ফখরুল-আব্বাসসহ বিএনপির ২২৪ নেতাকর্মীর জামিন নামঞ্জুর

ঢাকা: নয়াপল্টনে বিএনপি নেতাকর্মীদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষের মামলায় দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ও স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাসসহ ২২৪ জনের জামিন আবেদন নাকচ করে দিয়েছেন বিচারক।

সোমবার (১২ ডিসেম্বর) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট শফি উদ্দিনের আদালত আসামিদের জামিন না মঞ্জুরের আদেশ দেন। পল্টন থানায় দায়ের হওয়া বিস্ফোরক দ্রব্য আইনের মামলায় এই জামিন আবেদন করা হয়েছিল।

জামিন নামঞ্জুর হওয়া আসামিদের মধ্যে রয়েছেন- বিএনপির কেন্দ্রীয় প্রচার সম্পাদক শহীদ উদ্দীন চৌধুরী এ্যানি, ঢাকা মহানগর দক্ষিণের আহ্বায়ক আবদুস সালাম, খাইরুর কবীর খোকন, ফজলুল হক মিলন।

রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী স্পেশাল পাবলিক প্রসিকিউটর আজাদ রহমান এসব তথ্য জানান।

এদিন আসামিদের পক্ষে জামিন শুনানি করেন জয়নুল আবেদীন, মাসুদ আহমেদ তালুকদারসহ অনেকে। এসময় এজলাসে বিএনপিপন্থী শতাধিক আইনজীবী উপস্থিত ছিলেন।

মামলায় বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, স্থায়ী কমিটির সদস্য, মির্জা আব্বাস, প্রচার সম্পাদক শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানী, মোহাম্মদ আব্দুস সালামসহ ২২৪ জনকে আসামি করা হয়েছে।

উল্লেখ্য, গত ৭ ডিসেম্বর বিকেলে নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে বিএনপি নেতাকর্মীদের সঙ্গে সংঘর্ষ হয় পুলিশের। এতে একজন গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যান। আহত হন অনেকে। পরে অভিযান চলাকালে নয়াপল্টন থেকে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী, প্রচার সম্পাদক শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানি, ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির আহ্বায়ক আমান উল্লাহ আমান, চেয়ারপারসনের বিশেষ সহকারী শামসুর রহমান শিমুল বিশ্বাসসহ অনেক নেতাকর্মীকে আটক করে পুলিশ।

ওই ঘটনায় পল্টন মডেল থানায় পুলিশের ওপর হামলা ও বিস্ফোরক আইনে মামলাটি দায়ের করেন পুলিশ। গ্রেফতার ৪৫০ নেতাকর্মীর মধ্যে রিজভী, অ্যানিসহ ৪৩৪ জনকে কারাগারে পাঠানো হয়। আর ১৪ আসামির দুই দিনের রিমান্ড এবং বিএনপি নেতা আমান উল্লাহ আমান ও আব্দুল কাদের জুয়েলের জামিন মঞ্জুর করেন আদালত।

এরপর গত ৮ ডিসেম্বর দিনগত রাত তিনটার দিকে মির্জা ফখরুল ও মির্জা আব্বাসকে আটক করে পুলিশ। পরের দিন তাদের গ্রেফতার দেখায় ডিবি পুলিশ। ওইদিন বিকেলে আদালত জামিন নামঞ্জুর করে তাদের কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।

সারাবাংলা/এআই/এমও

জামিন নামঞ্জুর জামিন শুনানি মির্জা আব্বাস মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর