Friday 22 Nov 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

৭৪ বছরের আওয়ামী লীগে ৪১ বছর নৌকার হালে শেখ হাসিনা

নৃপেন রায়, সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট
২৩ ডিসেম্বর ২০২২ ২৩:৩১

ঢাকা: ৪১ বছর ধরে আওয়ামী লীগের সভাপতি থাকা বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার দলকে জাতির পিতার কন্যা হওয়া সত্ত্বেও নৌকার হাল ধরে চলার পথ কুসুমাস্তীর্ণ ছিল না। জীবনের পঁচাত্তর বছর অতিক্রম করেছেন টানা মেয়াদে সরকার প্রধানের দায়িত্ব থাকা শেখ হাসিনা। দলটির দীর্ঘ পথচলার ৭৪ বছরের মধ্যে ৪১ বছর যাবৎ নেতৃত্ব দিচ্ছেন বঙ্গবন্ধু কন্যা।

দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচনেও নৌকার বিজয়ের প্রত্যয়ে ‘উন্নয়ন অভিযাত্রায় দেশরত্ন শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের উন্নত, সমৃদ্ধ ও ডিজিটাল বাংলাদেশ’ স্লোগানে অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া সম্মেলনে এবারও দলের সভাপতি হিসাবে স্বপদে বহাল থাকবেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা। ত্রি-বার্ষিক সম্মেলনের মধ্য দিয়ে টানা ১১তম বার সভাপতি নির্বাচিত হয়ে ‘জয় বাংলা’র নৌকাকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার গুরুভার পাবেন বঙ্গবন্ধু শেখ হাসিনা।

বিজ্ঞাপন

জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও বেগম ফজিলাতুননেছা মুজিবের প্রথম সন্তান শেখ হাসিনার জন্ম ১৯৪৭ সালের ২৮ সেপ্টেম্বর গোপালগঞ্জের টুঙ্গীপাড়ায়। ছাত্রজীবনেই রাজনীতিতে হাতেখড়ি হওয়া শেখ হাসিনা পঁচাত্তরের ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধুকে হত্যাকাণ্ডের পর সমুদ্রসংকুল পথ পাড়ি দিয়ে আওয়ামী লীগ সভাপতির হাল ধরে দলকে চারবার রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় অধিষ্ঠিত করেছেন। বর্তমানে টানা তৃতীয় মেয়াদ রাষ্ট্র পরিচালনায় দায়িত্বে আছে তার নেতৃত্বাধীন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ।

স্বাধীন দেশে ১৯৭৫ সালের ১৫ অগাস্ট পরিবারের সবাইকে হারিয়ে নির্বাসিত জীবন কাটাতে হয়েছে শেখ হাসিনাকে। দেশে ফেরার পরও ষড়যন্ত্র আর মৃত্যুর ঝুঁকি নিয়েই বিপদসঙ্কুল পথ পাড়ি দিতে হয়েছে। এই দীর্ঘ লড়াই সংগ্রাম সাফল্যগাথার পথ পাড়ি দিতে ১৫ আগস্টে এতিম হওয়া বঙ্গবন্ধু কন্যাকে কখনো শত্রুপক্ষ, কখনো দলের ভিতর বর্ণচোরা বন্ধুবেশী শত্রুদের দ্বারা বাধার সম্মুখীন হয়েছেন।

বিজ্ঞাপন

বর্তমানে ২০০৯ সাল থেকে টানা তৃতীয় মেয়াদে প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্বে থেকে বাংলাদেশকে উন্নত ও সমৃদ্ধ দেশের কাতারে নেওয়ার লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছেন শেখ হাসিনা। এরই মধ্যে বাংলাদেশের স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উন্নয়নশীল দেশে উত্তরণ ঘটেছ। আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে লক্ষ্য রেখে ডিজিটাল বাংলাদেশের স্বপ্ন বাস্তবায়নের পথ ধরে স্মার্ট বাংলাদেশ হিসেবে গড়ে তোলার প্রত্যয় করেছেন। পদ্মা সেতু থেকে দেশের দৃশ্যমান উন্নতি আজ প্রশংসা কুড়াচ্ছে আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে। সরকার প্রধান হিসেবেও রাষ্ট্রীয় গণ্ডি পেরিয়ে বৈশ্বিক মণ্ডলে বিভিন্ন খেতাব, পুরস্কারসহ মানবিক উপাধিতেও ভূষিত হয়েছেন।

বর্তমান মেয়াদে করোনা অতিমারির ধাক্কা সামলিয়ে বৈশ্বিক অর্থনৈতিক মন্দায় সংশয়-সংকট কাটিয়ে ৪১ বছর ধরে আওয়ামী লীগের সভাপতির দায়িত্বে শেখ হাসিনা হয়ত শনিবারের জাতীয় সম্মেলনেও দলকে নতুন নেতৃত্ব খুঁজে নেওয়ার প্রস্তাব দেবেন। কিন্তু অধিবেশনে উপস্থিত কাউন্সিলসহ দলের নেতাদের না-রাজিতে সবশেষে এবারও সভাপতি থাকবেন। বিগত সময়ে বারবার নিজের বয়সের কথা স্মরণ করে দিয়ে নতুন নেতৃত্ব খুঁজে নেওয়ার আহ্বানও জানিয়েছেন। তিনি ঘুরেফিরে বারবার বলেছেন, ‘এটা ঠিক, দীর্ঘদিন হয়ে গেছে। অবশ্যই আমি চাই নতুন নেতৃত্ব আসুক। আমার তো আসলে সময় হয়ে গেছে। আমার যেটি লক্ষ্য ছিল, জাতির পিতা বাংলাদেশ স্বাধীন করে একটা যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশকে আর্থ সামাজিক উন্নয়নের ক্ষেত্রে অগ্রগতি করে স্বল্পোন্নত দেশের মর্যাদা অর্জন করে দিয়ে যান। জাতিসংঘই স্বল্পোন্নত দেশের স্বীকৃতি দিয়েছিল।’

জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ঘরে জন্ম নেওয়া শেখ হাসিনার বেড়ে ওঠা পুরোপুরি রাজনৈতিক আবহে। ষাটের দশকে ইডেন কলেজে ছাত্রলীগের কর্মী হিসাবে তার রাজনীতির ময়দানে পথচলা শুরু। ১৯৬৬-৬৭ সালে ইডেন কলেজের ছাত্র সংসদের সহ-সভাপতি (ভিপি) নির্বাচিত হন তিনি। পরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার সময় ছাত্রলীগের রোকেয়া হল শাখার সাধারণ সম্পাদক ছিলেন।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ১৯৭৩ সালে স্নাতক ডিগ্রি নেওয়ার আগেই শেখ হাসিনার বিয়ে হয় পরমাণু বিজ্ঞানী এম ওয়াজেদ মিয়ার সঙ্গে। তাদের দুই সন্তান সজীব ওয়াজেদ জয় ও সায়মা হোসেন পুতুল। ১৯৭৫ সালের ১৫ অগাস্ট সেনাবাহিনীর একদল সদস্য যখন সপরিবারে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবকে হত্যা করে, তখন স্বামীর কর্মসূত্রে ইউরোপে ছিলেন শেখ হাসিনা। সে সময় তার সঙ্গে থাকা ছোট বোন শেখ রেহানাও প্রাণে বেঁচে যান। ওয়াজেদ মিয়া তখন থাকতেন জার্মানিতে, ১৫ আগস্ট তারা বেলজিয়ামে গিয়েছিলেন বেড়াতে। বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডের পর দীর্ঘ সময় দেশে ফিরতে পারেননি।

১৯৮১ সালের ফেব্রুয়ারিতে তার অনুপস্থিতিতেই আওয়ামী লীগের সম্মেলনে তাকে দলীয় সভাপতি নির্বাচিত করা হয়। তারপর থেকে এখনও সেই পদেই বহাল আছেন তিনি। তাই বারবার দেশবাসীসহ দলের নেতাকর্মীদের স্মরণ করিয়ে করিয়ে দেন, আমি বাবা মা ভাই সব হারিয়েছি, আপনারাই আমার আপনজন। ১৯৮১ সালের ১৭ মে দেশে ফিরে দলের দায়িত্ব গ্রহণের পর থেকে ২০২২ পর‌্যন্ত দলের সভাপতির দায়িত্বে আছেন বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা।

দীর্ঘ সংগ্রাম পথচলার বাঁকে বাঁকে জীবন ঝুঁকির মুখে পড়লেও দলের নেতাকর্মী ও জনতার সাহসে লড়ে গেছেন শেখ হাসিনা। দেশে ফিরে দলকে ঐক্যবদ্ধ করে সামরিক শাসকদের বিরুদ্ধে আন্দোল সংগ্রাম গড়ে তুলতে ভূমিকা পালন করেন। এ ধারাবাহিকতায় ১৯৯৬ সালে প্রথম দেশের প্রধানমন্ত্রী হন শেখ হাসিনা।

২১ বছর পর ক্ষমতায় অধিষ্ঠিত হয় আওয়ামী লীগ। এরপর ২০০৮ সালের ২৯ ডিসেম্বরের নির্বাচনে তিন-চতুর্থাংশ আসনে বিজয় অর্জনের মাধ্যমে ২০০৯ সালে দ্বিতীয় মেয়াদে প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব নেন শেখ হাসিনা। এরপর তার নেতৃত্বে ২০১৪ এবং ২০১৮ সালের ভোটে জেতে আওয়ামী লীগ। এখন টানা তৃতীয় মেয়াদে প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্বে বঙ্গবন্ধু কন্যা।

নানা চড়াই-উৎরাই পেরিয়ে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশের স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উন্নয়নশীল দেশের কাতারে। সরকারের নিজস্ব অর্থায়নে নির্মিত পদ্মা সেতু আজ উত্তাল পদ্মার বুকে জাতির গৌরবের প্রতীক হয়ে দাঁড়িয়ে আছে। শেখ হাসিনাই আজ বিশ্ব দরবারে বাংলাদেশের আত্মবিশ্বাসের সাথে মাথা উঁচু করে দাঁড়ানোর সাহস এনে দিয়েছে। দলীয় নেতাকর্মীদের প্রতীজ্ঞা শপথে নতুনমাত্রা যোগ করেছেন। তরুণ যুবশক্তির প্রাণে জাগরণী বার্তায় ডিজিটাল বাংলাদেশ বিনিমার্ণের পথরেখার সাফল্যে আগামী দিনে উন্নত সমৃদ্ধ স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণের রূপরেখার অঙ্গীকার ব্যক্ত করেছেন।

১৯৮১ সালের ১৪, ১৫ ও ১৬ ফেব্রুয়ারি ইডেন গার্ডেন। আওয়ামী লীগের তিন দিনব্যাপী দ্বি-বার্ষিক কাউন্সিল অনুষ্ঠিত হয়। আওয়ামী লীগের ইতিহাসে গুরুত্বপূর্ণ এই কাউন্সিলে দলে নেতৃত্বের শূন্যতা পূরণ এবং দলকে অধিকতর শক্তিশালী ও সুসংহত করার লক্ষ্যে বঙ্গবন্ধুর জ্যেষ্ঠ কন্যার অনুপস্থিতিতে দলের সভাপতি নির্বাচিত করা হয়। আবদুর রাজ্জাক সাধারণ সম্পাদক পুনঃনির্বাচিত হন। এরপর ১৯৮২ সালে আব্দুর রাজ্জাকের নেতৃত্বে কিছু নেতাকর্মী আওয়ামী লীগ ত্যাগ করলে সাজেদা চৌধুরীকে ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব দেওয়া হয় এবং দলত্যাগীদের বহিষ্কার করা হয়।

১৯৮৭ সালের ১, ২ ও ৩ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত হয় বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের জাতীয় কাউন্সিল। কাউন্সিলে সর্বসম্মতিক্রমে শেখ হাসিনাকে সভাপতি ও সাজেদা চৌধুরীকে সাধারণ সম্পাদক করে নতুন কার্যনির্বাহী সংসদ গঠিত হয়।

১৯৯২ সালের ১৯ ও ২০ সেপ্টেম্বর ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন প্রাঙ্গণে আওয়ামী লীগের দ্বি-বার্ষিক কাউন্সিল অনুষ্ঠিত হয়। কাউন্সিলের দ্বিতীয় দিন ২০ সেপ্টেম্বর নতুন অর্থনৈতিক নীতিমালার আলোকে দলের ঘোষণাপত্র ও গঠনতন্ত্রের সংশোধনী সর্বসম্মতিতে গৃহীত হয়। ২১ সেপ্টেম্বর শেখ হাসিনা সভাপতি পদে বহাল থাকলেও সাধারণ সম্পাদক পদে ফিরে আসেন জিল্লুর রহমান।

এরপর ১৯৯৫ সালের ১১ সেপ্টেম্বর ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন চত্বরে আওয়ামী লীগের বিশেষ কাউন্সিল অনুষ্ঠিত হয়। কাউন্সিলে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবিতে আন্দোলন এবং ত্রি-বার্ষিক কাউন্সিলের জন্য একবছর সময় বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। তবে এই কাউন্সিলে কোনো নতুন কমিটি ঘোষণা করা হয়নি।

১৯৯৭ সালের ৬ ও ৭ মে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের কাউন্সিলে গঠন করা হয় নতুন কমিটি। তাতে সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক পদে কোনো পরিবর্তন আসেনি। এরপর ২০০০ সালের ২৩ জুন পল্টন ময়দানে আওয়ামী লীগের বিশেষ কাউন্সিল অনুষ্ঠিত হয়।

২০০২ সালের ২৬ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত হয় বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের জাতীয় কাউন্সিল। কাউন্সিলে শেখ হাসিনা গুরুত্বপূর্ণ ভাষণ দেন। কাউন্সিলের ভেতর দিয়ে আওয়ামী লীগের নতুন প্রাণের সঞ্চার হয়। নির্বাচিত হয় নতুন নেতৃত্ব। শেখ হাসিনা সভাপতি হিসেবে পুনঃনির্বাচিত হন। সাধারণ সম্পাদক হন মো. আবদুল জলিল।

এরপর দেশের রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের প্রেক্ষাপটে আওয়ামী লীগের পরের কাউন্সিলটি অনুষ্ঠিত হয় সাত বছর পর। ২০০৮ সালের জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জয়ী হয়ে সরকার গঠনের পর ২০০৯ সালের ২৪ জুলাই বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক কনভেনশন সেন্টারে অনুষ্ঠিত হয় সেই সম্মেলন। তাতে সভাপতি পদে শেখ হাসিনা বহাল থাকলেও বদল আসে সাধারণ সম্পাদক পদে। জাতীয় চার নেতার অন্যতম সৈয়দ নজরুল ইসলামের সন্তান সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম পান সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব।

২০১২ সালের ২৯ ডিসেম্বর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে দলের ১৯তম জাতীয় কাউন্সিল অনুষ্ঠিত হয়। একদিনের এই কাউন্সিলে ঘোষণাপত্রের সংশোধনী গৃহীত হয়। সেবার গঠনতন্ত্রে কোনো সংশোধনি আনা হয়নি। দলের শীর্ষ নেতৃত্বেও আসেনি পরিবর্তন।

২০১৬ সালে ২২ অক্টোবর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে আওয়ামী লীগের ২০তম জাতীয় কাউন্সিল অনুষ্ঠিত হয়। ২৩ অক্টোবর রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে ছিল কাউন্সিল অধিবেশন। বরাবরের মতো এই সম্মেলনেও নৌকার হাল তুলে দেওয়া হয় বঙ্গবন্ধুকন্যার হাতে। তবে ওই সময়ের সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আশরাফ নিজেই নতুন সাধারণ সম্পাদক হিসেবে প্রস্তাব করেন ওবায়দুল কাদেরের নাম। সর্বসম্মতিক্রমে সে প্রস্তাব গৃহীতও হয়।

২০১৯ সালে ২০ ও ২১ ডিসেম্বর রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যান ও ইঞ্জিনিয়ার্স ইনিস্টিটিউশনে দলটির ২১তম ত্রি-বার্ষিক জাতীয় সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। সেই সম্মেলনে সভাপতি হিসাবে দশমবারের মতো দায়িত্ব পান বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা। আর টানা মেয়াদে সাধারণ সম্পাদক হিসাবে নির্বাচিত হন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।

ঐতিহ্য সংগ্রাম গৌরবগাথায় পথচলার ২১টি জাতীয় কাউন্সিল পেরিয়ে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ এখন দাঁড়িয়ে আছে ২২তম কাউন্সিলের দ্বারপ্রান্তে। রাত পোহালেই ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে সূচনা হবে এই কাউন্সিলের। শনিবার দুপুর তিনটায় ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে হবে কাউন্সিল অধিবেশন। এই সম্মেলনেও আওয়ামী লীগের নেতৃত্ব শেখ হাসিনার হাতেই থাকছে, সে বিষয়ে সন্দেহের কোনো অবকাশ নেই।

সারাবাংলা/এনআর/একে

আওয়ামী লীগ নৌকার মাঝি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা

বিজ্ঞাপন

আরো

সম্পর্কিত খবর