২০ মাস পর জামিনে মুক্ত হেফাজত নেতা ইসলামাবাদী
১৮ ডিসেম্বর ২০২২ ২০:৪১
চট্টগ্রাম ব্যুরো: ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বাংলাদেশ সফর প্রতিহত করার ডাক দিয়ে সংঘাতে জড়িয়ে গ্রেফতার হওয়া হেফাজতে ইসলামের নেতা আজিজুল হক ইসলামাবাদী কারাগার থেকে মুক্তি পেয়েছেন। প্রায় ২০ মাস জেলে থাকার পর ১৩টি মামলায় জামিন পেয়ে তিনি মুক্ত হয়েছে।
রোববার (১৮ ডিসেম্বর) দুপুরে আজিজুল হক ইসলামাবাদীকে মুক্তি দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় কারাগারের জেলার এমরান আহমেদ।
আজিজুল হক ইসলামাবাদী প্রয়াত আহমদ শফী ও জুনাইদ বাবুনগরীর নেতৃত্বাধীন হেফাজতে ইসলামের কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক ছিলেন। হেফাজতের নেতাকর্মীদের যে অংশটি সরকার বিরোধী ‘উগ্র’ তৎপরতায় যুক্ত ছিলেন বলে অভিযোগ আছে, তাদের শীর্ষ নেতাদের একজন ইসলামাবাদী।
চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় কারাগারের জেলার এমরান আহমেদ সারাবাংলাকে বলেন, ‘ইসলামাবাদীর বিরুদ্ধে ১৩টি মামলা ছিল। প্রত্যেকটি মামলায় তিনি জামিন পেয়েছেন। সর্বশেষ মামলায় জামিননামা কারাগারে পৌঁছার পর যাচাইবাছাই শেষে তাকে মুক্তি দেওয়া হয়েছে।’
স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীর দিনে ২০২১ সালের ২৬ মার্চ ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বাংলাদেশ সফরকে কেন্দ্র করে চট্টগ্রামের হাটহাজারী থানায় ভাঙচুর, স্থানীয় ভূমি অফিসে অগ্নিসংযোগসহ রক্তক্ষয়ী সংঘাতে লিপ্ত হয় হেফাজতের নেতাকর্মীরা। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নিতে পুলিশ গুলি ছুঁড়লে হেফাজতে ইসলামের চার কর্মী নিহত হন।
এর জেরে তিনদিন ধরে হাটহাজারী থানার অদূরে হেফাজতের মূল ঘাঁটি হিসেবে পরিচিত আল জামিয়াতুল আহলিয়া দারুল উলুম মইনুল ইসলাম হাটহাজারী মাদরাসার সামনে চট্টগ্রাম-খাগড়াছড়ি সড়কে ইটের দেওয়াল তুলে অবরোধ তৈরি করে রাখে সংগঠনটির নেতাকর্মীরা। একই ঘটনার জেরে চট্টগ্রামের পটিয়া, ব্রাহ্মণবাড়িয়া, ঢাকাসহ দেশের বিভিন্নস্থানে রক্তক্ষয়ী সংঘাতের ঘটনা ঘটে।
হাটহাজারীর ঘটনায় পুলিশের পক্ষ থেকে মোট ১০টি মামলা দায়ের করা হয়। ওই বছরের ১১ এপ্রিল চট্টগ্রাম নগরীর বালুচরা এলাকা থেকে আজিজুল হক ইসলামাবাদীকে আটক করে পুলিশ। এরপর হাটহাজারী থানার ১০টি এবং ২০১৩ সালের ৫ মে ঢাকার শাপলা চত্বরে হেফাজতের সঙ্গে রক্তক্ষয়ী সংঘাত ও নরেন্দ্র মোদির সফরের বিরোধিতা করে সংঘর্ষের ঘটনায় দায়ের হওয়া তিন মামলায় তাকে গ্রেফতার দেখানো হয়।
ওই সময় পুলিশের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়, ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির আগমনের বিরোধিতার নামে রক্তক্ষয়ী সংঘাতের মাধ্যমে রাষ্ট্রক্ষমতা দখলের চেষ্টা করেছিল হেফাজতে ইসলাম, যাতে ইন্ধন দিয়েছিল বিএনপি ও জামায়াত।
সারাবাংলা/আরডি/এনএস