যে কোনো ষড়যন্ত্র রুখতে ১৪ দল প্রস্তুত: আমু
১৯ ডিসেম্বর ২০২২ ২০:১৮
ঢাকা: আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য ও কেন্দ্রীয় ১৪ দলের সমন্বয়ক ও মুখপাত্র আমির হোসেন আমু বলেছেন, ‘বিএনপি জামায়াতের কোনো ষড়যন্ত্রই সফল হবে না। যে কোনো ষড়যন্ত্র রুখতে ১৪ দল প্রস্তুত।’ ঐক্যবদ্ধভাবে রাজপথে অপশক্তি মোকাবিলার ঘোষণা দেন তিনি।
সোমবার (১৯ ডিসেম্বর) বিকেলে রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে শিখা চিরন্তন এর সামনে মহান বিজয় দিবস ও শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস উপলক্ষে ১৪ দল আয়োজিত আলোচনা সভায় সভাপতির বক্তব্যে তিনি কথা বলেন ।
আমির হোসেন আমু বলেন, ‘মুক্তিযুদ্ধের চেতনা লালন করে না বলেই বিজয়ের মাসে বিশৃঙ্খলার চেষ্টা করে বিএনপি। কিন্তু সফল হয়নি।’
ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র ফজলে নুর তাপস বলেন, ‘১৪ দলের নেতৃত্বে মুক্তিযুদ্ধে সব শক্তি আজ ঐক্যবদ্ধ। শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশ আজ এগিয়ে যাচ্ছে। দেশের এই অগ্রগতির পথ যারা রুখতে চাইবে বাংলার মাটি থেকে তাদের চিরতরে নির্মূল করবো। এটিই হোক আজকের শপথ।’
ঢাকা মহানগর ১৪ দলের প্রধান সমন্বয়ক ও আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া বীর বিক্রম বলেন দেশকে এগিয়ে নিতে , ‘বারবার দরকার শেখ হাসিনার সরকার। স্থিতিশীল সরকারকে অস্থিতিশীল করতে ষড়যন্ত্র করার চেষ্টা করেছিল বিএনপি-জামাত। কিন্তু সফল হতে পারেনি। ষড়যন্ত্র করলে মোকাবিলা রাজপথেই হবে।’
জাতীয় পাটি-জেপির সাধারণ সম্পাদক শেখ শহিদুল ইসলাম বলেন, ‘বিএনপি প্রথমে দিলো একদফা। দশ ডিসেম্বর দিল ১০ দফা। সমানে হয়ত দিবে ২৭ দফা। কিন্তু এসব দফায় কোনো কাজ হবে না। বিএনপি বলছে নির্বাচন হতে দেবে না। নির্বাচন না হলে যে কী হয়? ১/১১ এ সেটা কি তারা দেখেনি। এত তাড়াতাড়ি ভুলে গেল! নির্বাচন না হলে কেউ শান্তিতে থাকতে পারবে না।’
আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য কামরুল ইসলাম এমপি বলেন, ‘বিএনপি জামায়াত অপশক্তি ষড়যন্ত্র করে দেশকে পেছনের দিকে নিতে চায়। তারা সংবিধানই মানে না। দেশের উন্নয়ন অস্তিত্বে আঘাত হানতে চায়। মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের সকল শক্তিতে ইস্পাত কঠিন ঐক্য গড়ে তুলতে হবে। তারা গণতন্ত্রকে হত্যা করতে চায়।’
বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পাটির সাধারণ সম্পাদক ফজলে হাসান বাদশা বলেন, ‘মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের শক্তি ঐক্যবদ্ধ হলে জামায়াত-বিএনপি বাংলাদেশের মাটি থেকে নিশ্চিহ্ন হয়ে যাবে।’
জাসদ সাধারণ সম্পাদক শিরিন আক্তার বলেন, ‘একাত্তরের পরাজিত শক্তির সঙ্গে কোনো আপস নেই। তাদের যে কোনো ষড়যন্ত্র রুখে দিতে হবে।’
সাম্যবাদী দলের সাধারণ সম্পাদক দিলীপ বড়ুয়া বলেন, ‘দেশ আজ দুই ভাগে বিভক্ত। একদিকে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে মুক্তিযুদ্ধে পক্ষের শক্তি। আর অন্যদিকে স্বাধীনতাবিরোধী শক্তির নেতৃত্ব দিচ্ছে বিএনপি। দেশের উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখতে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে সব প্রগতিশীল শক্তিকে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে।’
আওয়ামী লীগের মুক্তিযোদ্ধা বিষয়ক সম্পাদক অ্যাডভোকেট মৃণাল কান্তি দাস এমপির সঞ্চালনায় বাংলাদেশ তরিকত ফেডারেশনের চেয়ারম্যান নজিবুল বশর মাইজভান্ডারী, গণতন্ত্রী পার্টির সাধারণ সম্পাদক ডা. শাহাদাত হোসেন, গণ আজাদী লীগের সভাপতি অ্যাডভোকেট এস কে সিকদার, ন্যাপের সাধারণ সম্পাদক ইসমাইল হোসেন, বাসদের আহ্বায়ক রেজাউর রশিদ খান, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সভাপতি আবু আহমেদ মান্নাফী, মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ বজলুর রহমানসহ ১৪ দলীয় জোটের অন্যান্য নেতারা বক্তব্য রাখেন।
এ সময় মঞ্চে জাতীয় পার্টি জেপি চেয়ারম্যান আনোয়ার হোসেন মঞ্জু, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক হুমায়ূন কবির, সাবেক সাধারণ সম্পাদক শাহে আলম মুরাদসহ ১৪ দল ও মহানগর আওয়ামী লীগের নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
সারাবাংলা/এনআর/একে