Friday 22 Nov 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

হতাশা থেকে আত্মহত্যা করেছেন বুয়েট ছাত্র ফারদিন: ডিবি

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট
১৪ ডিসেম্বর ২০২২ ২০:৩৬

ঢাকা: বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) ছাত্র ফারদিন নূর পরশ হতাশা থেকে তিনি আত্মহত্যা করেছেন বলে মন্তব্য করেছেন ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগের (ডিবি) প্রধান অতিরিক্ত কমিশনার হারুন অর রশিদ। তিনি বলেন, ফারদিনের মৃত্যুর রহস্য উদঘাটনে দীর্ঘদিন ধরে কাজ করছি। ফারদিন তার বান্ধবী বুশরাকে নামিয়ে দেওয়ার পর ঢাকা শহরের বিভিন্ন স্থান ঘুরে বেড়িয়েছেন। কেরানীগঞ্জ ব্রিজের পাড়ে গেছেন। এ সময় অনেকের সঙ্গে টেলিফোনেও কথা বলেছেন। কিন্তু কোনো ব্যক্তিকে আমরা তার সঙ্গে দেখতে পাইনি।

বিজ্ঞাপন

বুধবার (১৪ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় নিজ কার্যালয়ে সাংবাদিকদের এ সব কথা বলেন ডিবিপ্রধান হারুন অর রশিদ।

ডিবি প্রধান জানান, আত্মহত্যার আগে ফারদিন নারায়ণগঞ্জের চনপাড়ায় যাননি, সর্বশেষ তাকে যাত্রাবাড়ীতে দেখা গেছে।

হারুন আর রশিদ বলেন, ‘মূত্যুর আগে ফারদিন এলোমেলো ঘুরে বেড়িয়েছেন। ডিস্টার্ব মাইন্ড না থাকলে কেউ এরকম ঘুরে বেড়ায় না। রামপুরা থেকে কেরানীগঞ্জ, কেরানীগঞ্জ থেকে জনসন রোড, জনসন রোড থেকে গুলিস্তান, গুলিস্তান থেকে যাত্রাবাড়ী, এরপর তার নিজের বাসা পার হয়ে চলে গেলেন ব্রিজে (ডেমরা)।’

তদন্তের বিস্তারিত তুলে ধরে ডিবিপ্রধান বলেন, ‘আমরা এক লেগুনা চালককে গ্রেফতার করেছিলাম। জিজ্ঞাসাবাদে সে বলেছে কোনোভাবেই তাদের লেগুনা চনপাড়ার দিকে যায়নি। কারণ লেগুনা ২টা ৩৪ মিনিটের দিকে ফারদিনকে নিয়ে গেছে ব্রিজের কাছাকাছি। তবে চনপাড়া যায়নি এটি আমাদের তদন্তে পরিষ্কার। তাকে কেউ ধরে নিয়ে গেছে অথবা তিনি নিজ থেকেই চনপাড়া গেছে এরকম কোনো আলামত বা সিসিটিভি ফুটেজও আমরা পাইনি।’

হারুন বলেন, ‘তার রেজাল্ট গ্রাজুয়ালি খারাপ হচ্ছিল। ১ম সেমিস্টারে সিজিপিএ ৩ দশমিক ১৫, তারপর কমতে কমতে ২ দশমিক ৬৭ হয়। যেটি বাসার লোকজন বা আত্মীয়-স্বজন কেউ জানতো না। বিতর্ক প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণের উদ্দেশে স্পেন যাওয়ার জন্য ৬০ হাজার টাকা প্রয়োজন ছিল। যেটা জোগাড় করতে হিমশিম খাচ্ছিল। বন্ধুরা ৪০ হাজার টাকা দেয়। বুশরা জিজ্ঞাসাবাদে জানিয়েছে, হতাশায় ভুগছিল ফারদিন।’

ডিবিপ্রধান বলেন, ‘বিভিন্ন জিজ্ঞাসাবাদ, ফারদিনের মরদেহ উদ্ধারের পর চিকিৎসক যে কথাটি বলেছিলেন, সে রকম তথ্য আমরা পাইনি। তার মারপিট বা জামা কাপড় ছেঁড়া ছিল না। কোথাও ধস্তাধস্তি হয়েছিল কি না বা তার শরীরে ছেঁড়াফাটা মারধরের দাগও আমরা দেখতে পাইনি। সুরতহালে কোনো আঘাতের চিহ্নও পাইনি।’

বিজ্ঞাপন

হারুন বলেন, ‘ব্রিজের মাঝামাঝি পর্যন্ত গিয়েছিলেন ফারদিন। সেখানেই ছিল তার সর্বশেষ অবস্থান। এরপর একটি পানির শব্দ হয়েছে। সেখান থেকেই আমরা মনে করছি, এটি সুইসাইড।’

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের এক ছাত্র আত্মহত্যা করেছিল উল্লেখ করে হারুন বলেন, ‘আত্মহত্যার আগে সারারাত ঢাকা শহরের বিভিন্ন প্রান্তে একা একা ঘুরে বেড়িয়েছিলেন। আমাদের ভিকটিম (ফারদিনও) এ রকম একা একা ঘুরে বেড়িয়েছেন উদ্দেশ্যহীনভাবে। তার বন্ধু বুশরাকে রাত ৯টা ৪৫ মিনিটে নামানোর পর উদ্দেশ্যহীনভাবে ঘুরে বেড়িয়েছেন এবং কারও সঙ্গে দেখা করেননি। তার গত ১ বছরের সিডিআর পর্যালোচনা করেলে আগে কখনও এমন দেখা যায়নি।’

সারাবাংলা/জিএস/একে

ডিবি ফারদিন বুয়েটছাত্র হারুন অর রশিদ

বিজ্ঞাপন

আরো

সম্পর্কিত খবর