খোলা রাস্তায় সমাবেশ করতে দেব না: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
৮ ডিসেম্বর ২০২২ ১৮:৩৮
ঢাকা: বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলকে (বিএনপি) খোলা রাস্তায় সমাবেশ করতে দেওয়া হবে না বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল। আগামী ১০ ডিসেম্বর বিএনপির মহাসমাবেশকে কেন্দ্র করে এই কথা জানান তিনি। তবে নয়াপল্টনে দলীয় কার্যালয়ের সামনেই সমাবেশ করার ঘোষণা দিয়েছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
বৃহস্পতিবার (৮ ডিসেম্বর) সাড়ে ৪টায় রাজধানীতে রাজারবাগ পুলিশ লাইন হাসপাতালে ওই সংঘর্ষে আহত পুলিশ সদস্যদের দেখা শেষে সাংবাদিকদের এই মন্তব্য করেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী।
এ বিষয়ে আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেন, ‘এর আগে সারাদেশে বড় বড় সমাবেশ করেছে বিএনপি। বাধা দেওয়া হয়নি। এবার তারা মহাসমাবেশ করবে। সেখানে ২৫ লাখ লোক আনবে। একটা আবেদন করলেন। আমরা বললাম— এত লোকের জায়গা ঢাকার কোথায় হবে?’
তিনি আরও বলেন, ‘এরপর সোহরাওয়ার্দী, সংসদ ভবন ও এরপর নয়াপল্টনে সমাবেশ করতে চাইলেন। আমরা পরিস্থিতি বিবেচানায় নিলাম। ডিএমপি কমিশনার বললেন, ৮ ডিসেম্বর ছাত্রলীগের সম্মেলন। এটি হলে ১০ ডিসেম্বর বিএনপি সমাবেশ করতে পারবে না। বিষয়টি শুনেই সম্মেলন এগিয়ে আনতে বললেন প্রধানমন্ত্রী। ৬ ডিসেম্বর সম্মেলন এগিয়ে আনা হলো।’
আরও পড়ুন: ১০ ডিসেম্বরের গণসমাবেশ নয়াপল্টনেই: ফখরুল
‘এরপর বিএনপিকে সোহরাওয়ার্দীতে সমাবেশের জন্য জায়গা দেওয়া হলো। কিন্তু তারা নয়াপল্টনে ছাড়া সমাবেশ করবে না। বিকল্প হিসেবে কালশীতে সমাবেশ করতে বলেছি। এরপর আর কোনো খবর রাখেনি। গতকাল এককটা মিটিংয়ে ছিলাম। হটাৎ শুনি তারা (বিএনপির নেতা-কর্মীরা) পুলিশের ওপর মারমুখী আচরণ করেছে। পুলিশকে লক্ষ্য করে হাতবোমা মেরেছে’- বলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী।
তিনি আরও বলেন, ‘ওই সংঘর্ষে আহত পুলিশ সদস্যদের দেখলাম। সর্বমোট ৪৭ জন পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন। এর মধ্যে রাজারবাগে ভর্তি আছেন ১৬ জন এবং ঢাকা মেডিকেলে ভর্তি আছেন আরও একজন। বাকিরা প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়ে বাসায় আছেন।’
আসাদুজ্জামান খান বলেন, একজনের ৪২টি সেলাই দিতে হয়েছে। বাকিদের প্রত্যেকে হাতবোমার স্প্লিন্টারের আঘাতে জর্জরিত। মতিঝিলের ডিসি’র সারা শরীরে মারের দাগ রয়েছে। পরিস্থিতি অনুকূলে আনতে পুলিশ শুরুতে টিয়ারগ্যাস মারে এরপর শর্টগানের গুলি করেছেন পুলিশ সদস্যরা।’
তিনি আরও বলেন, ‘পরিস্থিতি খারাপ বিবেচনায় পুলিশ অভিযান চালিয়েছে। এসময় ১৫টি অবিস্ফোরিত হাতবোমা উদ্ধার করা হয়েছে। চাল, ডাল ও লাকরি উদ্ধার করেছে পুলিশ। সমাবেশে চাল ডাল লাকরি আনতে হবে কেন? আমরা বুঝতে পারছি না। শুনছি, তারা (বিএনপি নেতা-কর্মী) নাকি নয়াপল্টন এলাকায় বসে পড়ার জন্যই প্রস্তুতি নিয়েছিলেন। সমাবেশে আসলে তারা আর যাবেন না। আপনারা মিটিং করেন সমাবেশ করেন, কিন্তু অরাজকতা করবেন, তা মানা হবে না। খোলা রাস্তায় সমাবেশ করতে দেব না।’
এক প্রশ্নের জবাবে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘বিকল্প মাঠ হিসেবে কালশীর কথা বলা হয়েছে। তারা সেখানে সমাবেশ করতে পারে। পুলিশ সর্বোচ্চ সহযোগিতা করবে। তাদের শুভ বুদ্ধির উদয় হোক। তারা নয়াপল্টন ছেড়ে সোহরাওয়ার্দী বা কালশীতে যাক। সমাবেশ করুক দেশবাসী দেখুক, আমরাও দেখি।’
সারাবাংলা/ইউজে/এনএস