Monday 25 Nov 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

বিলে আবাসন প্রকল্প: পরিবেশ ছাড়পত্রের শর্ত তদারকির নির্দেশ

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট
১১ ডিসেম্বর ২০২২ ২৩:৪৭

ঢাকা: সিলেটের দক্ষিণ সুরমা উপজেলার ‘কাউয়ার হাওরে (বিল)’ দুটি আবাসন কোম্পানিকে পরিবেশগত ছাড়পত্র দেওয়ার ক্ষেত্রে এ সংক্রান্ত যাবতীয় শর্ত পূরণের বিষয়টি তদারকির নির্দেশ দিয়েছেন আপিল বিভাগ। রায়ে পরিবেশ অধিদফতরের চাওয়া সব তথ্যপ্রদান ও শর্ত পূরণের পর এসব বিষয়ে পরিবেশ অধিদফতরকেই যথাযথভাবে তদারকি করতে বলা হয়েছে।

রোববার (১১ ডিসেম্বর) বাংলাদেশ পরিবেশ আইনবিদ সমিতির (বেলা) আপিল আবেদন নিষ্পত্তি করে প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বাধীন আপিল বিভাগ এ রায় দেন। আদালতে বেলার পক্ষে ছিলেন আইনজীবী মিনহাজুল হক চৌধুরী। রয়েল হোমস লিমিটেডের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী মাহবুব মোর্শেদ।

বিজ্ঞাপন

রায়ে আবাসন প্রকল্পে পরিবেশ অধিদফতর কর্তৃক প্রদত্ত পরিবেশগত ছাড়পত্রের শর্তগুলো যথাযথভাবে পালিত হচ্ছে কিনা তা তদারকি করতে পরিবেশ অধিদফতরের প্রতি নির্দেশ দিয়ে বেলার আপিল আবেদনটি নিষ্পত্তি করা হয়।

মামলার বিবরণে জানা যায়, ২০০৯ সালে বাংলাদেশ পরিবেশ আইনবিদ সমিতি (বেলা) সিলেট জেলার দক্ষিণ সুরমা উপজেলাধীন কুরি, ভারেরা, মেদী ও লোহাজুরি নামক বিল ভরাট ও বিলে রয়েল হোমস লিমিটেডের ‘রয়েল সিটি’ ও দক্ষিণ সুরমা সিটি লিমিটেডের ‘সোনারগাঁ আবাসিক এলাকা’ নামক প্রকল্প নির্মাণের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে একটি জনস্বার্থমূলক রিট (৪৪০০/২০০৯) দায়ের করে।

মামলার চূড়ান্ত শুনানি শেষে হাইকোর্ট ২০১৪ সালের ১০ সেপ্টেম্বর আবাসন কোম্পানিগুলোকে পরিবেশগত ছাড়পত্র প্রাপ্তির জন্য পরিবেশ অধিদফরের সকল চাহিত তথ্য প্রদান ও শর্ত পূরণের নির্দেশ দেন। রায়ে আদালত আবাসন কোম্পানিগুলো যাতে যথাযথ অনুমোদন পায় সে বিষয়ে আইনগতভাবে ব্যবস্থা নিতে সংশ্লিষ্ট পরিবেশ অধিদফতরের প্রতি নির্দেশ দেওয়া হয়।

বিজ্ঞাপন

পরে রায়ের বিরুদ্ধে সিভিল আপিল (২৮৮/২০১৭) দায়ের করে বেলা। আজ (১১ ডিসেম্বর) আপিলের চূড়ান্ত শুনানি শেষে প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বাধীন আপিল বিভাগ আবাসন প্রকল্প দুটিকে পরিবেশ অধিদপ্তর কর্তৃক প্রদত্ত পরিবেশগত ছাড়পত্রের শর্তগুলো যথাযথভাবে পালিত হচ্ছে কিনা তা তদারকির জন্য পরিবেশ অধিদফতরের প্রতি নির্দেশ দিয়েছেন।

পরিবেশগত ছাড়পত্রের শর্তগুলোর অন্যতম হলো- প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করতে গিয়ে কোনো প্রকার জলাভূমি ভরাট করা যাবে না। সিলেট জেলার দক্ষিণ সুরমা উপজেলাধীন ৪নম্বর কুচাই ইউনিয়নের বিশাল এলাকাজুড়ে একটি প্রাকৃতিক জলাভূমি রয়েছে, যা ‘কাউয়ার হাওর’ নামে পরিচিত। এই হাওরের বিভিন্ন মৌজায় ও দাগে বিশাল এলাকাজুড়ে জলাধীন কুরি, ভারেরা মেদী ও লোহাজুরি নামক চারটি বিল রয়েছে।

বিলগুলোর প্রায় ১১২ দশমিক ৫০ একর জমি ভরাট করে সেখানে ওই দুই আবাসন কোম্পানি তাদের আবাসন প্রকল্প বাস্তবায়নের উদ্যোগ নেয়। এ আবাসন প্রতিষ্ঠান দুটি কোনোরকম অবস্থানগত ও পরিবেশগত ছাড়পত্র গ্রহণ ছাড়াই তাদের কার্যক্রম পরিচালনা করছিল। আইন লঙ্ঘনের অভিযোগে তাদের জরিমানা করে পরিবেশ অধিদফতর। পরে নিজ অবস্থানের বাইরে গিয়ে প্রকল্প দুটির অনুকূলে শর্তসাপেক্ষে পরিবেশগত ছাড়পত্র দেয় পরিবেশ অধিদফতর। এরপর এ বিষয়ে উচ্চ আদালতের মামলা দায়ের করে বেলা।

সারাবাংলা/কেআইএফ/পিটিএম

আপিল বিভাগ

বিজ্ঞাপন

খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় দিবস আজ
২৫ নভেম্বর ২০২৪ ১০:৫০

আরো

সম্পর্কিত খবর