আগের ৩ সিটির মতোই হবে গাজীপুর ও খুলনার নির্বাচন : কাদের
৩০ এপ্রিল ২০১৮ ১৯:২৮
।। সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট ।।
ঢাকা: আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, নারায়ণগঞ্জ, কুমিল্লা ও রংপুর সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনের মতোই গাজীপুর ও খুলনা সিটি করপোরেশনের নির্বাচন হবে। এতে বিএনপির আপত্তির কী আছে।
সোমবার (৩০ এপ্রিল) বিকেলে রাজধানীর খামারবাড়ি কৃষিবিদ ইনস্টিটিউট মিলনায়তনে ঢাকা মহানগর উত্তর আয়োজিত বাংলাদেশ কৃষক লীগের ৪৬তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকীর আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
নির্বাচন নারায়ণগঞ্জে যেভাবে হয়েছে আমরা জিতেছি। কুমিল্লায় যেভাবে হয়েছে বিএনপি জিতেছে। রংপুরে যেভাবে হয়েছে জাতীয় পার্টি জিতেছে। ঠিক সেভাবেই গাজীপুর ও খুলনা সিটিতে নির্বাচন হবে। এতে বিএনপির আপত্তি আছে?
বিএনপি তো নির্বাচনের আগেই হেরে যায় উল্লেখ করে তিনি আরও বলেন, তারা কি জনমত দেখে আঁচ করতে পারছে, যে নির্বাচনে তাদের ভরাডুবি অনিবার্য। এ জন্য আগেভাগেই ক্ষেত্র তৈরি করছে।
বিএনপির গঠনতন্ত্র থেকে ৭ নাম্বার ধারাটি সংশোধনের সমালোচনা করে ওবায়দুল কাদের বলেন, তারা ক্ষমতায় এলে আবারও দুর্নীতি করবে। আবারও সন্ত্রাস করবে। আবারও হাওয়া ভবন তৈরি করবে। ৭ নাম্বার ধারাটি তুলে দিয়ে সেটাই তারা বুঝিয়ে দিয়েছে। কানাডার আদালত পরপর দুই বার রায় দিয়েছে বিএনপি হচ্ছে একটা সন্ত্রাসী দল। কাজেই এই দল সম্পর্কে যত কম কথা বলা যায় ততই ভাল।
‘গাজীপুর ও খুলনায় ভোটারদের ভয় দেখাচ্ছে? প্রমাণ কি জানতে চাই। কাকে ভয় দেখিয়েছে? সাম্প্রদায়িক সন্ত্রাসীরা বড় ধরনের হামলার প্রস্তুতি নিচ্ছে। এই খবর পেয়ে পুলিশ রেইড করে তাদের গ্রেফতার করেছে। এই সন্ত্রাসীদের দিয়ে বিএনপি কি ভোট রিগিং করতে চায়? আর এদের বিরুদ্ধে যখন প্রশাসন ব্যবস্থা নেয়? তখন ভোটারদের ভয় দেখানো? সন্ত্রাসীদের গ্রেফতার করা কি ভোটারদের ভয় দেখানো’ বলে বিএনপির উদ্দেশ্যে প্রশ্ন তোলেন ওবায়দুল কাদের।
গাজীপুর ও খুলনায় কোন ভোটার ভয়ের মুখে পড়েনি দাবি করে কাদের বলেন, ‘সরকারি দল। সরকারের কোন প্রশাসন কোথাও এরকম ভীতি প্রদর্শন করেছে-তার কনো প্রমাণ কারো কাছে নেই। বিএনপিকে বলবো, তথ্য প্রমাণ দিতে এবং ইসির কাছে অভিযোগ করতে।’
স্থানীয় সরকার নির্বাচনে এমপিদের নির্বাচনী প্রচারণার সুযোগ দিতে নির্বাচন কমিশনে আওয়ামী লীগের জমা দেওয়া প্রস্তাবনার বিষয়টি তুলে কাদের বলেন, আমাদের পার্টি থেকে আমরা এমপিদের প্রচারের কথা বলেছি, মন্ত্রীদের নয়। দুনিয়ার সকল গণতান্ত্রিক দেশে এমপি-মন্ত্রীরা প্রচার করতে পারে। কিন্তু বাংলাদেশে কেন নয়? এটা ইসির কাছে আমাদের একটা প্রস্তাব ছিল। প্রস্তাবটি গ্রহণ করা না করা, এটা ইসির ব্যাপার। এখানে কোনো জোরাজুরির বিষয় নেই।
আর গাজীপুর ও খুলনা সিটি করপোরেশন নির্বাচনে আওয়ামী লীগ এখন পর্যন্ত আচরণবিধি ভঙ্গণ করেনি বলেও দাবি করেন কাদের। আর গাজীপুরের মৌচাক সিটি করপোরেশন এলাকার বাইরে হওয়ায় সেখানে সভা করার ভঙ্গ হয়নি। কিন্তু এটা নিয়েও বিএনপি আচরণবিধি লঙ্ঘনের ভুয়া অভিযোগ তুলেছে বলেও উল্লেখ করেন।
ওবায়দুল কাদের আরও বলেন, ‘কুমিল্লার মতো, নারায়ণগঞ্জের মতো রংপুরের মতো গাজীপুর ও খুলনায় নির্বাচন হবে। বিএনপি তো নির্বাচনের আগেই হেরে যায়! তারা কি জনমত দেখে আঁচ করতে করতে পারছেন যে, নির্বাচনে ভরাডুবি অনিবার্য। আর সে জন্য আগেভাগেই ক্ষেত্র তৈরি করছে। তাদের এই অভিযোগ থেকে এটাই মনে হয়।’
ঢাকা মহানগর উত্তর কৃষক লীগের সভাপতি মাকসুদুল আলমের সভাপতিত্বে সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন দলের যুগ্মসাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ, সাংগঠনিক সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম, প্রধানমন্ত্রীর একান্ত বিশেষ সহকারী সাইফুজ্জামান শিখর, কৃষক লীগের সভাপতি মোতাহার হোসেন মোল্লা, সাধারণ সম্পাদক খন্দকার শামসুল হক রেজা, যুগ্মসাধারণ সম্পাদক সমীর চন্দ্র দে, উম্মে কুলসুম স্মৃতি, সাংগঠনিক সম্পাদক বিশ্বনাথ সরকার বিটুসহ অনেকে।
সভা পরিচালনা করেন মহাগনর উত্তর কৃষক লীগের সাধারণ সম্পাদক হালিম খান।
সারাবাংলা/এনআর/এমআইএস/এমআই