এমসি কলেজে তরুণীকে ধর্ষণ, মামলা ট্রাইব্যুনালে পাঠানোর নির্দেশ
১৫ ডিসেম্বর ২০২২ ১৩:১০
ঢাকা: সিলেটের এমসি কলেজ ছাত্রাবাসে এক তরুণীকে দলবেঁধে ধর্ষণের মামলায় দুই অভিযোগের বিচার ৩০ দিনের মধ্যে দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে স্থানান্তরের নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। বর্তমানে এই মামলার বিচারকাজ সিলেটের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে চলমান রয়েছে।
বৃহস্পতিবার (১৫ ডিসেম্বর) এ বিষয়ে জারি রুল যথাযথ ঘোষণা করে বিচারপতি ফারাহ মাহবুব ও বিচারপতি আহমেদ সোহেলের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রায় দেন।
আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন সাবরিনা জেরিন ও এম. আব্দুল কাইয়ুম। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল আবুল কালাম খান দাউদ।
এর আগে গত ১৬ আগস্ট সিলেটের এমসি কলেজ ছাত্রাবাসে এক তরুণীকে দলবেঁধে ধর্ষণের মামলার বিচার দ্রুতবিচার ট্রাইব্যুনালে করার নির্দেশনা কেন দেওয়া হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেন হাইকোর্ট।
তারও আগে গত ১ আগস্ট সিলেটের এমসি কলেজ ছাত্রাবাসে এক তরুণীকে দলবেঁধে ধর্ষণের মামলায় দুই অভিযোগের বিচার দ্রুতবিচার ট্রাইব্যুনালে করার নির্দেশনা চেয়ে রিট করা হয়। বর্তমানে এই মামলা সিলেটের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে বিচারাধীন রয়েছে।
২০২০ সালের ২৫ সেপ্টেম্বর (শুক্রবার) বিকেলে দক্ষিণ সুরমার নবদম্পতি প্রাইভেটকার যোগে এমসি কলেজে বেড়াতে যান।
বিকেলে এমসি কলেজের ছাত্রলীগের ছয়জন নেতাকর্মী স্বামী-স্ত্রীকে ধরে ছাত্রাবাসে নিয়ে প্রথমে মারধর করেন। পরে স্বামীকে আটকে রেখে স্ত্রীকে সংঘবদ্ধভাবে ধর্ষণ করেন। পরে তারা স্বামীকে বেঁধে মারধর করে গৃহবধূকে ধর্ষণ করেন। খবর পেয়ে পুলিশ গিয়ে তাদের উদ্ধার করে।
এ ঘটনায় ভুক্তভোগী গৃহবধূর স্বামী বাদী হয়ে ওইদিন (২৫ সেপ্টেম্বর) রাতে নগরের শাহপরান থানায় মামলা করেন। মামলায় ছয়জনকে আসামি করা হয়। সেই সঙ্গে অজ্ঞাতনামা আরও দুই-তিনজনকে আসামি করা হয়।
মামলায় আসামিরা হলেন- সাইফুর রহমান, শাহ মাহবুবুর রহমান ওরফে রনি, তারেকুল ইসলাম ওরফে তারেক, অর্জুন লস্কর, আইনুদ্দিন ওরফে আইনুল, মিসবাউল ইসলাম ওরফে রাজন, রবিউল ইসলাম ও মাহফুজুর রহমান ওরফে মাসুম।
এ মামলায় আটজনকে অভিযুক্ত করে নারী শিশু নির্যাতন দমন আইনে একই বছরের ৩ ডিসেম্বর আদালতে অভিযোগপত্র দেয় পুলিশ।
গত বছরের ১৭ জনুয়ারি এ মামলায় অভিযোগ গঠনের আদেশ দেন সিলেটের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক মো. মোহিতুল হক চৌধুরী।
এ ছাড়া এ ঘটনায় চাঁদাবাজির অভিযোগে দায়রা আদালতে পৃথক চার্জশিট দেওয়া হয়। পরে বাদীপক্ষ হাইকোর্টে আসলে দুটি মামলা এক আদালতে চলবে বলে আদেশ দেন হাইকোর্ট। এরপর চলতি বছরের ১১ মে ছিনতাই ও চাঁদাবাজির ঘটনায় অভিযোগ গঠন করে আদেশ দেন আদালত।
সারাবাংলা/কেআইএফ/ইআ