Friday 22 Nov 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

‘যুদ্ধে যেন জয়ী হতে পারি, সেভাবেই সশস্ত্র বাহিনীর প্রস্তুতি চাই’

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট
২২ ডিসেম্বর ২০২২ ১৩:২৮

ঢাকা: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব রক্ষার জন্য আমাদের সব ধরনের প্রস্তুতি থাকতে হবে। খোদা না করুক যদি কখনো বহিঃশত্রুর আক্রমণ হয়; সেটা যেন আমরা প্রতিহত করতে পারি। আর যেকোনো যুদ্ধে যেন জয়ী হতে পারি, সেভাবেই আমাদের সশস্ত্র বাহিনীকে আধুনিক প্রযুক্তি জ্ঞানসম্পন্ন ও আধুনিক সরঞ্জাম দিয়েই প্রতিষ্ঠিত করতে চাই।’

বৃহস্পতিবার (২২ ডিসেম্বর) সকালে চট্টগ্রামের বাংলাদেশ নেভাল একাডেমিতে ‘রাষ্ট্রপতি কুচকাওয়াজ’ অনুষ্ঠানে অংশ নিয়ে তিনি এসব কথা বলেন। ‘মিডশিপম্যান ২০২০-এ ব্যাচ এবং ডাইরেক্ট এন্ট্রি অফিসার (ডিইও) ২০২০ বি-ব্যাচ’ এর কমিশন প্রাপ্তি উপলক্ষে এই আয়োজন করা হয়।

বিজ্ঞাপন

নৌবাহিনীকে ‘আধুনিক বাহিনী’ হিসাবে গড়ে তোলার লক্ষ্যে জাতির পিতার বিভিন্ন পদক্ষেপের কথা প্রসঙ্গ তুলে ধরেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি সমুদ্রসীমা আইন করার উদ্যোগের পিছনে জাতির পিতার অবদান স্মরণ করেন এবং বর্তমান আওয়ামী লীগ সরকারের মেয়াদে সমুদ্রসীমা আইন বাস্তবায়ন হওয়ার ফলে বিশাল সমুদ্রসীমায় বাংলাদেশের অধিকার প্রতিষ্ঠার হওয়ারও প্রসঙ্গ তুলে ধরেন। এসময় প্রধানমন্ত্রী তার সরকারের টানা মেয়াদে নৌবাহিনীকে আধুনিকায়ন করারও বিভিন্ন পদক্ষেপ তুলে ধরেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা চাই আমাদের দেশ আরও এগিয়ে যাক। সেদিকে লক্ষ্য রেখেই আমরা কাজ করে যাচ্ছি। জাতির পিতার স্বপ্ন ছিল আমাদের নৌবাহিনী অত্যন্ত দক্ষ হবে। নৌবাহিনীকে অত্যন্ত একটা যোগ্য বাহিনী হিসাবে আন্তর্জাতিক মানের প্রশিক্ষণ দেওয়ার জন্য আন্তর্জাতিক মানের নেভাল একাডেমি প্রতিষ্ঠা করে দিয়েছি।’

বিজ্ঞাপন

বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের পররাষ্ট্রনীতি অত্যন্ত স্পষ্ট। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব যে পররাষ্ট্রনীতি আমাদের দিয়ে গেছেন; সবার সঙ্গে বন্ধুত্ব, কারও সঙ্গে বৈরিতা নয়। আমরা কারও সঙ্গে যুদ্ধ করবো না। আমরা বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক রেখেই চলবো।’

‘তবে আমরা একটি স্বাধীন দেশ। স্বাধীনতা সার্বভৌমত্ব রক্ষার জন্য আমাদের সব ধরনের প্রস্তুতি থাকতে হবে। খোদা না করুক যদি কখনো বহিঃশত্রুর আক্রমণ হয়; সেটা যেন আমরা প্রতিহত করতে পারি। আর যেকোনো যুদ্ধে যেন জয়ী হতে পারি; সেভাবেই আমাদের নৌবাহিনী, বিমানবাহিনী, সেনাবাহিনী অর্থ্যাৎ সশস্ত্র বাহিনীকে আধুনিক প্রযুক্তি জ্ঞানসম্পন্ন ও আধুনিক সরঞ্জাম দিয়েই প্রতিষ্ঠিত করতে চাই’, বলেন প্রধানমন্ত্রী। এসময় প্রশিক্ষণের জন্য অবকাঠামোগত উন্নয়নও আওয়ামী লীগ সরকারের মেয়াদে করা হয়েছে বলেও অবহিত করেন প্রধানমন্ত্রী।

দেশের সার্বভৌমত্ব, নিরাপত্তা রক্ষায় নৌবাহিনীই হবে দেশের ভবিষ্যৎ কান্ডারি উল্লেখ করে সরকারপ্রধান বলেন, ‘সততা নেতৃত্ব আত্মত্যাগে বলীয়ান হয়ে সেনাবাহিনীর সঙ্গে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে দেশের স্বাধীনতা সার্বভৌমত্ব রক্ষা এবং যেকোন দুর্যোগ মোকাবিলায় প্রস্তুত থাকতে হবে। কারণ দুযোগপূর্ণ দেশ আমাদের, সেখানে নৌবাহিনীকে সবসময় দুর্যোগে সাধারণ মানুষের পাশে থাকে। উদ্ধার কাজ থেকে রিলিফ দেওয়া অত্যন্ত দক্ষতার সঙ্গে সেই কাজও করে যাচ্ছে। কাজেই আমি চাই নবীন অফিসাররাও এ ব্যাপারে আন্তরিকতার সঙ্গে কাজ করবে। সবসময় সুশৃঙ্খল থাকতে হবে, দেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধ হয়ে অর্পিত দায়িত্ব পালন করতে হবে।’

প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, ‘আমরা চাই বাংলাদেশ এগিয়ে যাক। যখন আমরা স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী এবং জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবের জন্মশতবার্ষিকী উদযাপন করেছি, সেই সময় দেশ উন্নয়নশীল হিসাবে উন্নীত হয়েছে। ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত দেশ হিসাবে প্রতিষ্ঠা করবো। ২০৪১ সালে বাংলাদেশের জনগণ হবে প্রযুক্তিজ্ঞান সম্পন্ন অথবা ডিজিটাল ডিভাইস শিক্ষা নিয়ে তারা প্রত্যেকে একজন প্রযুক্তিজ্ঞানসম্পন্ন নাগরিক হিসাবে গড়ে উঠবে। আমাদের অর্থনীতি, পরিকল্পনা বাস্তবায়ন সবকিছু আমরা ডিজিটাল পদ্ধতিতে নিয়ে যাবো। বাংলাদেশ হবে স্মার্ট, উন্নত বাংলাদেশ।’

এর আগে, ঢাকা থেকে হেলিকপ্টারে করে চট্টগ্রামে পৌঁছান প্রধানমন্ত্রী।

সারাবাংলা/এনআর/এমও

নৌবাহিনী প্রধানমন্ত্রী যুদ্ধ সশস্ত্র বাহিনী

বিজ্ঞাপন

আরো

সম্পর্কিত খবর