ঢাকা: সরকারের বিরুদ্ধে বিএনপির নেতাদের বিভিন্ন মিথ্যাচার ও অপপ্রচারের ব্যাপারে ক্ষোভ প্রকাশ করে আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, এদের এই মিথ্যাচারের বিরুদ্ধে কতো লড়বেন? কত কথা বলবেন? কোনো কিছুতেই তাদের মন ভরে না। কারণ তারা কখনো চায়নি, এই বাংলাদেশটা একটি সম্মান নিয়ে উঠে দাঁড়াক।
বুধবার (১৪ ডিসেম্বর) বিকেলে রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে শহিদ বুদ্ধিজীবী দিবস উপলক্ষে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ আয়োজিত আলোচনা সভায় তিনি এ সব কথা বলেন। প্রতিবারের মতো এবারও শহিদ বুদ্ধিজীবী দিবসে নানা কর্মসূচি পালন করেছে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ।
বিএনপি সরকারের শাসনামল ও এক/এগারোর সেনা সমর্থিত সরকারের সময় তার উপর বিভিন্ন মিথ্যা অভিযোগ এনে মামলা দেওয়ার প্রসঙ্গ তুলে ধরেন আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা।
তিনি বলেন, ‘আমার একটি মামলাও কিন্তু এক্সিকিউটিভ অর্ডার (নির্বাহী আদেশ) দিয়ে প্রত্যাহার করা হয়নি। প্রত্যেকটা মামলার তদন্ত হয়েছে।’
বিএনপির দিকে ইঙ্গিত করে শেখ হাসিনা বলেন, তোদের সেই বিশ্বব্যাংকই যখন আমাদের ওপর পদ্মা সেতু নিয়ে দুর্নীতির কথা বলল, তখন চ্যালেঞ্জ দিলাম। কানাডার ফেডারেল কোর্টে মামলার রায়ে বলে দিল সমস্ত ভুয়া, কোনো দুর্নীতিই হয়নি। আমি বলেছি তারপরেও বিশ্বব্যাংকের টাকায় ব্রিজ করব না। নিজেদের অর্থায়নে পদ্মা সেতু নির্মাণ করেছি।’
‘তারপরও খালেদা জিয়া কি বলেছে, জোড়াতালি দিয়ে পদ্মা সেতু হচ্ছে এটিতে কেউ উঠবেন না। এই যে বিএনপির লোকেরা গেল পদ্মা পাড়ি দিয়ে? তারা কি নদী সাঁতরে পার হয়েছে? না, নৌকায় পার হয়েছে? সেতুতে ওঠে নাই? ওঠার সময় লজ্জা হয় নাই তাদের? তাদের নেত্রী তো তাদের উঠতে মানা করেছিল, উঠল কেন? প্রশ্ন ছুড়ে দেন প্রধানমন্ত্রী।
তিনি আরও বলেন, ‘গঙ্গা পানি চুক্তি করলাম ভারতের সঙ্গে। বলে দিল গঙ্গার পানি নাকি আসেই নাই। আমি খালেদা জিয়াকেই বলেছিলাম, পদ্মা সেতুতে নেমে একটু দেখেন পানি আছে কি-না? রাজশাহীতে নেমে দেখেন কত পানি, হাঁটু পানি, কোমর পানি, না গলা পানি? তাতে আমার ওপরে ক্ষেপে গেল?’
আমি বিএনপি নেতাদের বললাম, আপনাদের নেত্রীকে বলেন না, নেমে একটু দেখেন পানি আসছে কি-না? তাদের কত কথা? ওই পানি দিয়ে ওজু হবে না। ওই পানিতে মাছ পাওয়া যাবে না। সেই দিনও তো ১৬ কেজির একটা আইড় মাছ পাওয়া গেছে!
বুদ্ধিজীবী দিবসের আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা। সভা পরিচালনা করেন আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক আবদুস সোবহান গোলাপ এবং উপ প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক আমিনুল ইসলাম আমিন।
সভায় সূচনা বক্তৃতা করেন দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। বক্তব্য রাখেন, সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য শেখ ফজলুল করিম সেলিম, আবদুর রাজ্জাক, আব্দুর রহমান, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ, আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম, স্বাস্থ্য ও জনসংখ্যা বিষয়ক সম্পাদক ডা. রোকেয়া সুলতানা, ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এসএম মান্নান কচি এবং হুমায়ুন কবির।