Friday 22 Nov 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

হাইটেক পার্কের চার স্থাপনা উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট
১২ ডিসেম্বর ২০২২ ১৯:২২

ঢাকা: রাজশাহীতে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব হাই-টেক পার্কের তিনটি স্থাপনা এবং বরিশালে নির্মিত শেখ কামাল আইটি ট্রেনিং অ্যান্ড ইনকিউবেশন সেন্টারের উদ্বোধন করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

সোমবার (১২ ডিসেম্বর) রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে ‘ডিজিটাল বাংলাদেশ দিবস ২০২২’ এর উদ্বোধনী ও পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী এ ঘোষণা দেন।

অনুষ্ঠানে রাজশাহীতে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব হাই-টেক পার্কের প্রধান স্থাপনা জয় সিলিকন টাওয়ার, বঙ্গবন্ধু ডিজিটাল মিউজিয়াম এবং সিনেপ্লেক্স এর উদ্বোধন ঘোষণা করা হয়। একইসময় বরিশালে নির্মিত শেখ কামাল আইটি ট্রেনিং অ্যান্ড ইনকিউবেশন সেন্টারেরও উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, ২০৪১ সালে বাংলাদেশকে উন্নত সমৃদ্ধ দেশ হিসেবে গড়ে তুলব। সেই বাংলাদেশ হবে স্মার্ট বাংলাদেশ। এ জন্য চারটি বিষয়কে আমরা গুরুত্ব দিয়েছি। আমাদের জনগণ প্রযুক্তি ব‌্যবহারে দক্ষ হবে। স্মার্ট অর্থনীতি অর্থাৎ সব অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড আমরা প্রযুক্তি ব‌্যবহার করে করব। স্মার্ট সরকার, এরইমধ্যে আমরা অনেকটা করে ফেলেছি। বাকিটাও করে ফেলব। আর আমাদের পুরো সমাজই হবে স্মার্ট সোসাইটি।

সভাপতির বক্তব্যে আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বলেন, ‘২০১৭ সালের ১৪ সেপ্টেম্বর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা রাজশাহীতে প্রায় ৩৩৫ কোটি টাকা ব্যয়ে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব হাই-টেক পার্ক প্রকল্পের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেছিলেন। এখানে প্রায় ১৪ হাজার মানুষের কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি হবে, যা রাজশাহী অঞ্চলের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে ব্যাপক ভূমিকা রাখবে। এছাড়া বরিশালে ৬৬ কোটি ৬৯ লাখ টাকা ব্যয়ে শেখ কামাল আইটি ট্রেনিং অ্যান্ড ইনকিউবেশন সেন্টার স্থাপন করা হয়েছে। দেশে আইটি খাতে কাঙ্ক্ষিত বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন করতে হলে দক্ষ মানব-সম্পদ সৃষ্টির বিকল্প নেই। এ প্রকল্প বাস্তবায়নের মাধ্যমে সেই লক্ষ্য পুরণ আরও সহজ হবে।’

বিজ্ঞাপন

বাংলাদেশ হাই-টেক পার্ক কর্তৃপক্ষ এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক (গ্রেড-১) ডা. বিকর্ণ কুমার ঘোষ জানান, বিনিয়োগ অবকাঠামো হিসেবে সারাদেশে ১০৯টি হাই-টেক পার্ক স্থাপনের কাজ করছে। বর্তমানে ১০টি হাই-টেক পার্কে পূর্ণ উদ্যমে ব্যবসায়িক কার্যক্রম শুরু হয়েছে। দেশের বিভিন্ন পার্কে এরইমধ্যে ২১৩টি (দুইশত তের) প্রতিষ্ঠানকে স্পেস ও প্লট বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে এবং ১৫১টি স্থানীয় স্টার্টআপ কোম্পানিকে বিনামূল্যে স্পেস/কো-ওয়ার্কিং স্পেস বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। এ সব পার্কে বেসরকারি সেক্টর থেকে মোট ৫৭০ কোটি টাকা বিনিয়োগ হয়েছে এবং ২০২৫ সালের মধ্যে ৭ হাজার ৯৭০ কোটি টাকা বিনিয়োগ হবে।

অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি বিষয়ক মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি এ কে এম রহমতুল্লাহ। স্বাগত বক্তব্য রাখেন তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের সিনিয়র সচিব এন এম জিয়াউল আলম। অনু্ষ্ঠানে আইসিটি বিভাগ ও এর আওতাধীন বিভিন্ন দপ্তর সংস্থার কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। এছাড়া রাজশাহী ও বরিশাল প্রন্তে বাংলাদেশ হাই-টেক পার্ক কর্তৃপক্ষের কর্মকর্তা এবং স্থানীয় প্রশাসনের প্রতিনিধিরা সংযুক্ত ছিলেন।

সারাবাংলা/ইএইচটি/একে

প্রধানমন্ত্রী হাইটেক পার্ক

বিজ্ঞাপন

নতুন ইসির শপথ রোববার দুপুরে
২২ নভেম্বর ২০২৪ ১৪:২৩

আরো

সম্পর্কিত খবর