‘পুলিশ যখন মার খায় তখন কোথায় যায় মানবাধিকার?’
১১ ডিসেম্বর ২০২২ ২২:৪৯
মানিকগঞ্জ: আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, বিদেশি দূতাবাস সহিংসতা নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করে, উদ্বিগ্ন হয়। পুলিশের ওপর যখন হামলা হয়, যখন তারা মার খেয়ে মাটিতে লুটিয়ে পড়ে, তখন কোথায় যায় মানবাধিকার? যুক্তরাষ্ট্রের উদ্দেশে তিনি বলেন, আপনাদের দেশে প্রতিদিন নারী ধর্ষিত হচ্ছে। তখন কি মানবাধিকার লঙ্ঘন হয় না? তখন আপনার নীরব থাকেন কেন?
রোববার (১১ নভেম্বর) বিকেলে মানিকগঞ্জ সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে জেলা আওয়ামী লীগের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
বিএনপির সাত সংসদ সদস্য পদত্যাগের বিষয়ে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘বিএনপির সাত জন জাতীয় সংসদর মধ্যে পাঁচ জন পদত্যাগ করেছেন, স্পিকার গ্রহণও করেছেন। বিএনপির সদস্যদের পদত্যাগ হচ্ছে- মহাসিন্ধু থেকে বিন্দুর মতো। আওয়ামী লীগের ৩০১ সংসদ সদস্য রয়েছে। এছাড়া জাতীয় পার্টি, ওয়ার্কাস পার্টি, তরিকত ফেডারেশন, বিকল্পধারার সংসদ সদস্য রয়েছে। তারা তো পদত্যাগ করেনি। এর জন্য সংসদ অচল হয়ে পড়বে এটা ভাবার কোনো কারণ নেই। এই ভুলের জন্য বিএনপিকে অনুতাপ করতে হবে।’
মন্ত্রী আরও বলেন, ‘আমাদের রিজার্ভ কমে গিয়েছিল। এখন আবার রিজার্ভের গতি ফিরে এসেছে। ৫ মাসের খাদ্যপণ্য আমদানি করার মতো রিজার্ভ এখনো আমাদের আছে। মানুষ কষ্ট করে এমন কোনো মেগা প্রকল্প শেখ হাসিনা নেবেন না। বিশ্ব সংকট, তবুও ভয় পাইনি আমরা। দেশে খাবার মজুদ আছে। দেশ আবার ঘুরে দাঁড়াবে। আমাদের লক্ষ উন্নয়নশীল রাষ্ট্র। আমার সেই লক্ষে এগিয়ে যাচ্ছি।’
সেতুমন্ত্রী আরও বলেন, ‘১০ তারিখ তো চলে গেল কোথায় বিএনপির নেতারা। খালেদা জিয়া তো ক্ষমতা দখল করতে পারল না। উনি যেখানে ছিলেন সেখানেই আছেন। তারেক জিয়া তো মুচলেকা দিয়ে লন্ডনে গিয়েছে। দেখতে দেখতে ১৫ বছর চলে গেল। তারেক রহমান আসবে কোন বছর? মানুষ বাঁচে কয় বছর।’
ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘বিএনপি গণতন্ত্রের কথা বলে গলা ফাটায়। কিন্তু তাদের ঘরে গণতন্ত্র নেই। বিদেশি কূটনীতিকদের বলব, জিজ্ঞেস করেন তাদের সম্মেলন কবে হয়েছে। সংবিধান সংশোধনের দিবাস্বপ্ন ভুলে যান। তত্ত্বাবধায়ক সরকার ভুলে যান। তত্ত্বাবধায়ক সরকার আর হবে না।’
সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী বলেন, ‘আওয়ামীলীগ এত দুর্বল দল নয় যে, ধাক্কা দিলে পড়ে যাবে! আওয়ামী লীগের শিকর অনেক গভীরে। সহজে এই দলকে উপড়ে ফেলা সম্ভব নয়। ১০ ডিসেম্বর তা প্রমাণ হলো।’
জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা গোলাম মহীউদ্দীনের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুস সালামের সঞ্চালনায় সম্মেলনে আরও বক্তব্য দেন- আওয়ামী লীগের সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য কামরুল ইসলাম, সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আজম, কেন্দ্রীয় প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক ড. আব্দুস সোবহান গোলাপ, ডা. মোস্তাফা জালাল মহিউদ্দিন, স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক, নাঈমুর রহমান দুর্জয়, এমপি, মমতাজ বেগম, এমপি, কেন্দ্রীয় নেতা সাঈদ খোকন, সানজিদা খানম, সামছুন নাহার চাপা প্রমুখ।
দ্বিতীয় অধিবেশনে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের আগামী তিন বছরের জন্য ফের সভাপতি হিসেবে গোলাম মহীউদ্দীন এবং সাধারণ সম্পাদক হিসেবে আব্দুস সালামের নাম ঘোষণা করেন। এছাড়া সিনিয়র সহ-সভাপতি হিসেবে আব্দুল মজিদের নাম ঘোষণা করা হয়।
সারাবাংলা/পিটিএম