অ্যাম্বুলেন্সে শ্যামলী বাসের ধাক্কা, ১০ লাখ টাকা দেওয়ার নির্দেশ
১৫ ডিসেম্বর ২০২২ ০০:০০
ঢাকা: ঢাকা-বগুড়া মহাসড়কের ঘোগা বটতলা এলাকায় শ্যামলী এনআর পরিবহনের বাসের সঙ্গে অ্যাম্বুলেন্সের সংঘর্ষের ঘটনায় নিহতদের পরিবার ও আহতদের চিকিৎসার জন্য ১০ লাখ টাকা জরিমানা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। একদিনের মধ্যে ৫ লাখ টাকা দিতে বলা হয়েছে। বাকি ৫ লাখ টাকা আগামী ১৫ দিনের মধ্যে প্রদানের নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।
আদেশে শ্যামলী এনআর পরিবহনের ব্যবস্থাপনা পরিচালক শুভংকর ঘোষ রাকেশকে ব্যক্তিগত হাজিরা থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। আগামী জানুয়ারি মাসের দ্বিতীয় সপ্তাহে এই মামলায় পরবর্তী আদেশ দেবেন আদালত।
আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী মোহাম্মদ শিশির মনির। শ্যামলী এন আর পরিবহনের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী তাজুল ইসলাম ও তারিকুল ইসলাম। বিআরটিএর পক্ষে ছিলেন আইনজীবী রাফিউল ইসলাম।
বুধবার (১৪ ডিসেম্বর) বিচারপতি কে এম কামরুল কাদের ও বিচারপতি মোহাম্মদ আলীর হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
এর আগে, আয়নালের পরিবারের সদস্য ও আহতদের জন্য ১ কোটি ৭১ লাখ টাকা ক্ষতিপূরণ কেন দেওয়া হবে না তা জানতে চেয়ে গত ৭ আগস্ট রুল জারি করেছিলেন হাইকোর্ট।
আইনজীবী শিশির মনির জানান, গত ১৫ এপ্রিল ঢাকার রূপনগরের সবজি বিক্রেতা আয়নাল হোসেন তার স্ত্রী ফিরোজা বেগমের মরদেহ অ্যাম্বুলেন্স করে নিয়ে গ্রামের বাড়ি ফিরছিলেন। বগুড়ার শেরপুরে ঢাকা-বগুড়া মহাসড়কের ঘোগা সেতুর পাশে ঢাকাগামী শ্যামলী পরিবহনের সঙ্গে অ্যাম্বুলেন্সের মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়।
এতে ঘটনাস্থলে আয়নাল হোসেনের মৃত্যু হয়। পরে অ্যাম্বুলেন্সের চালকেরও মৃত্যু হয়। নিহত অ্যাম্বুলেন্স চালকের নাম দ্বীন ইসলাম (৪৫)। তার বাড়ি পিরোজপুর জেলার কাউখালী থানায়। এ ঘটনায় আয়নাল হোসেনের তিন ছেলে ফরিদ হোসেন (২০), ফরহাদ হোসেন (১৮) ও ফিরোজ হোসেন (২৯) আহত হয়েছেন।
ওই ঘটনায় ক্ষতিপূরণ চেয়ে আইনি নোটিশ দেওয়া হয়েছিল। আর শ্যামলী-এনআর ট্রাভেলসের সঙ্গে আলোচনা হলেও তারা কোনো আগ্রহ দেখায়নি। পরে ক্ষতিপূরণ চেয়ে হাইকোর্টে রিট দায়ের করা হয়।
সারাবাংলা/কেআইএফ/পিটিএম