Sunday 24 Nov 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

‘বিদ্যুৎ উৎপাদনে যে খরচ, সেটাই দিতে হবে’

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট
১৮ ডিসেম্বর ২০২২ ১৭:০৬

ঢাকা: আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, উৎপাদনের চেয়ে কম খরচে আমরা বিদ্যুৎ দিই। কিন্তু এখন সেটা দেওয়া সম্ভব না। বিদ্যুৎ উৎপাদনে যে খরচ হয়, সেটাই দিতে হবে। কারণ গ্যাসের দাম বেড়ে গেছে। বিদেশ থেকে আনতে হয়। বিদ্যুতের দাম ও পরিবহন খরচ কিন্তু দিতে হবে। নইলে আমরা বিদ্যুৎ দিতে পারব না। এতদিন ভতুর্কি দিয়েই দিচ্ছিলাম। কারণ, টাকা ছিল। এখন বিশ্বব্যাপী মন্দা, সেটা মাথায় রেখেই আমাদের সাশ্রয়ী হতে হবে।

বিজ্ঞাপন

রোববার (১৮ ডিসেম্বর) দুপুরে রাজধানীর খামারবাড়ি কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ আয়োজিত মহান বিজয় দিবসের আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন। মহান বিজয় দিবস পালনে এবার তিন দিনব্যাপী বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করছে ক্ষমতাসীন দলটি।

শেখ হাসিনা বলেন, ‘দীর্ঘ সময় সরকারে থাকার সুযোগে অন্তত বাংলাদেশের মানুষের আর্থসামাজিক অবস্থার পরিবর্তন আনতে পেরেছি। আমাদের নারী-পুরুষ সবাই দেশের অর্থনীতিতে শামিল হয়েছে। দেশের অর্থনীতি এগিয়ে যাচ্ছে। দুর্ভাগ্য আমাদের, যে গতিতে এগিয়ে যাচ্ছিলাম করোনাভাইরাস সেটাতে বাধা সৃষ্টি করেছে। বিশ্বব্যাপী অর্থনৈতিক মন্দা সৃষ্টি হয়েছে। তার ধাক্কাটা আমাদের ওপরেও পড়েছে।’

করোনা মহামারির ধাক্কার পর রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ, স্যাংশন, পাল্টা-স্যাংশনের কারণে বৈশ্বিক অর্থনৈতিক মন্দায় দেশের দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধিসহ নানা সংকটের কথাও তুলে ধরেন প্রধানমন্ত্রী। এ লক্ষ্যে তিনি তার সরকারের সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচি আওতায় মধ্যবিত্ত-নিম্নবিত্তদের কষ্ট লাঘবে নগদ অর্থ প্রণোদনাসহ বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণের কথা তুলে ধরেন।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, ‘যেহেতু সারাবিশ্বে উৎপাদন কমে গেছে। ইউক্রেন-রাশিয়ার যুদ্ধ এবং স্যাংশনের কারণে প্রত্যেক দেশে জিনিসের দাম বেড়ে গেছে।’ তাই কাউকে পরনির্ভরশীল না থেকে যার যতটুকু জায়গা আছে সেটুকুতে উৎপাদনের আহ্বান জানান।

প্রধানমন্ত্রী তার সরকারের নির্বাচনি প্রতিশ্রুতির প্রসঙ্গ তুলে ধরে বলেন, ‘সব ঘরে বিদ্যুৎ দেবো, আলো দেবো। কথা তো রেখেছি। আজ আমরা ডিজিটাল বাংলাদেশ করেছি। কিন্তু সারা বিশ্বব্যাপী যখন তেলের মূল্য, গ্যাসের মূল্য বৃদ্ধি পেয়ে গেল; খুব স্বাভাবিকভাবে আমাদেরও সাশ্রয়ী হতে হবে।’

বিজ্ঞাপন

তিনি বলেন, ‘কিছুদিন আমাদের দেশেও লোডশেডিং দিয়েও আমরা সাশ্রয়ের চেষ্টা করেছি। আল্লাহর রহমতে এখন আর অসুবিধা নাই। ইতোমধ্যে পায়রা তাপ বিদ্যুৎকেন্দ্র থেকে ঢাকা পর্যন্ত ৮০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ গত সপ্তাহ থেকে আসা শুরু হয়েছে। শিগগিরই আরও কয়েকটি পাওয়ার প্ল্যান্ট উৎপাদনে যাবে।’

বিদ্যুৎ ব্যবহার খুব সাবধানে করলে বিলটা কমানো যায় উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘একটু সাশ্রয়ী হলেই পানি, গ্যাস, তেল ও বিদ্যুতের বিল কমানো যাবে। আমি আশা করি দেশের মানুষ এটা করবে। নিজেদের স্বার্থে করবে।’

তিনি বলেন, ‘কম খরচ করেন। আর এখন তো ডিজিটাল সিস্টেম। অনলাইনে আপনারা সব করতে পারেন। এটা তো রাজধানীতে না। একেবারে গ্রাম অবধি নিয়ে গেছি। ইন্টারনেট, ব্রডব্যান্ড, বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট-১ আমরা উৎক্ষেপণ করেছি।’

শেখ হাসিনা আরও বলেন, ‘সবাইকে আবারও অনুরোধ করব, সাশ্রয়ী হতে হবে। নিজের সঞ্চয় রাখতে হবে। এক ইঞ্চি জমিও যেন কেউ না ফেলে রাখেন। ছাদে ছাদ বাগান করেন বা যেখানে যা পারেন উৎপাদন করেন। নিজেরটা নিজে খান, কারও ওপর যেন নির্ভরশীল না হতে হয়।’

আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় বক্তব্য দেন দলের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য আমির হোসেন আমু, সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের, সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন, মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া বীর বিক্রম, শাজাহান খান, সিমিন হোসেন রিমি, তথ্যমন্ত্রী হাছান মাহমুদ, মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক সম্পাদক মৃণাল কান্তি দাস, ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগ উত্তরের সভাপতি শেখ বজলুর রহমান, দক্ষিণের সাধারণ সম্পাদক হুমায়ুন কবির। যৌথভাবে সভা পরিচালনা করেন দলের প্রচার ও প্রকাশনা ও সম্পাদক আবদুস সোবহান গোলাপ এবং উপ-প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক আমিনুল ইসলাম আমিন।

সারাবাংলা/এনআর/ইআ/পিটিএম

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা

বিজ্ঞাপন

বরবাদের আইটেম গানে নুসরাত
২৪ নভেম্বর ২০২৪ ১৯:২৬

কলকাতায় অভিষেক হচ্ছে অপূর্ব’র
২৪ নভেম্বর ২০২৪ ১৮:২৮

আরো

সম্পর্কিত খবর