‘আগামীতেও সরকার পরিচালনায় প্রস্তুত আওয়ামী লীগ’
২২ ডিসেম্বর ২০২২ ১৪:৪৪
ঢাকা: আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, আমরা আগামী নির্বাচনে মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় দেশকে সাম্প্রদায়িকতা মুক্ত অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ গড়ে তুলতে জাতির কাছে অঙ্গীকার রেখেছি। আমাদের মূল লক্ষ্য উন্নত সমৃদ্ধ স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ে তোলা। আমাদের নেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আমরা আগামী নির্বাচনের জন্য প্রস্তুত হবো। আমরা প্রস্তুত হবো বাংলাদেশের আগামী সরকার পরিচালনার জন্য।
বৃহস্পতিবার (২২ ডিসেম্বর) দুপুরে আওয়ামী লীগের ২২তম জাতীয় সম্মেলন উপলক্ষ্যে সম্মেলনস্থল ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে পরিদর্শনে এসে সাংবাদিকদের সামনে তিনি এই অঙ্গীকার ব্যক্ত করেন। আগামী ২৪ ডিসেম্বর ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের ২২তম সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে। নৌকার আদলে বিশাল মঞ্চ প্রস্তুত করা হয়েছে। এল আকৃতির বিশাল প্যান্ডেলে হাজার হাজার কাউন্সিলর, ডেলিগেট ও অতিথিদের বসার ব্যবস্থা করা হবে।
ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘এই সম্মেলনে স্মরণকালের সর্ববৃহৎ উপস্থিতি, সুশৃংখল ও সুসংগঠিত উপস্থিতির মাধ্যমে আমরা স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ে তোলার লক্ষ্যে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে ঐক্যবদ্ধ আছি। আমরা আগামী নির্বাচনে মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় এই দেশকে সাম্প্রদায়িকতা মুক্ত অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ গড়ে তুলতে আমরা জাতির কাছে অঙ্গীকার রেখেছি, আমরা অঙ্গীকারবদ্ধ। সেই লক্ষ্যে আমরা কাজ করে যাবো।’
আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘আমাদের মূল লক্ষ্য উন্নত সমৃদ্ধ বাংলাদেশ, স্মার্ট বাংলাদেশ। আমাদের নেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আমরা স্মার্ট গড়ে তোলার লক্ষ্যকে সামনে রেখে আওয়ামী লীগকে একটা সুশৃংখল সুসংগঠিত ঐক্যবদ্ধ আওয়ামী লীগ গড়ে তুলতে চাই। আগামী নির্বাচনের জন্য আমরা প্রস্তুত, আমরা প্রস্তুত বাংলাদেশের আগামী সরকার পরিচালনার জন্য।’
আওয়ামী লীগের জাতীয় সম্মেলন চ্যালেঞ্জিং সময়ে পড়েছে দাবি করে তিনি বলেন, ‘আমরা সংকটে আছি। সংকটকে সম্ভাবনায় রূপ দিতে স্মরণকালের সর্ববৃহৎ সুসংগঠিত উপস্থিতির মাধ্যমে স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ে তোলার লক্ষ্যে আমরা ঐক্যবদ্ধ আছি। নির্বাচনকে সামনে রেখে সুসংগঠিত, ঐক্যবদ্ধ আওয়ামী লীগ গড়ে তুলতে চাই।’
তিনি আরও বলেন, ‘সভাপতি আমাদের অপরিহার্য; যিনি (শেখ হাসিনা) সভাপতি তিনি আমাদের ঐক্যের প্রতীক। এই মতের ভিন্ন একজনও কাউন্সিলর খুঁজে পাওয়া যাবে না। এ নিয়ে কোনো প্রশ্ন নেই।’
দলের সাধারণ সম্পাদক পদে পরিবর্তন আসতে পারে কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘আমার জানা মতে দলে সেক্রেটারি হওয়ার মতে ১০ জন অভিজ্ঞ নেতা আছেন। কে হবেন সেটা নেত্রীর ইচ্ছা এবং কাউন্সিলরদের মতামত। সবকিছুর প্রতিফলন ঘটবে সম্মেলনের দ্বিতীয় অধিবেশনে।’
তিনি বলেন, ‘এই সম্মেলনে যে কমিটি হবে এখানে তেমন একটা পরিবর্তন হওয়ার সম্ভাবনা কম। নির্বাচনের পর আগামও সম্মেলন হতে পারে। তখন একটা মেজর হিসেব হতে পারে। আপাতত বড় কোনো ধরনের পরিবর্তনের ব্যাপারে ভাবছি না।’
এবারের সম্মেলন ঐতিহাসিক সম্মেলন হবে। সারাদেশে জাগরণের ঢেউ আছে। সম্মেলনে নেতা-কর্মীদের ঢল নামবে বলেও আশাবাদ করেন তিনি।
এ সময় আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানক, আব্দুর রহমান, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম, সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আজম, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার আব্দুস সবুর, কার্যনির্বাহী সদস্য সাহাবুদ্দিন ফরাজী, আজিজুস সামাদ ডন, সানজিদা খানম সৈয়দ আদুল আউয়াল শামীম, হুইপ ইকবালুর রহিম, এস এম কামাল হোসেন, পানি সম্পদ উপমন্ত্রী একেএম এনামুল হক শামীমসহ সম্মেলন প্রস্তুত উপ-কমিটির নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
সারাবাংলা/এনআর/ইআ