‘নির্বাচিত সরকারকে হটিয়ে কাউকে ক্ষমতায় আনলে দেশের ভালো হবে না’
২২ ডিসেম্বর ২০২২ ২০:৫৩
ঢাকা: আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, দেশের কিছু বুদ্ধিজীবী জামা-কাপড় ইস্ত্রি করে বসেই থাকেন অগণতান্ত্রিক সরকার ব্যবস্থার জন্য। যারা কোনো উন্নয়ন চোখে দেখেন না। তারা প্রতিবন্ধী। তারা যেকোনোভাবে আওয়ামী লীগ সরকারকে হটাতে চায়। কারণ, অগণতান্ত্রিক সরকার এলে তাদের কদর বাড়ে। সরকারের দ্বারা ব্যবহৃত হয়। গণতান্ত্রিক ধারায় দেশ চললে তাদের হতাশা লাগে। নির্বাচিত সরকার হটিয়ে অনির্বাচিত কাউকে ক্ষমতায় আনলে দেশের ভালো হবে না।
বৃহস্পতিবার (২২ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় গণভবনে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদের বৈঠকের শুরুতে তিনি এসব কথা বলেন। পরে আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে গণভবনে বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকে সম্মেলনের সার্বিক প্রস্তুতি পর্যালোচনা করা হয়। দলের গঠনতন্ত্র ও ঘোষণাপত্রের সংশোধনীর খসড়া অনুমোদনের জন্য বৈঠকে উত্থাপন করা হয়। এবার খুব বেশি সংশোধনী আসছে না বলে ইতোমধ্যেই জানিয়েছেন সম্মেলন প্রস্তুতি উপ-কমিটিচর দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতারা।
শেখ হাসিনা বলেন, ‘যখন আওয়ামী লীগ সরকারে এসেছে তখনই মানুষের জীবনমান উন্নত হয়েছে। আওয়ামী লীগ সরকার নিজেকে জনগণের সেবক মনে করে এবং সেটাই করে। বিএনপির আমলে দুর্নীতিই ছিল তাদের নীতি। এছাড়া জঙ্গিবাদ, সন্ত্রাস, লুটপাট মিলে দেশে আরেকটি কালো অধ্যায় শুরু হয়। বিএনপির রাজনৈতিক ধারাবাহিকতাই ছিল অগণতান্ত্রিক। জেনারেলের পকেট থেকেই বিএনপির জন্ম। মাটি ও মানুষ থেকে এদের জন্ম হয়নি। এরা সব সময় মানুষের ভোটের অধিকার নিয়ে ছিনিমিনি খেলে। ২০০১, ২০০৬ সালে প্রতিবার তারা জনগণের ভোটের অধিকার নিয়ে ছিনিমিনি খেলে।’
তিনি বলেন, ‘২০০৮ সালে নির্বাচন নিয়ে কারও কোনো অভিযোগ ছিল না। সে সময় বিএনপির সব পছন্দের লোক ক্ষমতায় থাকার পরও ৩১টি আসন পায়। সেই দল জনগণের ভোটে ক্ষমতায় আসবে?- এটা বিএনপির নেতারা কিভাবে মনে করেন? ২০০১ এর নির্বাচনও ছিল গভীর চক্রান্ত। জনগণের ভোট আওয়ামী লীগ পেয়েছিল। কিন্তু ক্ষমতায় বসতে পারেনি। বিএনপি-জামায়াতের শাসনামল ছিল জঙ্গিবাদ, সন্ত্রাস আর দুর্নীতি।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘জনগণের ভোটে বিএনপি ক্ষমতায় যাবে এ স্বপ্ন তারা কিভাবে দেখে? যে দলের নেতারা গ্রেনেড হামলায় সাজাপ্রাপ্ত, ১০ ট্রাক অস্ত্র চোরাচালান, মানিলন্ডারিং মামলায় সাজাপ্রাপ্ত আসামি। মুচলেকা দিয়ে দেশ ছেড়ে এখন বিদেশে বসে দেশের বিরুদ্ধে চক্রান্ত করা আর পাচার করা টাকায় দেশের বিরুদ্ধে বদনাম করা তার কাজ। দেশের যে টাকা পাচার করে নিয়ে গেছে, এখন সেই টাকাই দেশের বদনাম করতে ব্যবহার করছে।’
এ সময় তিনি গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা নিয়ে প্রশ্ন তোলা বুদ্ধিজীবীদের সমালোচনা করেন। তাদের জ্ঞান-বুদ্ধিকে দেশের কল্যাণে কাজে লাগানোর আহ্বান জানান প্রধানমন্ত্রী।
সারাবাংলা/এনআর/পিটিএম