি। ‘অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিরা’ কারা, তাদের পরিচয় কী তা বলতে পারেননি ওসি।
মৃত ব্যক্তির কেউ থানায় অভিযোগ করলে আমরা প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবো বলে জানান ওসি।
সারাবাংলা/এসএসআর/ইউজে/এনইউ