Saturday 28 September 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

কৃষক লীগের কাতার শাখার কি দরকার, প্রশ্ন কাদেরের


৩০ এপ্রিল ২০১৮ ২২:১৮

।। সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট ।।

ঢাকা: দলের অন্যতম সহযোগী সংগঠন বাংলাদেশ কৃষক লীগের অনুষ্ঠানের মঞ্চে দাঁড়িয়েই এবার সংগঠনের নেতাদের খোঁচা দিলেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেন, কৃষকলীগের ধানমন্ডি, গুলশান শাখার কী প্রয়োজন আছে। কাতার-কুয়েত-সৌদি আরব-যুক্তরাষ্ট্র শাখার কি প্রয়োজন আছে?

সোমবার (৩০ এপ্রিল) বিকেলে রাজধানীর খামারবাড়ি কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে ঢাকা মহানগর উত্তর আয়োজিত বাংলাদেশ কৃষক লীগের ৪৬তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকীর আলোচনা সভায় তিনি এ কথা বলেন।

এর আগে ২০১৭ সালের ১২ মার্চ বিকেলে বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ে ঐতিহাসিক ৭ মার্চ উপলক্ষে আওয়ামী লীগের আরেক সহযোগী সংগঠন জাতীয় শ্রমিক লীগের সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে একথা বলেন। সেদিন কাদের বলেন, ‘কৃষক লীগের গুলশান শাখার কি দরকার, ধানমন্ডি শাখার কি দরকার! ধানমন্ডিতে যে ধানচাষ হয় তা তো আমি জানি না! কৃষক লীগের কাতার শাখার কি দরকার?

এর আগে শ্রমিক লীগের অনুষ্ঠানে একথা বললেও আজ কৃষক লীগের নেতাদের উদ্দেশ্যে ওবায়দুল কাদের বলেন, আমাকে অনেকদিন দাওয়াত দিতে গেছে আমি রাজি হইনি। আমি বলেছি, গ্রামে একটা সমাবেশ করুন। কৃষকলীগ কৃষকদের নিয়ে সমাবেশ করবেন এবং কৃষকদের মাঝে গেলে খুব ভাল লাগবে।

নেত্রী (শেখ হাসিনা) অতীতে যতগুলো কৃষক সমাবেশ করেছেন তার সঙ্গে গেছি। আমার মনে আছে গ্রাম বাংলার কৃষকরা যেখানে সেইসব জায়গাকে তিনি বেছে নিয়েছিলেন বলে জানান কাদের।

এ জন্য কৃষক লীগকে কৃষিনির্ভর বাংলাদেশের সুন্দর গ্রামগুলো বেছে নিয়ে কর্মসূচিসহ জেলা, উপজেলা ও ইউনিয়নে সমাবেশ করার বিশেষ অনুরোধ জানান আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক।

বিজ্ঞাপন

আর বক্তব্যের এক পর্যায়ে মিলনায়তনে উপস্থিতদের দেখিয়ে বলেন, ‘এইখানে যারা আছেন কতজন কৃষক আছেন? কৃষকলীগের কি ধানমন্ডি শাখার প্রয়োজন আছে? গুলশান শাখার প্রয়োজন আছে?

এ সময় পাশ থেকে কৃষক লীগের কয়েকজন নেতা প্রয়োজন আছে দাবি করলে ওবায়দুল কাদের বলেন, গায়ের জোরে বললে হবে না। কৃষকলীগ কি কাতার শাখার প্রয়োজন আছে? কাতারে কৃষক লীগের কি প্রয়োজন? কুয়েত সৌদি আরব, যুক্তরাষ্ট্রে কি প্রয়োজন, নিউইর্য়কে কি প্রয়োজন?

এ ব্যাপারে কাদের বলেন, আমাদের নজর দিতে হবে, কৃষকরা যেখানে আছে। সেটাই হবে আমাদের ফোকাস। আমাদের কৃষক রাজনীতির ফোকাস হবে ওই গাইবান্ধার গ্রাম। যেখানে ১৮জন কৃষক প্রাণ সারের দাবীতে আন্দোলন করতে গিয়ে প্রাণ দিয়েছিল। আশা করি, এই সব জায়গাগুলো ভবিষ্যতে আপনারা বেছে নেবেন। এরকম জায়গা বেছে নিলে আমি নিজেও থাকতে পারি।

এই দেশের কৃষকদের জন্য বঙ্গবন্ধু যা শুরু করেছিলেন সেই পথ ধরে বঙ্গবন্ধু কন্যা কৃষকদের মুক্তির ও উন্নয়ন এবং বঞ্চনা-উপেক্ষা থেকে কৃষক সমাজকে রক্ষা করার জন্য ৭৫’র পরবর্তীকালে কৃষকদের জন্য কেউ এতোটা করেনি। যা করেছে শেখ হাসিনার সরকারই করেছে। শেখ হাসিনার সরকারই ৭৫ পরবর্তীকালে একমাত্র কৃষকবান্ধব সরকার বলে দাবি করেন কাদের।

ঢাকা মহানগর উত্তর কৃষক লীগের সভাপতি মাকসুদুল আলমের সভাপতিত্বে সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন দলের যুগ্মসাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ, সাংগঠনিক সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম, প্রধানমন্ত্রীর একান্ত বিশেষ সহকারী সাইফুজ্জামান শিখর, কৃষক লীগের সভাপতি মোতাহার হোসেন মোল্লা, সাধারণ সম্পাদক খন্দকার শামসুল হক রেজা, যুগ্মসাধারণ সম্পাদক সমীর চন্দ্র দে, উম্মে কুলসুম স্মৃতি, সাংগঠনিক সম্পাদক বিশ্বনাথ সরকার বিটুসহ অনেকে। সভা পরিচালনা করেন মহাগনর উত্তর কৃষক লীগের সাধারণ সম্পাদক হালিম খান।

বিজ্ঞাপন

সারাবাংলা/এনআর/এমআই

বিজ্ঞাপন
সর্বশেষ
সম্পর্কিত খবর