বিএনপির আন্দোলনে জামায়াতের অংশ নিতে মানা নেই— ইঙ্গিত মোশাররফের
১৬ ডিসেম্বর ২০২২ ১২:১২
ঢাকা: বিএনপির ১০ দফা দাবির সঙ্গে ঐক্যমত পোষণ করে জামায়াতে ইসলামীর নেতাকর্মীরা যদি যুগপৎ আন্দোলন করে তাদের নিষেধ করা যাবে না বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন।
শুক্রবার (১৬ ডিসেম্বর) মহান বিজয় দিবসে সাভারে জাতীয় স্মৃতিসৌধে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ কথা বলেন।
স্বাধীনতাবিরোধী জামাতের সঙ্গে বিএনপি আর কতদিন থাকবে সাংবাদিকদের এমন এক প্রশ্নের উত্তরে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেন, ‘আমরা যুগপৎ আন্দোলনের কথা বলেছি। এরসঙ্গে কে আসবে, কে আসবে না, এ ব্যাপারে তো আমরা কথা বলতে পারি না। আমাদের কোনো বক্তব্য থাকে না। আমরা যুগপৎ আন্দোলনের কথা বলেছি। যারা এই সরকারের বিদায় চায়, এ দেশে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করতে চায়, যেকোনো ব্যক্তি, গোষ্ঠী দল এই ইস্যুতে একমত হয়ে যারা নিজ নিজ অবস্থান থেকে আন্দোলন করে তাদের তো আমরা নিষেধ করতে পারবো না।’
খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেন, ‘স্বাধীনতার ৫১ বছর আমরা পারি দিয়েছি। অত্যন্ত দুঃখের বিষয় যে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ছিলো, মুক্তিযোদ্ধাদের স্বপ্ন ছিলো দেশে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা হবে, দেশে অর্থনৈতিক ও সামাজিক সাম্য প্রতিষ্ঠা এবং মানবিক মর্যাদা ও মানবিক অধিকার এবং এ দেশের মানুষের মধ্যে শান্তি প্রতিষ্ঠা করবে, সেই স্বপ্ন নিয়ে এই মুক্তিযুদ্ধ হয়েছিল। দুর্ভাগ্য আমাদের, আজ ৫১ বছর পরেও আমাদের বলতে হয়, বাংলাদেশে আজকে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা সম্পূর্ণ ভূলুণ্ঠিত। বাংলাদেশে আজ গণতন্ত্র নেই।’
তিনি আরও বলেন, ‘এই সরকার ক্ষমতায় টিকে থাকার জন্যে গায়ের জোরে আগেই ক্ষমতায় এসেছে দিনের ভোট রাতে করে। আবার এই ধরণের একটি নির্বাচন করার জন্যে সারা বাংলাদেশে বিএনপির নেতাকর্মীদের নির্যাতন, নিপীড়ন করছে। আমাদের মহাসচিব আজ কারাগারে। আব্বাস সাহেব কারাগারে… আমাদের হাজারের উপরে এখন কর্মী কারাগারে। সরকার যে দমননীতি, তাদের চরিত্রের যে নগ্ন প্রকাশ এর মাধ্যমে ঘটেছে।’
সারাদেশের মানুষ বিক্ষুব্ধ উল্লেখ করে বিএনপির এই নেতা বলেন, ‘শুধু আমাদের দেশের নয়, আন্তর্জাতিক অঙ্গনও জনগণের সরকার অর্থাৎ একটি সুষ্ঠু নির্বাচন চায়। বিজয় দিবসে আমরা দেশনেত্রী খালেদা জিয়ার মুক্তি ও গণতন্ত্রে পুনরুদ্ধারের জন্য যে ১০ দফা দিয়েছি দেশপ্রেমিক ও সব জনগণকে ঐক্যবদ্ধ থাকার জন্যে আহ্বান জানাই। আগামী দিনে আমরা যাতে শান্তি ও স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলতে পারি, জনগণের সরকার যাতে প্রতিষ্ঠা হয়।’
এর আগে, শুক্রবার (১৬ ডিসেম্বর) সকালে মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জাতীয় স্মৃতিসৌধে ফুল দিয়ে শহীদদের শ্রদ্ধা জানান। রাষ্ট্রপতি এবং প্রধানমন্ত্রী শ্রদ্ধা জানানোর পর জাতীয় স্মৃতিসৌধ এখন সর্ব সাধারণের জন্যে উন্মুক্ত করে দেওয়া হয়। সমাজের নানা শ্রেণি-পেশার মানুষ ফুল দিয়ে শহীদদের শ্রদ্ধা জানাচ্ছেন।
সারাবাংলা/ইএইচটি/এমও