স্পিকারের সঙ্গে ওআইসি-পিইউআইসি প্রতিনিধিদলের সাক্ষাৎ
১৯ ডিসেম্বর ২০২২ ১৯:১৫
ঢাকা: বাংলাদেশ জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সঙ্গে রেপর্টেয়ার অব দ্য কমিটি প্রফেসর ড. ওরহান আটালে’র নেতৃত্বে ‘সাব-কমিটি অন মুসলিম কমিউনিটিজ অ্যান্ড মাইনরিটিজ অব দ্য পার্লামেন্টারি ইউনিয়ন অব দ্য ওআইসি মেম্বার স্টেটস (পিইউআইসি)’র প্রতিনিধিদল সৌজন্য সাক্ষাৎ করেছেন।
সোমবার (১৯ ডিসেম্বর) স্পিকারের সংসদ ভবনস্থ কার্যালয়ে এই সাক্ষাৎ অনুষ্ঠিত হয়। এ সময় ইরানের সংসদ সদস্য আবুল ফজল আমই, উগান্ডার সংসদ সদস্য বাসির লুবেগা সেম্পা, পিইউআইসি সেক্রেটারি জেনারেল মোহাম্মদ খৌরাইচি নিয়াজ, পিইউআইসি ডেপুটি সেক্রেটারি জেনারেল আলী আজগার মোহাম্মাদি সিজানি, এক্সপার্ট অব ইন্টারন্যাশনাল অ্যাফেয়ার্স আমির আব্বাস ঘাসেমপুর, প্রতিনিধিদলের সভাপতি প্রফেসর ড. ওরহান আটালে, লেজিসলেটিভ এক্সপার্ট রেজাক তাভলি, সেক্রেটারি অব ডেলিগেশন মুসতাফা ফাতিহ বায়দার ও ডিরেক্টর অব পিইউআইসি জাহিদ হাসান কুরেশি প্রতিনিধিদলের সদস্য হিসেবে উপস্থিত ছিলেন।
স্পিকার ড. বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দেওয়ার মাধ্যমে যে মানবিকতা ও বদান্যতা দেখিয়েছেন তা বিশ্ববাসীর কাছে একটি উদাহরণ। বিশ্বদরবারে সব মহলে প্রশংসিত হয়ে তিনি ‘মাদার অব হিউম্যানিটি’ হিসেবে খ্যাতি লাভ করেন।’
ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেন, ‘বাংলাদেশ আয়তনে ক্ষুদ্র ও ঘনবসতিপূর্ণ দেশ। এরপরেও রোহিঙ্গা শরণার্থীদের কক্সবাজারে আশ্রয় দেওয়ার পর বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংস্থা ও বাংলাদেশ সরকারের নিজস্ব সহায়তায় তাদের খাদ্য, চিকিৎসা, স্বাস্থ্য নিরাপত্তাসহ সার্বিক ব্যবস্থাপনায় সরকার নিবিড়ভাবে সহযোগিতা করেছে। রোহিঙ্গাদের নিজস্ব জন্মভূমিতে ফিরে যাওয়ার অধিকার রক্ষার্থে ও বাংলাদেশের পরিবেশগত দিক বিবেচনায় তাদের মিয়ানশান্তিপূর্ণ প্রত্যাবাসন জরুরি।’
রোহিঙ্গা শরণার্থীদের আশ্রয় দেওয়ায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভূয়সী প্রশংসা করে বাংলাদেশ সফররত ওআইসি পিইউআইসি’র প্রতিনিধিদলের সভাপতি ড. ওরহান আটালে বলেন, ‘সমগ্র বিশ্বে মুসলিম মাইনরিটি ও মুসলিম ধর্মাবলম্বী শরণার্থীদের মানবাধিকার সংরক্ষণে ওআইসি পিইউআইসি কাজ করছে।’ কক্সবাজারে বসবাসরত রোহিঙ্গা শরণার্থী শিবির পরিদর্শন করে প্রতিনিধিদল প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন বলে আশ্বাস প্রদান করেন তিনি।
ইরানের সংসদ সদস্য আবুলফ জল আমই বলেন, ‘রোহিঙ্গা শরণার্থীদের আশ্রয় প্রদানের মাধ্যমে বাংলাদেশ যে উদারতার পরিচয় দিয়েছে, তা দৃষ্টান্তমূলক। রোহিঙ্গা শরণার্থীদের নিজ জন্মভূমিতে ফিরে যাওয়া তাদের মানবাধিকার।’
উগান্ডার সংসদ সদস্য বাসির লুবেগা সেম্পা বলেন, ‘বাংলাদেশের আয়তন ও পরিবেশগত দিক বিবেচনায় রোহিঙ্গা শরণার্থীদের আশ্রয় প্রদান একটি অনুসরণীয় মানবিক ঘটনা। আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ে এই ঘটনা প্রশংসিত এবং আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় এর সুষ্ঠু সমাধান চায়।’
কক্সবাজারে রোহিঙ্গা শরণার্থীদের সাথে মতবিনিময়ের মাধ্যমে রিপোর্ট তৈরি করে তা আন্তর্জাতিক পর্যায়ে উপস্থাপন ও এর আশু সমাধানে প্রতিনিধিদলকে ঐকান্তিক প্রচেষ্টা চালানোর আহ্বান জানান স্পিকার। এ সময় বাংলাদেশ জাতীয় সংসদ সচিবালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
সারাবাংলা/এএইচএইচ/পিটিএম