সায়মা ওয়াজেদের জন্মদিনে শুভেচ্ছা বার্তা আ.লীগের
৯ ডিসেম্বর ২০২২ ২৩:২৯
ঢাকা: জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের দৌহিত্রী আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন অটিজম বিশেষজ্ঞ সায়মা ওয়াজেদ পুতুলের জন্মদিনে শুভেচ্ছা বার্তায় অভিনন্দন জানিয়েছে আওয়ামী লীগ। ১৯৭২ সালের ৯ ডিসেম্বর তিনি জন্মগ্রহণ করেন। ৫০তম জন্মদিন উপলক্ষে আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানান আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। শুক্রবার (৯ডিসেম্বর) এক বার্তায় দলের পক্ষ থেকে তিনি এই শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানান।
শুভেচ্ছা বার্তায় ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘আজ ৯ ডিসেম্বর জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিুবর রহমানের দৌহিত্রী সায়মা ওয়াজেদ হোসেনের শুভ জন্মদিন। ১৯৭২ সালের এই দিনে তিনি জন্মগ্রহণ করেন। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবারে হত্যার পরে মাতা শেখ হাসিনার সঙ্গে দীর্ঘ নির্বাসনে ছিলেন সায়মা ওয়াজেদ হোসেন। সকল প্রতিকূলতা ও বাধা-বিপত্তি জয় করে তিনি উচ্চ শিক্ষায় শিক্ষিত হন।’
তিনি বলেন, ‘সায়মা ওয়াজেদ হোসেন ১৯৯৭ সালে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ব্যারি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে মনোবিজ্ঞানে স্নাতক এবং ২০০২ সালে ক্লিনিক্যাল মনস্তত্ত্বে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেন। ২০০৪ সালে স্কুল সাইকোলজি’র ওপর বিশেষজ্ঞ ডিগ্রি অর্জন করেন।’
ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘ব্যারি বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যায়নের সময় তিনি বাংলাদেশের নারীদের উন্নয়নের ওপর গবেষণা করেন। এ বিষয়ে তার গবেষণাকর্ম ফ্লোরিডার একাডেমি অব সায়েন্স কর্তৃক শ্রেষ্ঠ সায়েন্টিফিক উপস্থাপনা হিসেবে স্বীকৃতি লাভ করে। তিনি ২০০৮ সাল থেকে শিশুদের অটিজম এবং স্নায়বিক জটিলতাসংক্রান্ত বিষয়ের ওপর কাজ করছেন। তিনি ২০১১ সালে ঢাকায় অটিজমবিষয়ক প্রথম দক্ষিণ এশীয় সম্মেলনের আয়োজন করেন। ২০১৩ সাল থেকে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থায় মানসিক স্বাস্থ্যের বিশেষজ্ঞ পরামর্শক হিসেবে কাজ করছেন। যার স্বীকৃতিস্বরূপ বিশ্ব সংস্থা কর্তৃক ২০১৪ সালে হু অ্যাক্সিলেন্স পুরস্কারে ভূষিত হন।’
আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘সায়মা ওয়াজেদ হোসেন সারাবিশ্বের বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন শিশুদের মেধা-মনন-প্রতিভা ও মানসিক বিকাশে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখে চলেছেন। তিনি আপন কর্মমহিমায় নিজেকে এক অনন্য উচ্চতায় তুলে ধরেছেন। তিনি ক্ষমতা ও ঐশ্বর্যের মোহ থেকে নিজেকে মুক্ত রেখে আত্মশক্তিতে সমৃদ্ধ হয়ে মানবতা ও মানবাধিকার প্রতিষ্ঠার মহান ব্রতে আবদ্ধ করেছেন।’
তিনি বলেন, ‘পুতুল এমন এক মহৎপ্রাণ ব্যক্তিত্ব যিনি বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন শিশুদের কল্যাণে নিজেকে বিলিয়ে দেওয়ার মহান দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন। সায়মা ওয়াজেদ হোসেনের নেতৃত্বে অটিজম আন্দোলনের ফলে এদেশের বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন শিশুরা মূলধারায় সংযুক্ত হওয়ার সুযোগ পেয়েছে। তাদের মেধা ও দক্ষতা বিকাশের অবারিত সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে। সায়মা ওয়াজেদ হোসেনের ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় প্রমাণিত হয়েছে বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন শিশুরা সমাজের বোঝা নয়, বরং সুযোগ পেলে তারাও মেধা-মনন-দক্ষতা ও সৃজনশীলতায় সুনাগরিক হয়ে উঠতে পারে।’
ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘সায়মা হোসেন ওয়াজেদ পুতুল আপন কর্মমহিমায় হয়ে উঠেছেন মানবিক বিশ্বের এক উজ্জ্বলতম নক্ষত্র। সকল মানবিক হৃদয়ের মানুষের অতি আপনজন; দেশপ্রেমিক ও মানবতাবাদী তরুণ প্রজন্মের জন্য অনুকরণীয় ব্যক্তিত্ব।’
শুভেচ্ছা বার্তায় ওবায়দুল কাদের মানবতাবাদী বিশ্ববরেণ্য মনোবিজ্ঞানী সায়মা ওয়াজেদ হোসেন পুতুলের শুভ জন্মদিন উপলক্ষে দেশবাসীর কাছে দোয়া প্রার্থনা করেন এবং পরম করুণাময়ের কাছে তার সুস্বাস্থ্য ও দীর্ঘায়ু কামনা করেন।
সারা বিশ্বে অটিস্টিক শিশুর অধিকার প্রতিষ্ঠায় কাজ করে যাচ্ছেন পুতুল। তিনি ২০০৮ সাল থেকে শিশুদের অটিজম এবং স্নায়বিক জটিলতাসংক্রান্ত বিষয়ের ওপর কাজ করছেন। স্বীকৃতিস্বরূপ, বিশ্ব সংস্থা কর্তৃক তিনি হু অ্যাক্সিলেন্স পুরস্কারে ভূষিত হন। তিনি ২০১১ সালে ঢাকায় অটিজমবিষয়ক প্রথম দক্ষিণ এশীয় সম্মেলনের আয়োজন করেছিলেন। ২০১৩ সাল থেকে বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থায় মানসিক স্বাস্থ্যের বিশেষজ্ঞ পরামর্শক হিসেবে কাজ করছেন।
সারাবাংলা/এনআর/পিটিএম