Friday 27 September 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

সভা-সমাবেশে বাধা দেওয়া সাংবিধানিক অধিকারের লঙ্ঘন

ঢাবি করেসপন্ডেন্ট
৯ ডিসেম্বর ২০২২ ১৬:১২

ঢাকা: জনদুর্ভোগের কথা বলে বিরোধী রাজনৈতিক দলের সভা ও সমাবেশে বাধা দেওয়া জনগণের প্রতি সরকার ও পুলিশের দরদ নয়, বরং নাগরিকের সাংবিধানিক অধিকারের স্পষ্ট লঙ্ঘন বলে মন্তব্য করেছেন বাম গণতান্ত্রিক জোটের নেতারা।

শুক্রবার (৯ ডিসেম্বর) সকালে বাম গণতান্ত্রিক জোট আয়োজিত ‘ফ্যাসিবাদী দুঃশাসন রুখো, গণতন্ত্র ও ভোটাধিকার প্রতিষ্ঠায় গণআন্দোলন গড়ে তোলো’ শীর্ষক সংবাদ সম্মেলনে নেতারা এসব কথা বলেন। রাজধানীর পুরানা পল্টনে অবস্থিত মুক্তি ভবনের মৈত্রী মিলনায়তনে এ সম্মেলন হয়।

বিজ্ঞাপন

তারা বলেন, সভা-সমাবেশ-মিছিলে বাধাদান করে আওয়ামী ফ্যাসিবাদী সরকার নাগরিকদের সাংবিধানিক অধিকারকে ক্রমাগত হরণ করে চলেছে।

এ সময় বিএনপি অফিসে হামলা, টিয়ার সেল নিক্ষেপ ও হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত দায়ী পুলিশের বিচার, মির্জা ফখরুলসহ গ্রেফতারকৃত নেতাদের মুক্তি, নিহতের পরিবারকে উপযুক্ত ক্ষতিপূরণ, আহতদের সুচিকিৎসা প্রদান এবং গণগ্রেফতার ও গায়েবী মামলা বন্ধের দাবি জানায় বাম গণতান্ত্রিক জোট।

এছাড়া উত্থাপিত দাবিতে আগামী ১৩ ডিসেম্বর দেশব্যাপী প্রতিবাদ ও বিক্ষোভ দিবস পালনের কর্মসূচি ঘোষণা করেছে জোটের নেতারা। ওই দিন জোটের আয়োজনে বিকেল ৪টায় রাজধানীর পল্টন মোড়ে সমাবেশ ও বিক্ষোভ মিছিল অনুষ্ঠিত হবে বলে জানান নেতারা।

অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির (সিপিবি) কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক ও বাম গণতান্ত্রিক জোটের সমন্বয়ক রুহিন হেসেন প্রিন্স।

বিএনপির সমাবেশ প্রসঙ্গে লিখিত বক্তব্যে বলা হয়, ‘সম্প্রতি বিরোধী দল বিএনপির বিভাগীয় সমাবেশগুলো পণ্ড করতে বাস, ট্রাক, লঞ্চ, থ্রি হুইলার বন্ধ করে শুধু বিএনপির সমাবেশেই প্রতিবন্ধকতা তৈরি করেনি, সাধারণ জনগণের চলাচলেও বাধা তৈরি করে অসুস্থ রোগীকে হাসপাতালে নেওয়া, শিক্ষার্থীদের স্কুল-কলেজে যাওয়ায় বাধা সৃষ্টি করেছে। বাস্তবে ওই সব এলাকার জনগণকে জিম্মি করে রেখেছিল সরকার। বিএনপির ঢাকা সমাবেশকে কেন্দ্র করে জনসভার স্থান নিয়ে সরকার বাকযুদ্ধে লিপ্ত হয়ে মূল সমস্যা থেকে জনগণের দৃষ্টি আড়াল করে দেশের সম্পদ লুণ্ঠন, ব্যাংক ডাকাতি, অর্থপাচার, দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধিসহ জনজীবনের সংকট নিরসনে সরকার তার ব্যর্থতা ঢাকার অপচেষ্টা করছে।’

বিজ্ঞাপন

বিএনপির কার্যালয়ে বোমা মজুদ প্রসঙ্গে লিখিত বক্তব্যে বলা হয়, ‘গতকাল বিএনপি মহাসচিবকে অফিসে ঢুকতে না দেওয়ার কারণ হিসেবে পুলিশ যে যুক্তি উপস্থাপন করছে তা খুবই হাস্যকর। অফিসে বোমা মজুদ করে রাখা হয়েছে বলে বলা হচ্ছে। পুলিশের একথা দেশের জনগণ মোটেই বিশ্বাস করে না। নিরীহ মানুষের পকেটে ফেনসিডিল, ইয়াবা ঢুকিয়ে দিয়ে মামলায় গ্রেফতার হয়রানি নাটক জনগণ অহরহ দেখে আসছে।’

ওই লিখিত বক্তব্যে আরও বলা হয়, ‘দেশের অর্থনীতির ভর চিত্র প্রতিদিনের সংবাদপত্রের খবরে প্রকাশ পাচ্ছে। সরকারের পৃষ্ঠপোষকতায় ব্যাংক ডাকাতেরা ঋণ নিয়ে ফেরৎ না দিয়ে বিদেশে পাচার করে ব্যাংকগুলো ফোকলা করে ফেলেছে। সিন্ডিকেট ব্যবসায়ীরা চাল-ডাল-তেল-চিনিসহ নিত্য পণ্যের দাম পঞ্চায় দফায় অস্বাভাবিক বৃদ্ধি করে বাজারে অস্থিতিশীল পরিস্থতি সৃষ্টি করেছে।’

সংবাদ সম্মেলনে অন্যদের মধ্যে আরও উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দলের (বাসদ) সাধারণ সম্পাদক বজলুর রশীদ ফিরোজ, কমিউনিস্ট লীগের আবদুস সাত্তার, বাসদের (মার্ক্সবাদী) সমন্বয়ক মাসুদ রানা, সমাজতান্ত্রিক আন্দোলনের নির্বাহী সভাপতি আবদুল আলী, গণতান্ত্রিক বিপ্লবী পার্টির সাধারণ সম্পাদক মোশরেফা মিশু সিপিবির সহসাধারণ সম্পাদক মিহির ঘোষসহ অনেকে।

সারাবাংলা/আরআইআর/এনএস

বিজ্ঞাপন
সর্বশেষ

ভারত থেকে ফিরলেন ৯ বাংলাদেশি তরুণী
২৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ১২:২৩

আজ জাতিসংঘে বাংলায় ভাষণ দেবেন ড. ইউনূস
২৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ১২:০৪

সবজি-মুরগির বাজার চড়া, অধরা ইলিশ
২৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ১১:১০

সম্পর্কিত খবর