‘আওয়ামী লীগের প্রতি তরুণ-নারীদের আকর্ষণ বেড়েছে’
২৩ ডিসেম্বর ২০২২ ১৩:৪৬
ঢাকা: আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, ‘আওয়ামী লীগের প্রতি তরুণদের আকর্ষণ আগের চেয়ে বেড়েছে। নারীদের আকর্ষণ আগের চেয়ে বেড়েছে। বিশ্বব্যাংক কি বলেছে? নারীদের ক্ষমতায়নে বাংলাদেশ জ্বলন্ত উদাহরণ। আমার এলাকায় দশজন নারীও দেখিনি পাবলিক মিটিংয়ে কিন্তু এখন শত শত নারী। এটা সারা বাংলাদেশ। উত্তরবঙ্গে তো আরও বেশি।’
শুক্রবার (২৩ ডিসেম্বর) সকালে দলের ২২তম জাতীয় কাউন্সিল উপলক্ষে বঙ্গবন্ধু এভিনিউ কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।
আপনি যখন দুইবারের সাধারণ সম্পাদক হিসাবে দায়িত্বপালন করছেন তখন সারাদেশ আওয়ামী লীগময় হয়ে গেছে? এটা আওয়ামী লীগের জন্য শঙ্কা না সম্ভাবনা হিসাবে দেখছেন? তার জবাবে ওবায়দুল কাদের বলেন, আওয়ামী লীগ তার সক্রিয় ধারায় এগিয়ে যাচ্ছে। তরুণরা স্মার্ট বাংলাদেশের প্রতি আকৃষ্ট হয়েছে, ডিজিটাল বাংলাদেশকে একসেপ্ট করেছে। এখানে সজীব ওয়াজেদ জয়ের একটা বলিষ্ঠ ভূমিকা রয়েছে। তিনি প্রকাশ্যে আসেন না খুব বেশি। নীরবে আসেন, নিঃশব্দে চলে যান। কিন্তু কোয়াইট একটা রেভ্যুলেশন আইসিটিতে তিনি ঘটিয়ে রেখেছেন।’
দায়িত্ব বদলালেও দলেই থাকবো: ওবায়দুল কাদের
বিএনপিসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের সরকারবিরোধী কর্মসূচি বিষয়ে প্রশ্নের জবাবে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘তারা কিন্তু তাদের এজেন্ডা থেকে, কর্মসূচি থেকে সরে গেছে এটা মনে করার কোন কারণ নেই। আমাদের একে একে কত উন্নয়ন, শত সেতু, শত সড়ক, মেট্রোরেল আসছে, টানেল আসছে, ঢাকা-জয়দেবপুর সিক্স লেন এসে গেছে; আমাদের আরও অনেকগুলো কানেক্টেড হচ্ছে। পায়রা কানেক্টেড হচ্ছে। এগুলো তো আসলে তাদের মনের জ্বালাপোড়ার জন্য যথেষ্ট। আসলে নির্বাচন হলে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকারকে হঠানো সেটা তাদের কাছে শঙ্কার কারণ এবং নির্বাচন নিয়ে তারা কর্মসূচি দিয়ে ফেইল করেছে। আগামী দিনেও তারা ফেইল করবে। আর আন্দোলনে যেই দল ব্যর্থ হবে সেই সেই দল নির্বাচনেও ব্যর্থ হবে; এটাই ইতিহাস।’
একইসঙ্গে আওয়ামী লীগের সাধারণ এবং মন্ত্রী হিসাবে দায়িত্ব পালন করছেন, এটা চ্যালেঞ্জ হিসাবে মনে করেন কি না? এবিষয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘আমার সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ ছিল মন্ত্রণালয়ের পদ্মা সেতু। এটা নাম্বার ওয়ান। সেটা ইনশাআল্লাহ হয়ে গেছে। শেখ হাসিনার নেতৃত্বে। তবে ব্যর্থতা থেকেও আমরা শিক্ষা নেব; যেখানে ভুল আছে যেখানে পিছিয়ে আছি। সংশোধনের জন্য আমরা সম্মিলিতভাবে আগামী দিনে চেষ্টা করবো। কে কোন দায়িত্বে থাকল এটা ব্যাপার না।’
এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন- দলের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ড. আব্দুর রাজ্জাক, জাহাঙ্গীর কবির নানক, আব্দুর রহমান, মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া, অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মাহবুব-উল আলম হানিফ, ড. হাছান মাহমুদ, আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম, সাংগঠনিক সম্পাদক আহমদ হোসেন, বিএম মোজাম্মেল হক, মির্জা আজম, এসএম কামাল হোসেন, সফিউল আলম চৌধুরী নাদেল, প্রচার ও প্রকাশনা বিষয়ক সম্পাদক আব্দুস সোবহান গোলাপ, দফতর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া, উপদফতর সম্পাদক সায়েম খান, কার্যনিবাহী সদস্য মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিনসহ অনেকে।
সারাবাংলা/এনআর/এমও