Sunday 13 Oct 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

কংস নদীর ভাঙন থেকে বাঘরুয়া ও কর্ণপুর গ্রাম রক্ষায় উদ্যোগ

জোসনা জামান, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট
২৩ ডিসেম্বর ২০২২ ০৯:১৮

ঢাকা: কংস নদীর ভাঙন থেকে নেত্রকোনার দুই গ্রাম রক্ষার উদ্যোগ নিচ্ছে সরকার। এজন্য ‘নেত্রকোণা জেলার সদর ও বারহাট্টা উপজেলায় বাঘরুয়া ও কর্ণপুর গ্রাম কংস নদীর ভাঙন হতে রক্ষা’ শীর্ষক একটি প্রকল্প হাতে নিচ্ছে পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়।

এ নিয়ে প্রকল্প মূল্যায়ন কমিটির (পিইসি) সভাও অনুষ্ঠিত হয়েছে। গত ৬ ডিসেম্বর পরিকল্পনা কমিশনে অনুষ্ঠিত সভায় সভাপতিত্ব করেন কৃষি, পানিসম্পদ ও পল্লী প্রতিষ্ঠান বিভাগের সদস্য (সচিব) এ কে এম ফজলুল হক। ওই সভা সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে। প্রক্রিয়াকরণ শেষে অনুমোদন পেলে প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করবে বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ড (বাপাউবো)।

বিজ্ঞাপন

‘প্রকল্পটি সম্পূর্ণ সরকারি অনুদানে মোট ৪৯ কোটি ৮৭ লাখ ৬১ হাজার টাকা ব্যয় ধরা হয়েছে। এছাড়া চলতি বছরের নভেম্বর থেকে ২০২৪ সালে বাস্তবায়নের জন্য প্রস্তাব করা হয়েছে। প্রকল্পটি ২০২২-২৩ অর্থবছরের এডিপিতে বরাদ্দবিহীন অনঅনুমোদিত নতুন প্রকল্প তালিকায় অন্তর্ভুক্ত ছিল না। তবে এটি অনুমোদন প্রক্রিয়াকরণের জন্য গত ১৯ অক্টোবর অনুষ্ঠিত আন্তঃমন্ত্রণালয় প্রোগ্রামিং কমিটির বিশেষ সভার সুপারিশ করা হয়। ২০২২-২৩ অর্থবছরের বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচিতে (এডিপি) অনঅনুমোদিত নতুন প্রকল্প তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।

পিইসি সভায় পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব এস এম রেজাউল মোস্তফা কামাল জানান, তিনিসহ পরিকল্পনা কমিশনের যুগ্ম প্রধান এনামুল হক ও উপ প্রধান মো. সামছুল ইসলাম প্রকল্প এলাকা পরিদর্শন করেছেন। প্রকল্প এলাকা পরিদর্শনে দেখা যায় প্রকল্প এলাকাটি অত্যন্ত ভাঙনপ্রবণ। ৫২নং লাইট সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়সহ অন্য প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলো কংস ও মগড়া নদীর তীরবর্তী হওয়ায় প্রতিবছর ভাঙনের ফলে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। এই সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলো নদীর তীরবর্তী হওয়ায় বিদ্যালয়ে আসা শিক্ষার্থীদের স্কুলের খেলার মাঠ প্রতিবছরই আংশিক করে নদীগর্ভে বিলীন হয়ে যাচ্ছে।

বিজ্ঞাপন


প্রকল্প এলাকায় কর্নপুর, পাঁচপাই ও বাঘরুয়া নামক স্থানে নদীর ভয়াবহ ভাঙনের ফলে রাস্তাঘাট, বাড়ি-ঘর, মসজিদ, মাদরাসা, স্কুল, বাজার, কবরস্থান, মন্দিরসহ অনেক গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা নদীগর্ভে বিলীন হয়ে যাচ্ছে।

অতিরিক্ত সচিব বলেন, ‘প্রকল্প প্রস্তাবে কর্ণপুরের নিকটবর্তী পাঁচপাই এলাকা অন্তর্ভুক্ত নেই। কিন্তু এই এলাকায় ভাঙন এতটাই প্রবল যে বর্তমানে কোনো ব্যবস্থা না নেওয়া হলে আগামী বর্ষা মৌসুমে এলাকাটি বিলীন হয়ে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। তাই প্রস্তাবিত প্রকল্পে পাঁচপাই এলাকা অন্তর্ভুক্ত করা জরুরি।’

সভায় অর্থ বিভাগের উপসচিব মিলিয়া শারমিন বলেন, ‘এর আগে প্রকল্প এলাকায় কোনো কার্যক্রম নেওয়া হয়েছে কি না?’

জবাবে বাপাউবোর প্রতিনিধি বলেন, ‘প্রকল্প এলাকায় প্রতিবছর খুবই সামান্য পরিসরে অস্থায়ীভিত্তিতে কাজ করে ভাঙন প্রতিরোধের চেষ্টা করা হয়। কিন্তু ভাঙনের বিস্তৃতি অনেক বেশি হওয়ায় এই কাজ ফলপ্রসূ হয় না। তাই সমগ্র প্রকল্প এলাকায় স্থায়ীভাবে প্রতিরোধে কার্যকরী ব্যবস্থা নেওয়া প্রয়োজন।’

সভায় বলা হয়, ৫২নং লাইট সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়সহ অন্যান্য প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সামনে ভাঙন তেমন তীব্র না হওয়ায় সিসি ব্লকের পরিবর্তে স্যান্ড সিমেন্ট জিও ব্যাগ ব্যবহার করার বিষয়ে আলোচনা হয়। ৫২নং লাইট সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়সহ অন্য প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সামনে ভাঙন তেমন তীব্র না হওয়ায় সিসি ব্লকের পরিবর্তে স্যান্ড সিমেন্ট জিও ব্যাগ ব্যবহার করার বিষয়ে সভায় সকলে একমত হয়েছেন।

সারাবাংলা/জেজে/এমও

কর্ণপুর গ্রাম কংস নদীর ভাঙন বাঘরুয়া

বিজ্ঞাপন
সর্বশেষ
সম্পর্কিত খবর