Friday 22 Nov 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

প্লাস্টিক দূষণ নিয়ে সচেতনতা তৈরিতে ইউনিলিভার ও ইপসার ক্যাম্পেইন

সারাবাংলা ডেস্ক
১৬ ডিসেম্বর ২০২২ ১৩:৪৫

অপরিকল্পিত নগরায়ণ ও অন্যান্য মানবসৃষ্ট দূষণের কারণে বাংলাদেশের নদ-নদীগুলো ধীরে ধীরে প্রাণশক্তি হারাচ্ছে। বন্দর নগরী চট্টগ্রামের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ কর্ণফুলী নদীও বর্তমানে মারাত্মক ঝুঁকিতে রয়েছে। এক সময়ের স্রোতস্বিনী এই কর্ণফুলী নদীকে বাঁচাতে এবং বিশেষ করে তরুণদের মধ্যে প্লাস্টিক দূষণ সম্পর্কে সচেতনতা তৈরি করতে, ইউনিলিভার বাংলাদেশ (ইউবিএল) এবং ইয়ং পাওয়ার ইন সোশ্যাল অ্যাকশন (ইপসা) ‘নদীতে প্লাস্টিক না ফেলি’ থিমে একটি ক্যাম্পেইনের আয়োজন করেছে।

বিজ্ঞাপন

চট্টগ্রামে প্লাস্টিক বর্জ্য সংগ্রহ ও প্লাস্টিক দূষণ সম্পর্কে সচেতনতা বৃদ্ধি সংক্রান্ত ইউবিএল ও ইপসা আয়োজিত এই ক্যাম্পেইনে সম্প্রতি প্রায় ১০০ তরুণ স্বেচ্ছাসেবক ও ইউনিলিভারের কর্মীরা অংশ নিয়েছেন।

সম্প্রতি পালিত হওয়া ‘আন্তর্জাতিক স্বেচ্ছাসেবক দিবস-২০২২’ উদযাপনের অংশ হিসেবে এবং প্রকৃতি থেকে প্লাস্টিক বর্জ্য অপসারণে স্বেচ্ছাসেবকদের প্রচেষ্টাকে উৎসাহিত করতে এই সময়োপযোগী ও প্রয়োজনীয় কর্মসূচি নেওয়া হয়েছে। এদিন ৩৫ নং ওয়ার্ডয়ের কাউন্সিলর হাজী নুরুল হক, ইপসার চিফ এক্সিকিউটিভ মো. আরিফুর রহমান এবং ইউনিলিভার বাংলাদেশের এমপ্লয়ি রিলেশন্স লিড সানাউল্লাহ মল্লিকের উপস্থিতিতে নগরীর কর্ণফুলী ব্রিজে প্লাস্টিক পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রমটি শুরু হয় এবং স্বেচ্ছাসেবকরা নদী ও পরিবেশে পলিথিন এবং অন্য প্লাস্টিক ফেলার ক্ষতিকর দিক সম্পর্কে স্থানীয় জনসাধারণকে অবহিত করেন।

কর্ণফুলী নদীকে ‘বাংলাদেশের অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডের লাইফলাইন’ হিসেবে বিবেচনা করা হলেও এটি এখন অনিয়ন্ত্রিত দূষণের সবচেয়ে বড় শিকার। বাংলাদেশ প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) এক গবেষণায় দেখা গেছে, কর্ণফুলী নদীর দুই থেকে সাত মিটার তলদেশ পলিথিন ও প্লাস্টিকে ঢেকে গেছে, আর তাই নদীটি এখন আশঙ্কাজনক অবস্থায় রয়েছে। এই পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে, ইউবিএল ও ইপসা ‘প্লাস্টিকমুক্ত কর্ণফুলী নদী’ ক্যাম্পেইন চালু করেছে। এই উদ্যোগের মাধ্যমে নগরীর কয়েক হাজার বাসিন্দা, স্বেচ্ছাসেবী এবং দর্শণার্থী সঠিক প্লাস্টিক বর্জ্য ব্যবস্থাপনা সম্পর্কে সরাসরি জানতে পারেন এবং দূষণমুক্ত কর্ণফুলী সম্পর্কে অবহিত হয়েছেন।

বিজ্ঞাপন

ইউনিলিভার বাংলাদেশ, ইপসা’র সঙ্গে অংশীদারিত্ত্বের ভিত্তিতে একটি প্লাস্টিক বর্জ্য ব্যবস্থাপনা প্রকল্প চালু করেছে এবং বন্দর নগরীর ৪১টি ওয়ার্ডে কাজ করছে ও শহর থেকে ৩ হাজার ২০০ টন ব্যবহৃত প্লাস্টিক বর্জ্য সংগ্রহ করেছে।

এ উপলক্ষে ইউনিলিভার বাংলাদেশের করপোরেট অ্যাফেয়ার্স পার্টনারশিপ অ্যান্ড কমিউনিকেশনস ডিরেক্টর শামিমা আক্তার বলেন, ‘বাংলাদেশে প্লাস্টিক বর্জ্যের পরিমাণ দ্রুতই বেড়ে চলেছে। ইউনিলিভার বাংলাদেশ ও ইপসা ২০২২ সালের শুরু থেকে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন এর ৪১টি ওয়ার্ডে প্লাস্টিক বর্জ্য সংগ্রহ কার্যক্রম শুরু করে। প্লাস্টিক বর্জ্য বিষয়ে সচেতনতা তৈরি সমস্যার টেকসই সমাধানে আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ; তাই অংশীদার সংগঠন ইপসাকে সঙ্গে নিয়ে আমরা তারুণ্যনির্ভর এই সচেতনতামূলক কর্মসূচি চালু করেছি। আগামী বছর আমরা আমাদের এই ক্যাম্পেইন চট্টগ্রামজুড়ে বাস্তবায়ন করতে চাই।’

ইপসার চিফ এক্সিকিউটিভ মো. আরিফুর রহমান বলেন, “যেখানে-সেখানে প্লাস্টিক বর্জ্য ফেলাসহ বেশ কিছু দূষণের কারণে আমাদের চট্টগ্রাম শহর তার সৌন্দর্য হারিয়ে ফেলেছে। প্লাস্টিকের কারণে আমাদের চট্টগ্রাম শহরের মূল ‘লাইফলাইন’ কর্ণফুলী নদীর তলদেশ ভরাট হয়ে যাচ্ছে, পানি নষ্ট হয়ে যাচ্ছে এবং সামগ্রিকভাবে আমাদের পরিবেশ হুমকির মুখে পড়ছে। সবার সহযোগিতায় আমরা চট্টগ্রাম শহর ও কর্ণফুলী নদীকে প্লাস্টিকমুক্ত করতে সক্ষম হব।”

সারাবাংলা/এমও

ইউনিলিভার ইউনিলিভার ও ইপসা ইপসা ক্যাম্পেইন প্লাস্টিক দূষণ

বিজ্ঞাপন

আরো

সম্পর্কিত খবর