Friday 22 Nov 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

আওয়ামী লীগ সম্মেলনের উদ্বোধনী অধিবেশনে সাংস্কৃতিক পরিবেশনা

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট
২৪ ডিসেম্বর ২০২২ ১২:৪০

ঢাকা: ‘আওয়ামী লীগের ইতিহাস বাঙালি ও বাংলাদেশের ইতিহাস’ প্রতিপাদ্যে দলের বাংলাদেশের ইতিহাস ঐতিহ্য সংস্কৃতির মিশেলে মনোমুগ্ধকর সাংস্কৃতিক পরিবেশনা অনুষ্ঠিত হয়েছে। শনিবার (২৪ ডিসেম্বর) সকাল সাড়ে ১০টার দিকে তিনি শান্তির প্রতীক পায়রা ও বেলুন উড়িয়ে ২২তম জাতীয় সম্মেলনের উদ্বোধন ঘোষণা করেন আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা।

সম্মেলন উদ্বোধনের পরপরই প্রায় আধ ঘণ্টাব্যাপী সাংস্কৃতিক পরিবেশনা হয়। পরপর দু’টি রবীন্দ্র সংগীতের পরিবেশনার সুরের সঙ্গে ঠোঁট মিলিয়েছেন আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

বিজ্ঞাপন

জাতীয় সম্মেলনের সাংস্কৃতিক উপ কমিটির আয়োজনে চিত্রনায়ক ফেরদৌসের উপস্থাপনায় এই সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে আবৃত্তি, ধারাভাষ্য, সংগীত ও নৃত্যের সমাহারে এই পরিবেশনা হয়। এর মধ্য দিয়ে ফুটে বাংলাদেশ ও আওয়ামী লীগের দীর্ঘ পথচলার ঐতিহ্য সংগ্রামের ভাবধারা উঠে আসে। বিএনপি-জামায়াতের অগ্নিসন্ত্রাসের কথাও উঠে আসে। একইসঙ্গে বাংলাদেশের অগ্রযাত্রায় নির্ভীকভাবে বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার এগিয়ে চলার কথা উঠে আসে।

দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচনে ভোটের মাঠে জয়ের ধারাবাহিকতায় প্রত্যয়ে ‘উন্নয়ন অভিযাত্রায় দেশরত্ন শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের উন্নত, সমৃদ্ধ ও ডিজিটাল বাংলাদেশ’ গড়ার প্রতিপাদ্যে এবার ২২তম জাতীয় ত্রি-বার্ষিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত হচ্ছে।

সাংস্কৃতিক পরিবেশনায় তুলে আনা হয় দলীয় সভাপতি নির্বাচিত হওয়ার পর শেখ হাসিনার আন্দোলন-সংগ্রামের কথা। তুলে আনা হয় সরকার প্রধান হিসাবে পার্বত্য শান্তি চুক্তি, গঙ্গা পানি চুক্তিসহ জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে তারা অর্জনের কথা। উঠে আসে বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দেওয়ার কথাও। তুলে ধরা হয় ক্ষুধা ও দারিদ্র্য বিমোচনসহ শেখ হাসিনার উন্নয়নের ছয়টি মডেলের কথা। উঠে আসে এগিয়ে চলা বাংলাদেশের কথা। ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর ভাষায় সংগীত ও নৃত্য পরিবেশনায় হয়। ক্ষেত্রে বাংলার মাটি ও মানুষের চিত্র তুলে ধরা হয়।

বিজ্ঞাপন

সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান পর্বে ‘আকাশ ভরা সূর্য তারা…’ এবং ‘আলো আমার আলো…’ রবীন্দ্র সংগীত দু’টির তালে তালে নৃত্য পরিবেশিত হয়। আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনাকেও এ সংগীতের সঙ্গে ঠোঁট মেলাতে দেখা যায়।

সম্মেলনস্থলে উপস্থিত হয়ে শেখ হাসিনা বেলুন ও পতাকা উড়িয়ে সম্মেলনের উদ্বোধন ঘোষণা করেন। দলীয় সংগীতের সুরে ৭৮টি সাংগঠনিক জেলার সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের সঙ্গে পতাকা স্ট্যান্ডে গিয়ে দলীয় পতাকা উত্তোলন করেন। জাতীয় সংগীতের সুরে জাতীয় পতাকাও উত্তোলন করা হয়। আসন গ্রহণ করার আগে সারাদেশ থেকে আগত কাউন্সিলর, ডেলিগেট ও সম্মানিত অতিথিদের উদ্দেশ্যে হাত নেড়ে অভিবাদন জানান বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা। এরপর সভাপতির আসন নেন বঙ্গবন্ধু কন্যা।

সকাল সাড়ে দশটা দিকে দলীয় সভাপতির আগমনকে কেন্দ্র করে জয় বাংলা জয় বঙ্গবন্ধু আওয়ামী লীগের সম্মেলন সফল হোক, আজকের সম্মেলন সফল হোক স্লোগান দিয়ে স্বাগত জানান। দলীয় সভাপতির আসন গ্রহণের ঘোষণা দেন দলের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক ড. আবদুস সোবহান গোলাপ।

পরে সম্মেলন প্রস্তুতি সাংস্কৃতিক উপ-কমিটির আয়োজনে সংক্ষিপ্ত সাংস্কৃতিক পরিবেশনা শুরু হয়। অনুষ্ঠান উপস্থাপনা করেন চিত্রনায়ক ফেরদৌস। উদ্বোধনী অধিবেশন পরিচালনা করেন দলের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক ড. আবদুস সোবহান গোলাপ এবং উপ প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক আমিনুল ইসলাম আমিন। শোক প্রস্তাব পাঠ করেন দলের দফতর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া। পরে অভ্যর্থনা উপ-কমিটির আহ্ববায়ক শেখ ফজলুল করিম সেলিম বক্তব্য রাখেন।

বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের ত্রি বার্ষিক সম্মেলনকে ঘিরে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের আশপাশের এলাকায় উৎসবমুখর পরিবেশ সৃষ্টি হয়েছে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কঠোর নিরাপত্তা নজরদারি দেখা গেছে। সারাদেশের নেতাকর্মীরা সহকর্মী সোহরাওয়ার্দী উদ্যানমুখী।

বৈশ্বিক অর্থনৈতিক মন্দা বিবেচনায় সাদামাটা আয়োজনে অনুভূতির সম্মেলনের সিদ্ধান্ত নেয় দলটি। ত্রিবার্ষিক সম্মেলনের মধ্যে দিয়ে আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে নেতৃত্ব নির্বাচনের সম্মেলন।

সম্মেলনে আমন্ত্রিত অন্যান্য রাজনৈতিক দলের নেতাদের মধ্যে ওয়াকার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেনন, সাধারণ সম্পাদক ফজলে হোসেন বাদশা, জাসদের সভাপতি হাসানুল হক ইনু, সাধারণ সম্পাদক শিরিন আকতার, সাম্যবাদী দলের সাধারণ সম্পাদক দিলীপ বড়ুয়া, জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান গোলাম মোহাম্মদ কাদের, জাতীয় পার্টির মহাসচিব মুজিবুল হক চুন্নু, কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের সভাপতি বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী, জেপির মহাসচিব শেখ শহিদুল ইসলাম, তরিকত ফেডারেশনের চেয়ারম্যান সৈয়দ নজিবুল বশর মাইজভান্ডারী, ঢাকসুর সাবেক ভিপি সুলতান মোহাম্মদ মনসুর, গণতন্ত্রী পার্টির শাহাদাত হোসেন, কমিউনিস্ট কেন্দ্রের ডা. ওয়াজেদুল ইসলাম, অসিত বরণ রায়সহ অন্যরা উপস্থিত রয়েছেন।

এরপর বিকেল তিনটায় ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন প্রাঙ্গণে প্রাায় ৭ হাজার কাউন্সিলরের উপস্থিতিতে কাউন্সিল অধিবেশন অনুষ্ঠিত হবে। গত ২৮ অক্টোবর গণভবনে কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদের বৈঠকে আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে ২২তম জাতীয় সম্মেলনের তারিখ চূড়ান্ত হয়।

সারাবাংলা/এনআর/এমও

আওয়ামী লীগ উদ্বোধনী অধিবেশেন সম্মেলন সাংস্কৃতিক পরিবেশনা

বিজ্ঞাপন

নতুন ইসির শপথ রোববার দুপুরে
২২ নভেম্বর ২০২৪ ১৪:২৩

আরো

সম্পর্কিত খবর