সোনালী ব্যাংকের এমডিসহ ৯ জনের ১৭ বছর করে কারাদণ্ড
১১ ডিসেম্বর ২০২২ ১৮:৫১
ঢাকা: সোনালী ব্যাংকের ৫ কোটি ১৯ লাখ টাকা আত্মসাতের অভিযোগে দায়ের করা মামলায় ব্যাংকের এমডি হুমায়ুন কবিরসহ ৯ জনকে পৃথক দুই ধারায় ১৭ বছর কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।
রোববার (১১ ডিসেম্বর) ঢাকার বিশেষ দায়রা জজ আদালত-৫ এর বিচারক ইকবাল হোসেন এ রায় ঘোষণা করেন। তাদের পেনাল কোডের ৪০৯/১০৯ ধারায় ১০ বছর এবং ৪২০/১০৯ ধারায় ৭ বছর কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। তবে দুই ধারার সাজা একত্রে চলবে বলে ১০ বছর কারাভোগ করতে হবে।
আসামিরা হলেন— সোনালী ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ের এমডি ও সিইও হুমায়ুন কবির, জিএম ননী গোপাল নাথ, ডিজিএম সফিজ উদ্দিন আহমেদ, এজিএম কামরুল হোসেন খান, ডিএমডি মাইনুল হক, এক্সিকিউটিভ অফিসার মোহাম্মদ আব্দুল মতিন, প্যারাগন প্রিন্টিং অ্যান্ড প্যাকেজিং লিমিটেডের এমডি সাইফুল ইসলাম রাজা, পরিচালক আব্দুল্লাহ আল মামুন ও মণ্ডল ট্রেডার্সের মালিক মকুল হোসেন।
অন্যদিকে সোনালী ব্যাংকের ডিজিএম শেফ আলতাফ হোসেনকে পেনাল কোডের ৪০৯/১০৯ ধারায় ৫ বছর এবং ৪২০/১০৯ ধারায় আরও ৩ বছর সশ্রম কারাদণ্ড দেন আদালত। এ আসামিরও দুই ধারার সাজা একত্রে চলবে বলে ৫ বছর কারাভোগ করতে হবে। এছাড়া আত্মসাৎ করা ৫ কোটি ১৯ লাখ ৭৭ হাজার ৭০০ টাকা ১০ আসামির কাছ থেকে সমহারে নিয়ে রাষ্ট্রের অনুকূলে বাজেয়াপ্ত করার নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। অন্যদিকে ১০ আসামির প্রত্যেককে আরও ৫০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড, অনাদায়ে আরও ১ মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেন আদালত।
জানা যায়, ২০১৩ সালের ১ জানুয়ারি দুদকের উপ-পরিচালক মুহাম্মদ জয়নাল আবেদীন বাদী হয়ে রমনা থানায় এ মামলা দায়ের করেন। মামলার অভিযোগে বলা হয়, আসামিরা পরস্পর যোগসাজশে মিথ্যা ও প্রতারণার আশ্রয়ে ক্ষমতার অপব্যবহার করে প্যারাগন প্রিন্টিং অ্যান্ড প্যাকেজিং লিমিটেড বরাবর মিথ্যা ও ভুয়া আমদানি-রফতানি দেখিয়ে আইবিপি বাবদ ৫ কোটি ২০ লাখ টাকা পরিশোধ না করে পরবর্তীতে সমন্বয় অন্তে আইবিপি ঋণ সৃষ্টি করে ৫ কোটি ১৯ লাখ ৭৭ হাজার ৭০০ টাকা আত্মসাৎ করেন।
এ কারণে আসামিদের বিরুদ্ধে পেনাল কোডের ৪০৬/৪০৯/৪২০/১০৯ ধারাসহ মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ আইন-২০১২ এর ৪ ধারায় রমনা মডেল থানার মামলা করে দুদক। ২০১৪ সালের ২২ মে মামলাটি তদন্ত করে সেলিনা আখতার মনি মামলার চার্জশিট দাখিল করেন। মামলাটিতে ৪৩ জন সাক্ষী দিয়েছেন।
সারাবাংলা/এআই/এনএস